ভারত
বিরোধীরা জানিয়ে দিলেন ভারত চায় নয়া প্রধানমন্ত্রী
কলকাতা প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
কলকাতায় শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন সারা ভারতের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। এই সমাবেশ থেকেই মোদী সরকারের মৃত্যুঘন্টা বাজানো হবে বলে সমাবেশের আহ্বায়ক তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোই হবে নির্ণায়ক শক্তি। শনিবারের সমাবেশ থেকে ঐক্যবদ্ধ ভারতের বার্তাও যে দেয়া হবে সেই আশা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক বার্তায় কাংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ ভারতের লক্ষ্যে মমতাদির ব্রিগেড সমাবেশে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং এই সভা থেকেই ঐক্যবদ্ধ ভারতের বার্তা পৌঁছে দেয়া যাবে বলেই আমার আশা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সারাদেশের সমস্ত বিরোধী শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। সত্যিকারের জাতীয়তাবোধ এবং উন্নয়ন আসতে পারে গণতন্ত্র, সামাজিক উন্নয়ন এবং ধর্মনিরপেক্ষতার স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়েই। এই ধারণাগুলোই ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি এবং মিস্টার মোদী। রাহূল গান্ধী এই সমাবেশে উপস্থিত না থাকলেও কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সমাবেশে উপস্থিত থাকছেন। ইতিমধ্যেই শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদবের মতো একাধিক বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় নেতা। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ২০টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। শনিবার কলকাতার ব্রিগেডই হয়ে উঠবে বিজেপি বিরোধীতার এক বিশাল মঞ্চ। ঘোষণা দেয়া হবে, ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। এদিকে শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছেই সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, দেশ বদল চায়। চায় নয়া প্রধানমন্ত্রী। অখিলেশ সাংবাদিকদের বলেছেন, বর্তমানে দিল্লিতে যে সরকার রয়েছে সেই সরকারের কর্মকান্ড এবং প্রতিশ্রুতিতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে উঠেছে। আর সেজন্যেই গোটা দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। চায় নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী। অখিলেশ যাদব মন্তব্য করেছেন, বাংলা থেকেই বদলের ডাক দিল্লিতে যাবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া এই সমাবেশ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই পরিশ্রমী মানুষ। রাজনীতিতে এমনই পরিশ্রমী মানুষের খুবই প্রয়োজন। অন্যদিকে কলকাতার সমাবেশে যোগ দেবার কথা জানিয়ে দিল্লি থেকে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ শত্রুঘœ সিনহা বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর প্রাপ্ত আসনসংখ্যার ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী কে হবেন ঠিক করবেন দেশের মানুষ এবং দলগুলো। তাঁর মতে, মমতা এখন আর আঞ্চলিক নেতা নন। তিনি এক জন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পর্যায়ের নেতা। উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুলাই দলীয় মঞ্চ থেকেই মমতা প্রথম ১৯ জানুয়ারির বিরোধী সহাসমাবেশের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা। সেই ফ্রন্ট গঠনসহ প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে তিনি সব বিরোধী নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। মহাজোট অটুট রাখতে রাজ্যে রাজ্যে যেসব দল শক্তিশালী তাদের মধ্যে সমঝোতারও প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা।