শেষের পাতা
মানবজমিনের রিপোর্টার রাশিদুলের জামিন
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন পেয়েছেন মানবজমিন-এর খুলনার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশিদুল ইসলাম। তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে হাজির হতে হবে। আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।
শুনানিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদন লিখেছেন প্রতিবেদক। অন্যান্য গণমাধ্যমও একই প্রতিবেদন করেছে। মধ্যরাতে যখন দ্বিতীয়বার ফলাফল প্রকাশ করা হয় তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফলের তথ্য সংশোধনের সুযোগ ছিল না।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ বলেন, মামলার এক নম্বর আসামির বিচারিক আদালতে জামিন হয়েছে। জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিন হয়েছে গ্রেপ্তারের পর। এরপর আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। এর আগে গত রোববার আইনজীবী এম মাসুদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগাম জামিনের আবেদনটি করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ৩০শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় খুলনার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল হোসেন খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস ২,৫৩,৬৬৯ ভোট এবং ধানের শীষের প্রার্থী আমীর এজাজ খান ২৮,১৭৭ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা দেন। যা মোট ভোটারের চেয়ে ২২,৪১৯ ভোট বেশি ছিল। পরে রাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল সংশোধন করে ঘোষণা দেন নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট। ধানের শীষ পেয়েছে ২৮ হাজার ৩২২ ভোট।
সংশোধিত ফলাফলের আগেই মানবজমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলা ট্রিবিউন ও সময় টিভিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রথম বার ঘোষিত ফল প্রকাশ করে। পরের দিন মানবজমিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল।
এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি হেদায়েত হোসেন মোল্লা ও মানবজমিনের খুলনার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার পর হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি খুলনার আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারা মুক্ত হন। ওই সময় বেশি ভোট পড়ার অডিও ভিডিও এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা দেশে ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই মামলাতেই আগাম জামিন পেলেন মো. রাশিদুল ইসলাম।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ।
শুনানিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদন লিখেছেন প্রতিবেদক। অন্যান্য গণমাধ্যমও একই প্রতিবেদন করেছে। মধ্যরাতে যখন দ্বিতীয়বার ফলাফল প্রকাশ করা হয় তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফলের তথ্য সংশোধনের সুযোগ ছিল না।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাফি আহমেদ বলেন, মামলার এক নম্বর আসামির বিচারিক আদালতে জামিন হয়েছে। জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জামিন হয়েছে গ্রেপ্তারের পর। এরপর আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। এর আগে গত রোববার আইনজীবী এম মাসুদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগাম জামিনের আবেদনটি করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ৩০শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় খুলনার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল হোসেন খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস ২,৫৩,৬৬৯ ভোট এবং ধানের শীষের প্রার্থী আমীর এজাজ খান ২৮,১৭৭ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা দেন। যা মোট ভোটারের চেয়ে ২২,৪১৯ ভোট বেশি ছিল। পরে রাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল সংশোধন করে ঘোষণা দেন নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট। ধানের শীষ পেয়েছে ২৮ হাজার ৩২২ ভোট।
সংশোধিত ফলাফলের আগেই মানবজমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলা ট্রিবিউন ও সময় টিভিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রথম বার ঘোষিত ফল প্রকাশ করে। পরের দিন মানবজমিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল।
এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি হেদায়েত হোসেন মোল্লা ও মানবজমিনের খুলনার স্টাফ রিপোর্টার মো. রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার পর হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি খুলনার আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারা মুক্ত হন। ওই সময় বেশি ভোট পড়ার অডিও ভিডিও এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা দেশে ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই মামলাতেই আগাম জামিন পেলেন মো. রাশিদুল ইসলাম।