ভারত
ত্রিপুরায় সীমান্তের জিরো লাইনে আটক রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার
কলকাতা প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়া ৩১ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে আজ ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ত্রিপুরার পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস জানিয়েছেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এদের ফরেনার্স আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জনের মধ্যে ১৬ টি শিশুও রয়েছে। বিএসএফ এদের সকলকে পুলিশের হাতে তুলে দেবার পরই গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার থেকে এদের নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। তবে বিজিবি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করায় শেষপর্যন্ত এদের প্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে ৩১ রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ১৫০ ফুট এলাকার মধ্যে আটকে ছিল। বিএসএফ-র অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে এরা ভারতে আসছিল। ভারত জানিয়েছে, তারা এসব রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। কারণ, তারা ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সীমান্তের ওই অংশে প্রবেশ করেছেন এমন কোনো প্রমাণ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। অন্যদিকে বিজিবি জানিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় তাদের জিরো লাইনে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার আগরতলার কাছে রাইমুরা গ্রামে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের পুশ করেনি বিএসএফ। তবে ভারত থেকে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ১৩০০ মত রোহিঙ্গা বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেছে বলে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছেন। এদিকে ভারত দুদফায় বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর পরই ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফলে তারা নিরাপত্তার তাগিদে ফের বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন। এমের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে। ভারত সরকার রোহিঙ্গাদের দেশের নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করে। ওদিকে সোমবার আসামের করিমগঞ্জ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ৩০ রোহিঙ্গাকে। করিমগঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তা ইমন শইকিয়া জানিয়েছেন, এরা কাজ হারিয়ে কাজের খোঁজে আসামে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের অনেকের রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া পরিচয়পত্রও রয়েছে।