শেষের পাতা

কৌশল নির্ধারণ করবে আওয়ামী লীগ

কাজী সোহাগ

১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

নির্বাচন ও সরকার গঠন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কৌশল নির্ধারণ করবে আওয়ামী লীগ। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা শীর্ষ নেতাদের ওই নির্দেশনা দেবেন। এজন্য আজ দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের নিয়ে যৌথসভা আহ্বান করা হয়েছে। বিকাল তিনটায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনের পর এই প্রথম দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে বসছেন তিনি। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনে তৎপর অনেক নেতাকে এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়েছে। তারা সরকার পরিচালনায় ব্যস্ত সময় পার করবেন। তাই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে কে কি ধরনের ভূমিকা পালন করবেন তার নির্দেশনা ঠিক করা হবে।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যেন কোনো ধরনের দুর্বলতা ফুটে না ওঠে সে কারণে এখন থেকেই  পরিকল্পিতভাবে এগোতে চায় আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিএনপিসহ অন্যকোনো দল যেন সরকারের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য কৌশল নির্ধারণ করবে দলটি। নেতারা জানান, রাজনৈতিকভাবে সব সময় মাঠ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মূলত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় দলটি। পাশাপাািশ দলের ভেতরে আগাম সম্মেলন নিয়ে আলোচনা চলছে। আজকের বৈঠকে এ বিষয় নিয়েও হয়তো বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

দলের প্রধান শেখ হাসিনার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে জানান কয়েক নেতা। এ প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, যৌথসভায় আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাবো। কারণ তার কালজয়ী নেতৃত্ব ও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে এ ধরনের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে সংগঠনের কার্যক্রমকে কিভাবে আরও গতিশীল ও বেগবান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি কিভাবে নতুন করে সংগঠনকে সাজানো যায় তা নিয়েও কৌশল র্নিধারণ করা হবে। আওয়ামী লীগ যেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে একমাত্র আশ্রয়স্থল হয় সেজন্য দলকে কিভাবে প্রস্তুত করা যায় সে বিষয়টি উঠে আসবে যৌথসভায়। নির্বাচনের আগে যারা সংগঠনে অনেক সময় দিয়েছেন তাদের অনেককেই এরইমধ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়েছে।

এতে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কোনো দুর্বলতা তৈরি হবে কি না প্রশ্নে আবদুর রহমান বলেন, সরকার পরিচালনার বাইরেও যারা আছেন তাদের অনেকেই এই দল চালানোর যোগ্যতা রাখেন। তাই আওয়ামী লীগে নেতৃত্বশূন্যতার কোনো আশংকা নেই। সাংগঠনিক কোনো দুর্বলতা আওয়ামী লীগে থাকবে না ইনশাল্লাহ। মূলত এসব বিষয় নিয়েই যৌথসভায় আলোচনা ও কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এদিকে আওয়ামী লীগে আগাম সম্মেলনের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান দলের শীর্ষ কয়েক নেতা। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তারা বলেন, বিষয়টি দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। কারণ, এরইমধ্যে তিনি আগামী অক্টোবর মাসের আগেই সম্মেলন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

শেখ হাসিনা কয়েক নেতাকে আগামী মার্চে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। কেন্দ্রীয় নেতারা মার্চে উপজেলা নির্বাচন হবে মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ঠিক আছে, এর দুয়েক মাসের মধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে এগুতে থাকেন। আমি গতিশীল ও শক্তিশালী আওয়ামী লীগ দেখতে চাই। সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, আগাম সম্মেলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ মার্চের পর যে কোনো সময় সম্মেলন হয়ে যাবে। দলের নেতারা জানান, দলকে সুসংগঠিত করতে আগাম সম্মেলনের কথা ভাবা হচ্ছে। শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা দিয়ে যেমন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে সমর্থ হয়েছেন, তেমনি দলকেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যেতে চান এ পাঁচ বছরে। তাই জাতীয় সম্মেলন করে দলেও নতুনভাবে প্রাণের সঞ্চার করতে চান তিনি। দলেও এবার নতুনদের ওপর বেশি আস্থা রাখবেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩শে অক্টোবর।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status