বাংলারজমিন
কালীগঞ্জে হত্যা করে লাশ গুম
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
১৬ জানুয়ারি ২০১৯, বুধবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নারগানা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিবেশী বোরহানকে হত্যা করে পাথর বেঁধে নৌকাসহ নদীতে ডুবিয়ে লাশ গুম করে। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ১৩ দিন পর সন্দেহভাজনদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও গুমের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়ায়- পিতা, পুত্র ও ভাতিজাসহ দক্ষিণ নারগানা গ্রামের অনিল চন্দ্র বর্মনের ছেলে কমল চন্দ্র বর্মন (৩৫), মৃত গুরুদাস চন্দ্র বর্মনের ছেলে পরিমল চন্দ্র বর্মন ও তার ছেলে পাপন চন্দ্র বর্মন (১৮)কে আটক করে কালীগঞ্জ থানার এসআই শাকিব হাসান থানায় নিয়ে আসেন। নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম জানান, গত ২রা জনুয়ারি তার স্বামী বোরহান উদ্দিন শেখ (৪০) রাতে দক্ষিণ নারগানার আরুর গুদারাঘাটে নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। ওই রাতের পর থেকে সে নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে নরসিংদীর পলাশ থানায় জানুয়ারির ৬ তারিখ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানায় জানুয়ারির ৭ তারিখ স্বামীর নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রতিবেশী নুরু মিয়ার মেয়ের জামাই আলমগীর হোসেন পলাশ থেকে নৌকায় নদী পার হওয়ার সময় নদীর পশ্চিম পাড়ে কমলকে দেখতে পায়। তারই সূত্র ধরে কমলকে জিজ্ঞাসাবাদে কমল চন্দ্র বর্মন স্বীকারোক্তিতে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পরিমলের সঙ্গে থাকা সাবল দিয়ে বোরহানের মাথায় আঘাত করলে বোরহান নৌকায় লুটিয়ে পড়ে। বোরহানের অবস্থা বেগতিক দেখে হত্যাকারীরা তাকে মৃত ভেবে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে পাথর বেঁধে ও জাল দিয়ে পেঁচিয়ে নৌকাসহ কো-অপারেটিভ ও জনতা জুটমিল মাঝ নদীতে ডুবিয়ে দেয়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে পলাশ থানার ওসি মো. মকবুল মোল্লা সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, এ সংক্রান্ত কাউকে আটক করা হয়নি। সংবাদটি লেখা অবধি মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ তথ্যের ভিত্তিতে পলাশ থানার ওসি মো. মকবুল মোল্লা সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, এ সংক্রান্ত কাউকে আটক করা হয়নি। সংবাদটি লেখা অবধি মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।