শেষের পাতা
সাটুরিয়ায় স্কুলছাত্র অপহরণ তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মো. জুবায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহৃত হয়েছে। স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্র বাড়ি ফিরে উঠানে মহিদুল ইসলাম নামে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে খেলছিল। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পায়নি পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সাটুরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সাটুরিয়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের মো. সামছুল হকের ছেলে মো. জুবায়েত হোসেন। তাকে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় প্রথম শ্রেণিতে। সে প্রতিদিন নিয়মিত স্কুলে যায়। বৃহস্পতিবারও স্কুল থেকে আসার পর বাড়ির পাশের ২৩ বছরের যুবক মো. মহিদুল ইসলামের সঙ্গে খেলা করে। ওইদিন থেকে তাকে আর খুঁজে না পাওয়া গেলে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
পরেরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় একটি ফোন আসে জুবায়েতের বাবার কাছে। ওই ফোনে এক মহিলা তার কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ লাখ টাকা নিয়ে সাভার ওভারব্রিজের নিচে থাকতে বলে। অপহরণকারীরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা দিতে না পারলে তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জুবায়েতের বাবা সামছুল হক মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করে অপহরণকারীদের কথামতো টাকা নিয়ে গেলে অপহরণকারীরা টাকা নিতে আসেনি বলে জানায়। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার মো. মহিদুল ইসলাম এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
অপহৃত ছাত্রের বাবা সামছুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার ছেলে স্কুল শেষ করে বাড়ি আসে। দুপুরে প্রতিবেশী যুবক মহিদুলের সঙ্গে বাড়ির উঠানে দুজনে মিলে খেলা করে। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ছেলে বাড়ি না ফিরলে তাকে আমরা খোঁজাখুঁজি করি। সে স্কুল থেকে এসে না খেয়ে খেলা করতে যায়। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে এলাকার মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করা হয়। শুক্রবার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোন করে একজন নারী। সে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি এলাকার লোকজন জেনে থানায় একটি অভিযোগ করতে বলেন। তাদের কথামতো থানায় একটি ডায়েরি করেন। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানায়।
অপহৃত শিশুর বাবা একজন ফেরিওয়ালা। সে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। তার মা একজন গৃহিণী। ছেলেকে না পেয়ে মা-বাবা দুজনই বাকরুদ্ধ। তারা যেকোনো মূল্যে ছেলেকে চায়।
অপহৃত শিশুর খেলার সাথী মো. মহিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সে ওইদিন জুবায়েতের সঙ্গে খেলা করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর তিনি ওইদিন বিকালে গাজীপুর চলে আসেন। তবে সে পাশের বাড়ির জুবায়েতের অপহরণের কথা অস্বীকার করেন এবং কোনো মুক্তিপণও চাননি।
এব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে। তবে অচিরেই উদ্ধার করা হবে বলে তিনি জানান।
পরেরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় একটি ফোন আসে জুবায়েতের বাবার কাছে। ওই ফোনে এক মহিলা তার কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ লাখ টাকা নিয়ে সাভার ওভারব্রিজের নিচে থাকতে বলে। অপহরণকারীরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা দিতে না পারলে তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জুবায়েতের বাবা সামছুল হক মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করে অপহরণকারীদের কথামতো টাকা নিয়ে গেলে অপহরণকারীরা টাকা নিতে আসেনি বলে জানায়। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার মো. মহিদুল ইসলাম এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
অপহৃত ছাত্রের বাবা সামছুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার ছেলে স্কুল শেষ করে বাড়ি আসে। দুপুরে প্রতিবেশী যুবক মহিদুলের সঙ্গে বাড়ির উঠানে দুজনে মিলে খেলা করে। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ছেলে বাড়ি না ফিরলে তাকে আমরা খোঁজাখুঁজি করি। সে স্কুল থেকে এসে না খেয়ে খেলা করতে যায়। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে এলাকার মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করা হয়। শুক্রবার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোন করে একজন নারী। সে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি এলাকার লোকজন জেনে থানায় একটি অভিযোগ করতে বলেন। তাদের কথামতো থানায় একটি ডায়েরি করেন। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানায়।
অপহৃত শিশুর বাবা একজন ফেরিওয়ালা। সে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। তার মা একজন গৃহিণী। ছেলেকে না পেয়ে মা-বাবা দুজনই বাকরুদ্ধ। তারা যেকোনো মূল্যে ছেলেকে চায়।
অপহৃত শিশুর খেলার সাথী মো. মহিদুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সে ওইদিন জুবায়েতের সঙ্গে খেলা করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এরপর তিনি ওইদিন বিকালে গাজীপুর চলে আসেন। তবে সে পাশের বাড়ির জুবায়েতের অপহরণের কথা অস্বীকার করেন এবং কোনো মুক্তিপণও চাননি।
এব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে। তবে অচিরেই উদ্ধার করা হবে বলে তিনি জানান।