এক্সক্লুসিভ
‘গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কেন অবৈধ নয়’
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গ্যাসের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের মূল্য বাড়ানোর গত ১৬ই অক্টোবরের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ১৯৯৩ সালের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা মূল্যসংযোজন কর বিধিমালার সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। বিইআরসি, এর চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যানকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি
করেন। রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল বাশার।
২০১৮ সালের ১৬ই অক্টোবর গ্যাসের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে মূল্য বৃদ্ধি করে বিইআরসি। মূল্য বৃদ্ধির আগে গণশুনানির বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। এ মূল্য বৃদ্ধির চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপর। এতে করে ভোক্তাদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে। এর প্রেক্ষিতে রিট আবেদনটি দায়ের করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গণশুনানি ব্যতীত মূল্য বৃদ্ধি করা অযৌক্তিক। তফসিল খ অনুযায়ী বিইআরসি যে মূল্য বৃদ্ধি করেছে তা আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হলেও এর পরিমাণ বেশি। মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত ব্যয় চাপবে।
তিনি বলেন, গ্যাস সঞ্চালনে ১৫ পয়সা থেকে এক লাফে ৪২ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যয় বাড়বে ৫৪৪ কোটি টাকা। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডকে (জিটিসিএল) অবৈধ সুবিধা দিতে এটি করা হয়েছে। অথচ অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলে এ ব্যয় না বাড়ালেও চলতো।
একইসঙ্গে ১৯৯৩ সালের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা মূল্যসংযোজন কর বিধিমালার সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। বিইআরসি, এর চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যানকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি
করেন। রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল বাশার।
২০১৮ সালের ১৬ই অক্টোবর গ্যাসের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে মূল্য বৃদ্ধি করে বিইআরসি। মূল্য বৃদ্ধির আগে গণশুনানির বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। এ মূল্য বৃদ্ধির চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপর। এতে করে ভোক্তাদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে। এর প্রেক্ষিতে রিট আবেদনটি দায়ের করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গণশুনানি ব্যতীত মূল্য বৃদ্ধি করা অযৌক্তিক। তফসিল খ অনুযায়ী বিইআরসি যে মূল্য বৃদ্ধি করেছে তা আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হলেও এর পরিমাণ বেশি। মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত ব্যয় চাপবে।
তিনি বলেন, গ্যাস সঞ্চালনে ১৫ পয়সা থেকে এক লাফে ৪২ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যয় বাড়বে ৫৪৪ কোটি টাকা। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডকে (জিটিসিএল) অবৈধ সুবিধা দিতে এটি করা হয়েছে। অথচ অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলে এ ব্যয় না বাড়ালেও চলতো।