বাংলারজমিন
এবার চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ
ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম মহানগরীতেও মেট্রোরেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন নামে একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে এই মেট্রোরেল চালু হবে। এই কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে সিডিএ কর্তৃপক্ষের মতবিনিময়ও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি জানান, ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করে আমরা বর্তমানে মেট্রোরেলের জন্য চিন্তা করছি। এ বিষয়ে চায়না কোমপানিকে নগরীতে মেট্রোরেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য বলা হয়েছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে তারা বলেছে আন্ডারগ্রাউন্ড বা উপরে যেখানেই মেট্রোরেল করা হউক না কেন, কোনো সমস্যা নেই। তিনি আরো জানান, আমি প্রথমে ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এর কারণ হচ্ছে, আমরা যদি এখন বন্দরকে ফ্রি রাখতে না পারি তাহলে বন্দর কার্যক্রমে ধস নামবে। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে বন্দরের কর্মকাণ্ড পাঁচগুণ বেড়ে যাবে। প্রশ্নের উত্তরে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলার পার্থক্য রয়েছে। চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী, তাই চট্টগ্রামের আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। বন্দর নগরীতে যত অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে, সবগুলো হতে হবে বহুমুখী উদ্দেশ্যে। শুধুমাত্র একটা উদ্দেশ্য নিয়ে উন্নয়ন করলে হবে না।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল শুধুমাত্র পাবলিকের যাতায়াতের জন্য। কিন্তু ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে মাল্টি পারপাসের জন্য। ফ্লাইওভারে কার্গো থেকে শুরু করে টেইলর, কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, লরি, বাস, মাইক্রোবাস, কার সিএনজি ট্যাক্সিসহ সব ধরনের যানবাহন চলবে। বর্তমান সময়ে আমাদের ফ্লাইওভার খুব প্রয়োজন ছিল। এখন পাবলিকের যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেলের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামও যানজটের শহর। তবে চট্টগ্রামের যাতায়াত ঢাকার চেয়েও বহুমুখী। তাই যানজট এড়াতে সড়কের উপর সড়ক, নৌপথে যাতায়াত, মেট্রোরেলে যাতায়াতসহ সব রকম যাতায়াতের পথ খোলা রাখতে হবে। এ জন্য এখনই উদ্যোগ না নিলে অচিরেই চট্টগ্রাম অচল শহরে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন তো বললেই হয় না, এরজন্য সময়ের প্রয়োজন। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণের পর এখন মেট্রোরেল নিয়ে ভাবছি আমরা। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলী নদীপথে ওয়াটার বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সবকিছু্ই চট্টগ্রামকে উন্নত নগরীতে পরিণত করবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রাম সচল না থাকলে দেশও অচল হয়ে যাবে। তাই বহুমুখী যাতায়াতে চট্টগ্রামের অবকাঠামোর উন্নয়নে এখনই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। একই মত প্রকাশ করেন সিআরডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার জোহাং ইয়াং, মজুমদার এন্টারপ্রাইজ কার্যনির্বাহী পরিচালক (এডমিন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. সাব্বির হাসান ও সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তারা বলেন, চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক হচ্ছে কালুরঘাট বিমানবন্দর সড়ক। এ সড়কের যানজট নিরসনে বহদ্দারহাট এবং মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। আবার টাইপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে নগরীর অর্ধেক যানজট কমে যাবে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেল চালু হলে যাতায়াতে যুগান্তকারী সুফল আসবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল শুধুমাত্র পাবলিকের যাতায়াতের জন্য। কিন্তু ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে মাল্টি পারপাসের জন্য। ফ্লাইওভারে কার্গো থেকে শুরু করে টেইলর, কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, লরি, বাস, মাইক্রোবাস, কার সিএনজি ট্যাক্সিসহ সব ধরনের যানবাহন চলবে। বর্তমান সময়ে আমাদের ফ্লাইওভার খুব প্রয়োজন ছিল। এখন পাবলিকের যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেলের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামও যানজটের শহর। তবে চট্টগ্রামের যাতায়াত ঢাকার চেয়েও বহুমুখী। তাই যানজট এড়াতে সড়কের উপর সড়ক, নৌপথে যাতায়াত, মেট্রোরেলে যাতায়াতসহ সব রকম যাতায়াতের পথ খোলা রাখতে হবে। এ জন্য এখনই উদ্যোগ না নিলে অচিরেই চট্টগ্রাম অচল শহরে পরিণত হবে। তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন তো বললেই হয় না, এরজন্য সময়ের প্রয়োজন। তাই ফ্লাইওভার নির্মাণের পর এখন মেট্রোরেল নিয়ে ভাবছি আমরা। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলী নদীপথে ওয়াটার বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সবকিছু্ই চট্টগ্রামকে উন্নত নগরীতে পরিণত করবে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। চট্টগ্রাম সচল না থাকলে দেশও অচল হয়ে যাবে। তাই বহুমুখী যাতায়াতে চট্টগ্রামের অবকাঠামোর উন্নয়নে এখনই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। একই মত প্রকাশ করেন সিআরডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার জোহাং ইয়াং, মজুমদার এন্টারপ্রাইজ কার্যনির্বাহী পরিচালক (এডমিন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. সাব্বির হাসান ও সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তারা বলেন, চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক হচ্ছে কালুরঘাট বিমানবন্দর সড়ক। এ সড়কের যানজট নিরসনে বহদ্দারহাট এবং মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। আবার টাইপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে নগরীর অর্ধেক যানজট কমে যাবে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেল চালু হলে যাতায়াতে যুগান্তকারী সুফল আসবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য।