দেশ বিদেশ

আইন মানলে সড়কে সব ঠিক হয়ে যাবে -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন

ট্রাফিক আইন মানলে সড়কে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর চালক, যাত্রী এবং পথচারীরা যদি ট্রাফিক আইন মানেন তাহলে সড়কে যে বিশৃঙ্খলা রয়েছে সেটিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক পক্ষ উদ্বোধনকালে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা আবারো ১৫ দিনব্যাপী ট্রাফিক পক্ষ পালন করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে সবাইকে ট্রাফিক বিষয়ে সচেতন করতে আমরা চেষ্টা করবো। যদি সবাই মিলে নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করি তাহলে এ দুর্বিষহ যানজট নিরসন হয়ে যাবে। ছয় মাস আগেও মোটরসাইকেল চালকরা হেলমেট পরতো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সবাই হেলমেট পরছে। আমরা শৃঙ্খলায় ফিরতে চাই, এটা তার প্রমাণ। তাই আমরা ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশকে দেখাতে চাই, আইন মানলে চলাচল কীভাবে স্বস্তিদায়ক হয়। আমাদের এ ট্রাফিক সপ্তাহে আপাতত রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সংযুক্ত হবে। প্রয়োজনে রোববার স্কাউটের সদস্যরাও সংযুক্ত হবে। পথচারী, যাত্রী এবং বাস চালকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কানে লাগিয়ে বাস চালাবেন না, মোটরসাইকেল চালাবেন না, রাস্তা পারাপার হবেন না। তাহলেই সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। আপনাদের সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আপনার চলতি অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। বক্তব্য শেষে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক পক্ষ ঘোষণার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা নানাবিধ চেষ্টা করছি বাস মালিক থেকে শুরু করে যাত্রীদেরও সচেতন করার। আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আশাবাদী, পরিবর্তন হবেই। এবার রাজধানীর প্রায় ৫৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা সদস্যরা ট্রাফিক সচেতনতায় কাজ করবে। ১৫ই জানুয়ারি থেকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক পক্ষ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সময় জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। সেগুলো হলো: ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সদস্যদের নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনগুলো ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রাক্রসিং ও রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান এবং স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাস শুরু এবং ছুটির সময়ে ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল-কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা। হাইড্রলিক হর্ণ, দ্রুত গতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টোপথে চলাচল এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারসহ সব ধরনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সব সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ। জেব্রাক্রসিংয়ের আগে গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেঁষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা নিশ্চিত করা। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমানবন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশনগুলো রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা এবং ফার্মগেট থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status