দেশ বিদেশ
প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালাতো ফারুক একাই, ওরা ভয়ঙ্কর প্রতারক
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
প্রতারক ওমর ফারুক। প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬টি এবং তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ১টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। হাতিয়ে নিতো অর্থ। ওমর ফারুক নিজেই আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠীসহ জাতীয় নেতাদের নামে ৩৬টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সে তার নিজের নামেও ৬টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আরেক প্রতারক সাব্বির পেশায় সাইবার কমিউনিকেশন এক্সপার্ট। সে ইতিমধ্যে ৬টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ইতিপূর্বে তারেক জিয়া সাইবার ফোর্স, দেশনেত্রী সাইবার ফোরাম পেজের এডমিন ছিল। সম্প্রতি সেসব পেজের নামের জায়গায় শেখ হাসিনার পরামর্শক ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম সংযোজন করে তাতে নিরাপদ সড়ক চাই ও কোটা আন্দোলন সহ নতুন কোনো ইস্যু পেলে সেগুলো নিয়ে উস্কানিমূলক ভিডিও পোস্ট করে আসছিল। এরকম ৫ প্রতারককে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. ওমর ফারুক (৩০), মো. সাব্বির হোসেন (২৪), মো. আল আমিন (২৭), মো. আমিনুল ইসলাম (২৫), মো. মনির হোসেন (২৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন এবং ১টি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় সাইবার অপরাধী চক্ররা এখনো ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ভুয়া এসব পেজে প্রধানমন্ত্রীর নামে নাম্বার দিয়ে তাদের নাম্বার যোগ করেছে। এতে অনেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই নাম্বারে ফোন দিলে তারা ধরে। এর পর তারা নিজেদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। সম্প্রতি সংসদে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম নেয়া প্রার্থীদের ফোন দিয়ে তাদের মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা কত অর্থ প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি সেটি এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি বলে জানান তিনি। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ভুয়া এসব পেজে প্রধানমন্ত্রীর নামে নাম্বার দিয়ে তাদের নাম্বার যোগ করেছে। এতে অনেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই নাম্বারে ফোন দিলে তারা ধরে। এর পর তারা নিজেদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। সম্প্রতি সংসদে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম নেয়া প্রার্থীদের ফোন দিয়ে তাদের মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা কত অর্থ প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি সেটি এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি বলে জানান তিনি। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।