বাংলারজমিন
টঙ্গীতে জবর দখল ঠেকাতে রাত জেগে জমি পাহারা দেন মালিক!
স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
টঙ্গীতে এবার আওয়ামী লীগ নেতার জমি জবর দখল প্রচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ দিয়েছেন টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস পাঠান। আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করে জানান, টঙ্গীর একটি প্রভাবশালী পরিবারের নাম ভাঙিয়ে ভূমিদস্যু চক্রটি একের পর এক জমি দখল করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তার (আব্দুল কুদ্দুস পাঠানের) স্ত্রীর ক্রয়কৃত প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যু চক্রটি। ইতিপূর্বে কয়েক দফা দখল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ৪-৫ দিন ধরে জবর দখলের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে চক্রটি। জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আব্দুল কুদ্দুস পাঠান। রাত জেগে জমি পাহারা দিতে হচ্ছে তাকে। আব্দুল কুদ্দুস পাঠান বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমি ঢাকায় গেলে চক্রটি আমার জমিটি দখলের চেষ্টা চালায়। গত এক বছর আগে চিকিৎসার্থে সস্ত্রীক ভারতে অবস্থানকালে খালি মাঠে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায় অস্ত্র মামলার আসামি ও ভূমিদস্যু সেলিম পাঠান চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে এই চক্রের সদস্যরা কথিত পাওয়ারমূলে স্থানীয় পাগাড় এলাকার ঢাকা ডায়িং রোডে তার আলোচিত ১১ শতক জমি জবর দখলের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী জমির মালিক আব্দুল কুদ্দুস পাঠান টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত গাজীপুর সিটি এবং সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৪৩নং ওয়ার্ড সমন্বয়ক ছিলেন। স্ত্রীর কেনা জমিতে দোকান ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন বলে তিনি দাবি করেন।
আব্দুল কুদ্দুস পাঠান আরো বলেন, এলাকার ভূমিদস্যু সেলিম পাঠান টঙ্গীর একসময়ের টপটেরর ভূঁইয়া বাবুর সহযোগী ছিল। সে টঙ্গী থানার একাধিক মামলাসহ অস্ত্র আইনের নং-১২(০১)০৫ সতের বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে এলাকায় ইতিপূর্বে আরো কয়েকটি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। দখলবাজিই তার মূল পেশা। এছাড়া তার অন্য কোনো পেশা নেই। এই চক্রের অন্য সদস্যরা হলো- মো. সাইদুল ইসলাম, বাপ্পি লস্কর, মনির হোসেন বাবু, শহীদ উল্লাহ পাটোয়ারীসহ আরো ১৫-২০ জন।
তিনি বলেন, এই চক্রটি এলাকার প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সালিশি সিদ্ধান্ত মানছে না, আদালতের নিষেধাজ্ঞাকেও মানে না, পুলিশের নির্দেশও মানে না।
টঙ্গী থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে এই জমির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে সেলিম পাঠান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কারোর জমি জবর দখল করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলার কথা বলা হচ্ছে সেটি ছিল একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।
অভিযোগকারী জমির মালিক আব্দুল কুদ্দুস পাঠান টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত গাজীপুর সিটি এবং সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৪৩নং ওয়ার্ড সমন্বয়ক ছিলেন। স্ত্রীর কেনা জমিতে দোকান ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন বলে তিনি দাবি করেন।
আব্দুল কুদ্দুস পাঠান আরো বলেন, এলাকার ভূমিদস্যু সেলিম পাঠান টঙ্গীর একসময়ের টপটেরর ভূঁইয়া বাবুর সহযোগী ছিল। সে টঙ্গী থানার একাধিক মামলাসহ অস্ত্র আইনের নং-১২(০১)০৫ সতের বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে এলাকায় ইতিপূর্বে আরো কয়েকটি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। দখলবাজিই তার মূল পেশা। এছাড়া তার অন্য কোনো পেশা নেই। এই চক্রের অন্য সদস্যরা হলো- মো. সাইদুল ইসলাম, বাপ্পি লস্কর, মনির হোসেন বাবু, শহীদ উল্লাহ পাটোয়ারীসহ আরো ১৫-২০ জন।
তিনি বলেন, এই চক্রটি এলাকার প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সালিশি সিদ্ধান্ত মানছে না, আদালতের নিষেধাজ্ঞাকেও মানে না, পুলিশের নির্দেশও মানে না।
টঙ্গী থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে এই জমির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে সেলিম পাঠান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কারোর জমি জবর দখল করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অস্ত্র মামলার কথা বলা হচ্ছে সেটি ছিল একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।