শেষের পাতা
রংপুরে নিয়ন্ত্রণহীন চালের বাজার
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
সারা দেশের ন্যায় রংপুরে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে চালের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন-মধ্য আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। রংপুরে চাল আড়তগুলোতে হাজার হাজার বস্তা চাল মজুদ থাকলেও মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জনগণ মনে করছেন সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বস্তা প্রতি ৫ থেকে ৬শ’ টাকা বেড়েছে। ধান ও চালের কোনো সংকট না থাকলেও ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির কারণে হাঁপিয়ে উঠেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
গতকাল রংপুরের চাল মিল এলাকা মাহিগঞ্জ ও সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকলেও দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে মোটা চাল কেজি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা ও চিকন চাল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ দু-সপ্তাহ আগে মোটা-চিকন চাল কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৬ থেকে ৮ টাকা কম ছিল। রংপুর নগরীর বাবুপাড়া এলাকার মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী গুড্ডু মিয়া বলেন, দোকানে সারাদিন ব্যবসা করে ৩-৪শ’ টাকা উপার্জন করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এর ওপর চাল, ডিম, মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। দোকান কর্মচারী আলম মিয়া বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষজন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। দোকানদার শামীম জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কোনো সমস্যা না হলেও সমস্যায় পড়েছে মধ্য নিম্নবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
সাধারণ মানুষের বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী জাদু মিয়া বলেন, আমরা খুচরা ব্যবসায়ী বড় বড় আড়তে দাম বেড়েছে। কি কারণে বেড়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না। অপর এক ব্যবসায়ী জানান, সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযান চলছে। এ অযুহাতে বড় বড় আড়তদাররা চালের দাম বাড়িয়েছে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুরের ৯টি খাদ্য গুদামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল বরাদ্দ পেয়েছে মিঠাপুকুর। এখান থেকে ৩ হাজার ৫২৯ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া পীরগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে ৩ হাজার ১৫২ টন, রংপুর সদর থেকে ২ হাজার ৯২৮ টন, পীরগাছা উপজেলা থেকে ১ হাজার ৭০৬ টন, বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৪২ টন, তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৫৮ টন, কাউনিয়া উপজেলা থেকে ১ হাজার ৩০৪ টন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে ১ হাজার ২৯৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
গতকাল রংপুরের চাল মিল এলাকা মাহিগঞ্জ ও সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকলেও দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে মোটা চাল কেজি ৪২ থেকে ৪৪ টাকা ও চিকন চাল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ দু-সপ্তাহ আগে মোটা-চিকন চাল কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৬ থেকে ৮ টাকা কম ছিল। রংপুর নগরীর বাবুপাড়া এলাকার মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী গুড্ডু মিয়া বলেন, দোকানে সারাদিন ব্যবসা করে ৩-৪শ’ টাকা উপার্জন করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এর ওপর চাল, ডিম, মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। দোকান কর্মচারী আলম মিয়া বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষজন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। দোকানদার শামীম জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কোনো সমস্যা না হলেও সমস্যায় পড়েছে মধ্য নিম্নবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
সাধারণ মানুষের বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী জাদু মিয়া বলেন, আমরা খুচরা ব্যবসায়ী বড় বড় আড়তে দাম বেড়েছে। কি কারণে বেড়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না। অপর এক ব্যবসায়ী জানান, সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযান চলছে। এ অযুহাতে বড় বড় আড়তদাররা চালের দাম বাড়িয়েছে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুরের ৯টি খাদ্য গুদামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল বরাদ্দ পেয়েছে মিঠাপুকুর। এখান থেকে ৩ হাজার ৫২৯ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া পীরগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে ৩ হাজার ১৫২ টন, রংপুর সদর থেকে ২ হাজার ৯২৮ টন, পীরগাছা উপজেলা থেকে ১ হাজার ৭০৬ টন, বদরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৪২ টন, তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৫৮ টন, কাউনিয়া উপজেলা থেকে ১ হাজার ৩০৪ টন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা থেকে ১ হাজার ২৯৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।