শেষের পাতা
ওবায়দুল কাদেরকে প্রকাশ্যে জাতির কাছে মাফ চাইতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির সঙ্গে প্রতারণার কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে জাতির কাছে মাফ চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যশোরের যুবদল কর্মী ফয়সাল হোসেনকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বললেন প্রধানমন্ত্রী সব দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেন। আবার বলছেন সংলাপ নয়, শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সব দলকে ডাকবেন। তিনি ভারসাম্য হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, কাদের সাহেবকে গিয়ে বলেন, প্রথমে স্টেডিয়ামে গিয়ে জাতির কাছে মাফ চাইতে হবে। জাতির সঙ্গে যে ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন, জাতিকে বঞ্চিত করেছেন, এটা যেন তারা স্টেডিয়ামে গিয়ে মাফ চান। তারপর অন্যান্য দল, মত সবার সঙ্গে আলোচনা করার একটা পথ তৈরি হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিতে যে ব্যালেন্স থাকে, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।
নির্বাচনে এতো বড় চুরি করেছে, যে চুরি সামাল দিতে পারছে না। মাথায় সমস্যা হচ্ছে। সারা দেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা কী ভয়ঙ্কর! সেখানে থাকলে মানুষকে আর মানুষ মনে হয় না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, আক্রমণ, রক্তপাত সবকিছু করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশকে আজ হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে। যশোরের যুবদল কর্মী ফয়সালের শরীরের বেশ কিছু স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার শরীরে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা না করা হলে ফয়সাল ভালো হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে জনগণের সমস্ত আমানত লুণ্ঠন করেছে। তারা ফাঁকা মাঠে গোল করার যে গ্রুপিং করেছিলো তা জাতির সামনে খোলাসা হয়ে গেছে। নৃশংসতা, নীলনকশা ও অপকৌশল জনগণের সামনে উঠে এসেছে। তাদের লজ্জা নেই, শরম নেই। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের মহাবিজয়ের কথা বলছে। অথচ মহাবিজয়ে সারা দেশের মানুষের মুখে কোনো হাসি নেই। এই নির্বাচনের পর থেকে দেশে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সরকার এখন মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে কাজ করছে। তারা তাদের নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি, জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা এবং বিদেশি প্রভুদের মনতুষ্টির জন্য এ কাজগুলো করছে। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাবেন কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলেই তাঁরা সংলাপে যাবেন। তা না হলে যাবেন না।
হাসপাতালে অন্যান্যের মধ্যে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মহাসচিব ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যশোর সদর আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে এতো বড় চুরি করেছে, যে চুরি সামাল দিতে পারছে না। মাথায় সমস্যা হচ্ছে। সারা দেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা কী ভয়ঙ্কর! সেখানে থাকলে মানুষকে আর মানুষ মনে হয় না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, আক্রমণ, রক্তপাত সবকিছু করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশকে আজ হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে। যশোরের যুবদল কর্মী ফয়সালের শরীরের বেশ কিছু স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার শরীরে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা না করা হলে ফয়সাল ভালো হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে জনগণের সমস্ত আমানত লুণ্ঠন করেছে। তারা ফাঁকা মাঠে গোল করার যে গ্রুপিং করেছিলো তা জাতির সামনে খোলাসা হয়ে গেছে। নৃশংসতা, নীলনকশা ও অপকৌশল জনগণের সামনে উঠে এসেছে। তাদের লজ্জা নেই, শরম নেই। ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের মহাবিজয়ের কথা বলছে। অথচ মহাবিজয়ে সারা দেশের মানুষের মুখে কোনো হাসি নেই। এই নির্বাচনের পর থেকে দেশে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সরকার এখন মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে কাজ করছে। তারা তাদের নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি, জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করা এবং বিদেশি প্রভুদের মনতুষ্টির জন্য এ কাজগুলো করছে। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাবেন কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলেই তাঁরা সংলাপে যাবেন। তা না হলে যাবেন না।
হাসপাতালে অন্যান্যের মধ্যে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মহাসচিব ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যশোর সদর আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।