দেশ বিদেশ
আফরোজা আব্বাসের ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের ঢাকা ব্যাংকের হিসাব ও দুই প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আফরোজা আব্বাসের অস্থাবর এই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ৩৯ হাজার ২৫৫টি শেয়ার, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের এক লাখ শেয়ার। এছাড়া, ঢাকা ব্যাংকের একটি হিসাবে থাকা প্রায় সাত লাখ টাকাও রয়েছে এর মধ্যে। প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলা করে দুদক। এই সম্পদ অর্জনে মির্জা আব্বাসের ভূমিকার কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজার নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তার নেই। আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি টাকার মালিক হন। এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্বাস ঢাকা-৮ আসনে এবং আফরোজা ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।