এক্সক্লুসিভ
সিলেটে আলোচিত পীযূষ গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিলেটের আলোচিত ছাত্রনেতা পীযূষ কান্তি দে। প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর গতকাল সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ পীযূষ কান্তিকে নগরীর শেখঘাটের ভাঙ্গাটিকরপাড়াস্থ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পরপরই বিকেলে আদালতে পীযূষকে হাজির করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দেয়া ফরোয়ার্ডিংয়ে কোতোয়ালি পুলিশ উল্লেখ করেছে, পীযূষের বিরুদ্ধে অস্ত্রবাজি, দস্যুতা, চুরির অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনায় ৮টি মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, পীযূষের বিরুদ্ধে আদালত থেকে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনেক আগেই কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছিল। এতদিন পীযূষ পলাতক ছিল। গতকাল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পরপরই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নগরীর ভাঙ্গাটিকরের বাসা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২০১৮ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট পেয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ২০১৮ সালে পীযূষ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনও করেন।
পীযূষের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২০১৬ সালের ১৩ই নভেম্বর এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন নগরীর দাড়িয়ারপাড়ার মেঘনা বি-২৬নং বাসার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার। তার মুলবাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মুরাদপুরে। মামলায় পীযূষ ছাড়া আসামি করা হয় পুরাতন মেডিকেল এলাকার ক্ষেত্রিপাড়ার সুলতান ওরফে রিপনকে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলার চার্জশিট প্রদান করলে বর্তমানে সিলেট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যে দু’জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী মাসুম হাওলাদার ওরফে মাসুদ রানা উল্লেখ করেছেন, তার ভাগ্নি সিলেটের রসময় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো সুলতান ওরফে রিপন। ওই বছরের ১৩ই নভেম্বর তার ভাগ্নি স্কুলে যাওয়ার পথে রিপন তাকে আটকে নানা অঙ্গভঙ্গি করে। এ সময় তার স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দেয়। পরবর্তী তার ভাগ্নির চিৎকারে বাসা থেকে মামী স্বপ্না আক্তার বেরিয়ে এলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় রিপনের সঙ্গে আরো কয়েকজন যুবক ছিল। এ ঘটনার পর পীযূষ কয়েক দফা হুমকি দিয়ে বাদীর পরিবারের সদস্যদের পুঙ্গু করে দেবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সে ৩০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে। ওই স্কুলছাত্রীর অবস্থা খাদিজার মতো করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে এ ঘটনায় মাসুদ রানা সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এদিকে গ্রেপ্তারের পরপরই বিকেলে আদালতে পীযূষকে হাজির করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দেয়া ফরোয়ার্ডিংয়ে কোতোয়ালি পুলিশ উল্লেখ করেছে, পীযূষের বিরুদ্ধে অস্ত্রবাজি, দস্যুতা, চুরির অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনায় ৮টি মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, পীযূষের বিরুদ্ধে আদালত থেকে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনেক আগেই কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছিল। এতদিন পীযূষ পলাতক ছিল। গতকাল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পরপরই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নগরীর ভাঙ্গাটিকরের বাসা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২০১৮ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট পেয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ২০১৮ সালে পীযূষ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনও করেন।
পীযূষের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২০১৬ সালের ১৩ই নভেম্বর এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন নগরীর দাড়িয়ারপাড়ার মেঘনা বি-২৬নং বাসার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার। তার মুলবাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মুরাদপুরে। মামলায় পীযূষ ছাড়া আসামি করা হয় পুরাতন মেডিকেল এলাকার ক্ষেত্রিপাড়ার সুলতান ওরফে রিপনকে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলার চার্জশিট প্রদান করলে বর্তমানে সিলেট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যে দু’জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী মাসুম হাওলাদার ওরফে মাসুদ রানা উল্লেখ করেছেন, তার ভাগ্নি সিলেটের রসময় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো সুলতান ওরফে রিপন। ওই বছরের ১৩ই নভেম্বর তার ভাগ্নি স্কুলে যাওয়ার পথে রিপন তাকে আটকে নানা অঙ্গভঙ্গি করে। এ সময় তার স্পর্শকাতর স্থানেও হাত দেয়। পরবর্তী তার ভাগ্নির চিৎকারে বাসা থেকে মামী স্বপ্না আক্তার বেরিয়ে এলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় রিপনের সঙ্গে আরো কয়েকজন যুবক ছিল। এ ঘটনার পর পীযূষ কয়েক দফা হুমকি দিয়ে বাদীর পরিবারের সদস্যদের পুঙ্গু করে দেবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সে ৩০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে। ওই স্কুলছাত্রীর অবস্থা খাদিজার মতো করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে এ ঘটনায় মাসুদ রানা সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।