রকমারি
শুধু চা পান করে ৩০ বছর
অনলাইন ডেস্ক
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৭:০৭ পূর্বাহ্ন
সারা দিন পুজা আর সূর্যাস্তের পর এক কাপ কালো চা। ৩০ বছর ধরে এ ভাবেই বেঁচে রয়েছেন এক মহিলা।
মহিলার নাম পিল্লি দেবী। ভারতের ছত্তীসগড়ের এই বাসিন্দাকে সবাই ‘চা-ওয়ালি চাচি’ নামেই চেনে। ছত্তীসগড়েরর কোরিয়ার বাসিন্দা তিনি। পিল্লি দেবীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর। পিল্লি দেবী যখন ১১ বছরের তখন থেকেই শুধু চা খাওয়া শুরু করেন তিনি।
তাঁর বাবা রাতি রাম জানিয়েছেন, তখন পিল্লি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন। জনকপুরের পটনা স্কুল থেকে তাঁকে একটি জেলা স্তরে টুর্নামেন্টে যোগ দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করেন। চা ছাড়া কিছু খেতে চাইতেন না। পানিও খেতেন না। তবে তখন দুধ চা খেতেন। আর চায়ের সঙ্গে খেতেন বিস্কুট-পাউরুটিও। কিন্তু যত দিন গড়াতে থাকে পিল্লি দেবীর খাদ্যাভ্যাসে আরও বদল ঘটতে থাকে। অবশেষে শুধুমাত্র কালো চা খাওয়া শুরু করেন তিনি। বিস্কুট, পাউরুটি কিছুই আর খান না।
তাঁর ভাই বিহারিলাল রাজভাদে জানান, ঘর থেকে কোথাও বার হন না তিনি। সারা দিন তিনি শিবের আরাধনা করেন। আর সূর্যাস্তের পর এক কাপ কালো চা খান। এটাই তাঁর রোজকার রুটিন।
কিন্তু এত দিন ধরে শুধুমাত্র চা খেয়ে কী ভাবে এক জন বেঁচে থাকতে পারেন?
কোরিয়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এসকে গুপ্ত জানান, এক জন মানুষের পক্ষে এটা একেবারেই অসম্ভব। চা-এ খুবই সামান্য ক্যালোরি রয়েছে। মানুষের ন্যূনতম দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদাও পূর্ণ হয় না চা থেকে। তিনি বলেন, খুবই আশ্চর্যের বিষয়। বিজ্ঞানের নিয়মে, এতগুলো বছর ধরে চা খেয়ে এক জন বাঁচতে পারেন না। খবরটি প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাচজার। তারা খবরটিতে আরো বলেন, নবরাত্রির সময় টানা ৯ দিন উপোস করে থাকা আর ৩৩ বছর ধরে চা উপোস করে থাকা এক নয়। এটা অসম্ভব।
পিল্লি দেবীর এই জীবনযাত্রা তাঁর পরিবারের কাছেও একটা বিস্ময়। অনেক হাসপাতাল, ডাক্তার করেছি। কিন্তু তিনি কেন এরকম করেন তা জানা যায়নি। তাঁর কোনও অসুখও নেই, বলেন তাঁর ভাই।
মহিলার নাম পিল্লি দেবী। ভারতের ছত্তীসগড়ের এই বাসিন্দাকে সবাই ‘চা-ওয়ালি চাচি’ নামেই চেনে। ছত্তীসগড়েরর কোরিয়ার বাসিন্দা তিনি। পিল্লি দেবীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর। পিল্লি দেবী যখন ১১ বছরের তখন থেকেই শুধু চা খাওয়া শুরু করেন তিনি।
তাঁর বাবা রাতি রাম জানিয়েছেন, তখন পিল্লি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন। জনকপুরের পটনা স্কুল থেকে তাঁকে একটি জেলা স্তরে টুর্নামেন্টে যোগ দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করেন। চা ছাড়া কিছু খেতে চাইতেন না। পানিও খেতেন না। তবে তখন দুধ চা খেতেন। আর চায়ের সঙ্গে খেতেন বিস্কুট-পাউরুটিও। কিন্তু যত দিন গড়াতে থাকে পিল্লি দেবীর খাদ্যাভ্যাসে আরও বদল ঘটতে থাকে। অবশেষে শুধুমাত্র কালো চা খাওয়া শুরু করেন তিনি। বিস্কুট, পাউরুটি কিছুই আর খান না।
তাঁর ভাই বিহারিলাল রাজভাদে জানান, ঘর থেকে কোথাও বার হন না তিনি। সারা দিন তিনি শিবের আরাধনা করেন। আর সূর্যাস্তের পর এক কাপ কালো চা খান। এটাই তাঁর রোজকার রুটিন।
কিন্তু এত দিন ধরে শুধুমাত্র চা খেয়ে কী ভাবে এক জন বেঁচে থাকতে পারেন?
কোরিয়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এসকে গুপ্ত জানান, এক জন মানুষের পক্ষে এটা একেবারেই অসম্ভব। চা-এ খুবই সামান্য ক্যালোরি রয়েছে। মানুষের ন্যূনতম দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদাও পূর্ণ হয় না চা থেকে। তিনি বলেন, খুবই আশ্চর্যের বিষয়। বিজ্ঞানের নিয়মে, এতগুলো বছর ধরে চা খেয়ে এক জন বাঁচতে পারেন না। খবরটি প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাচজার। তারা খবরটিতে আরো বলেন, নবরাত্রির সময় টানা ৯ দিন উপোস করে থাকা আর ৩৩ বছর ধরে চা উপোস করে থাকা এক নয়। এটা অসম্ভব।
পিল্লি দেবীর এই জীবনযাত্রা তাঁর পরিবারের কাছেও একটা বিস্ময়। অনেক হাসপাতাল, ডাক্তার করেছি। কিন্তু তিনি কেন এরকম করেন তা জানা যায়নি। তাঁর কোনও অসুখও নেই, বলেন তাঁর ভাই।