ভারত

বাংলাদেশে কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স দুটি শাখা খুলছে

কলকাতা প্রতিনিধি

২২ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের দুটি শহরে শাখা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির (কিট) সহযোগী প্রতিষ্ঠান কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (কিস)। এই দুটির একটি হবে যশোরে, অন্যটি ঢাকায়। রোববার দুপুরে কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন কিট ও কিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অচ্যুত সামন্ত। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তিনি অনেকবার সফর করেছেন। সেখানে কিছু একটা করার জন্য তিনি অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করে এসেছেন। ওড়িশায় তার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীও রয়েছেন। তবে এতদিনে বাংলাদেশে কিছু করার স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। নতুন দুটি শাখা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আবাসিক এবং অবৈতনিক। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এই দুই প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষাতেই শিক্ষা পাবেন। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে। তিনি জানিয়েছেন, যশোরেরটি হবে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। আর ঢাকারটি হবে শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই এই দুটি প্রতিষ্ঠান চালু হবে। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় দুই একর জমির ওপরে এবং যশোরে ৫ একর জমির ওপরে এই দুটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। যশোরেরটি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের বহু পুরনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁচতে শেখো’র সঙ্গে মিলিতভাবে। তবে কিস এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আর্থিক দায়ভার বহন করবে। অন্যদিকে ঢাকার প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে। তবে এক্ষেত্রে আর্থিক দায়ভার ড্যাফোডিলই বহন করবে। তারা শুধু দেবেন টেকনিক্যাল সাপোর্ট। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে ১৯৯২ সালে অধ্যাপক সামন্ত একক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন কিট। এরপর গত ২০১৭ সালের তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম আদিবাসীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিস। বর্তমানে দুটিই ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছে। অধ্যাপক সামন্ত বলেছেন, কিস প্রতিষ্ঠানে ২৭,৫০০ আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এই প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ছেলেমেয়ে ক্রীড়াবিদ হয়েছে। এরা অলিম্পিক ও এশিয়াডের মতো প্রতিযোগিতাতে সাফল্যের সঙ্গে অংশ নিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক সামন্ত বলেছেন, আমি খুব দরিদ্র ঘরের সন্তান। তাই গরিবদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে এসেছি শুরু থেকেই। আর আমার সেই মহৎ উদ্যোগই আমাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তিনি মনে করেন, সমাজের বঞ্চিতদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে পারার অর্থ অন্ধকে দৃষ্টি দেয়া। তিনি বলেছেন, উপযুক্ত সুযোগ পেলে দুর্বলরাও অসাধারণ কর্ম করতে পারে। তার মতে, অশিক্ষাই দারিদ্র্য তৈরি করে। আর সাক্ষরতা দারিদ্র্যকে দূর করে। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগিয়ে চলতে চান। তিনি আরো বলেছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিট ইতিমধ্যেই বিশ্বে আলাদা স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সেজন্যই ২০১৯ ও ২০২৩ সালে কবিদের বিশ্ব কংগ্রেস এবং এনথ্রোপলজির বিশ্ব কংগ্রেস আয়োজন করার দায়িত্ব পেয়েছে কিট।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status