খেলা
‘বিপিএলে এখনো যা প্রয়োজন’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
২০১২, দেশের ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। ভারতের আইপিএল দেখে এ দেশের ক্রিকেট ভক্তদেরও ছিল দারুণ আশা। বিপিএল হয়তো সেই আদলেই হবে। গেল ৭ বছরে ৬টি আসর মাঠে গড়ালেও প্রতিবারই ছিল আয়োজনে নানা বিতর্ক। খেলার মাঠ থেকে শুরু করে মাঠের বাইরে ছিল নানা ভুলত্রুটি। যদিও আয়োজকদের দাবি এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টি-টোয়েন্টির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। সত্যিকার অর্থে কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে বিপিএল? আর এখনো কতটা ঘাটতি? এই দুই প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রথম চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘দেখেন আমাদের আরো কিন্তু ঘরোয়া আসর আছে। তার মধ্যে বিপিএলের মতো এত বড় বাজেটের একটি টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন হচ্ছে সেটি অনেক বড় বিষয়। যদি প্রত্যাশার কথা বলেন তাহলে নিয়মিত আয়োজনকে আমি বড় বিষয় বলবো। এ জন্য বিসিবি অবশ্যই প্রশংসা পাবে। আর ঘাঁটতিতো আছেই কিছু। এর মধ্যে অন্যতম হলো একই ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ হওয়া। যে কারণে উইকেটের উপর চাপ বাড়ে। এতে নিয়মিত উইকেট প্রস্তুত করতেও সমস্যা হয়। যে কারণে রান কম হয়। যদি একই দিনে দুটি ভেন্যুতে ম্যাচ হত তাহলে এই সমস্যাগুলো কিন্তু থাকতো না। তাহলে দেখবেন মাঠে দর্শকের অভাব হবে না। এখন একটি ভেন্যুতে দর্শকরা প্রতিদিন খেলা দেখতে চায় না। আর একটা বিষয় অবশ্যই উইকেট যারা তৈরি করে তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন রান আসে। নয়তো টি-টোয়েন্টি দর্শকরা মাঠে আসতে চাইবে না।’
এক ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ আয়োজন করতেই হিমশিম খেতে হয় আয়োজকদের। মাঠের খেলা থেকে শুরু করে সম্প্রচার সব জায়গাতে মুখোমুখি হতে হয় নানা রকম সমালোচনার। সেখানে একই দিনে দুটি ম্যাচ তাও আলাদা আলাদা ভেন্যুতে তা বাস্তবতায় কতটা সম্ভব? গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আসলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ একপেশে ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ হেরেছে। এখন কিন্তু সেটি নেই। যদি ক্রিকেটাররা মাঠে পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে পারে, যদি আর্থিক অবস্থা ভালো থাকে, আয়োজনের মত পর্যাপ্ত যোগ্য লোক থাকে তাহলে কেন সম্ভব নয়। বিশেষ করে এখন করপোরেট যুগ, এখানে ইভেন্ট আয়োজন করে দিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়। প্রয়োজনে বাইরে থেকেও লোক আনা যেতে পারে। হ্যা, ক্রিকেটারদের একটু ভ্রমণ বাড়বে। আইপিএলে এটি হচ্ছে। আর শুরুতো করতে হবে, ভুলভ্রান্তি কিছুটা হলেও থাকবে। প্রথম হিসেবে সেটি করে সামনে শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের আইপিএল থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। হতে পারে যখন আইপিএল চলে সেখানে গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা যেতে পারে। শুধু যে তারাই যাবে তাহলে হবে না, ফ্র্যাঞ্চাজিগুলোকেও যেতে হবে। দেখতে হবে যে একটি বড় আয়োজনে কিভাবে তারা সবকিছু প্রস্তুত করছে।’
বিপিএল চার-ছক্কার খেলা। বলতে গেলে ক্রিকেটে এটি এখন বিনোদন খেলা। তাই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে? এই বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই রাখতে পারছে। এই একটি টুর্নামেন্টের উপর ভিত্তি করেই দেশের ক্রিকেটার বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমাদেরতো আর তেমন কোন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিরদের আসর নেই। ‘এটি সত্যি যে এখানে গুটি কয়েক ক্রিকেটারই ভালো কিছু করতে পারছে। যারা নতুন, খুব বেশি প্রতিভাবান না হলে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। কারণ, এত বড় আসরে হঠাৎ এসে তারা খেই হারিয়ে ফেলে। যে কারণে বিপিএলের বাইরেও আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট প্রয়োজন। যেখানে সব দেশি ক্রিকেটারই সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরার।’
চলতি বিপিএল কতটা প্রত্যাশা মেটাতে পারছে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে লিপু বলেন, ‘দেখেন ভালো হচ্ছে। মিরপুরের উইকেটের কারণে হয়তো ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না। এই জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে ক্রিকেটারদেরও সেইভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেই সঙ্গে আয়োজকদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন এমন উইকেটে খেলা দেয় যেখানে রান আসে।’
এক ভেন্যুতে দুটি ম্যাচ আয়োজন করতেই হিমশিম খেতে হয় আয়োজকদের। মাঠের খেলা থেকে শুরু করে সম্প্রচার সব জায়গাতে মুখোমুখি হতে হয় নানা রকম সমালোচনার। সেখানে একই দিনে দুটি ম্যাচ তাও আলাদা আলাদা ভেন্যুতে তা বাস্তবতায় কতটা সম্ভব? গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আসলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ একপেশে ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ হেরেছে। এখন কিন্তু সেটি নেই। যদি ক্রিকেটাররা মাঠে পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে পারে, যদি আর্থিক অবস্থা ভালো থাকে, আয়োজনের মত পর্যাপ্ত যোগ্য লোক থাকে তাহলে কেন সম্ভব নয়। বিশেষ করে এখন করপোরেট যুগ, এখানে ইভেন্ট আয়োজন করে দিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়। প্রয়োজনে বাইরে থেকেও লোক আনা যেতে পারে। হ্যা, ক্রিকেটারদের একটু ভ্রমণ বাড়বে। আইপিএলে এটি হচ্ছে। আর শুরুতো করতে হবে, ভুলভ্রান্তি কিছুটা হলেও থাকবে। প্রথম হিসেবে সেটি করে সামনে শুধরে নেয়ার সুযোগ থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের আইপিএল থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। হতে পারে যখন আইপিএল চলে সেখানে গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা যেতে পারে। শুধু যে তারাই যাবে তাহলে হবে না, ফ্র্যাঞ্চাজিগুলোকেও যেতে হবে। দেখতে হবে যে একটি বড় আয়োজনে কিভাবে তারা সবকিছু প্রস্তুত করছে।’
বিপিএল চার-ছক্কার খেলা। বলতে গেলে ক্রিকেটে এটি এখন বিনোদন খেলা। তাই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে? এই বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই রাখতে পারছে। এই একটি টুর্নামেন্টের উপর ভিত্তি করেই দেশের ক্রিকেটার বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমাদেরতো আর তেমন কোন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিরদের আসর নেই। ‘এটি সত্যি যে এখানে গুটি কয়েক ক্রিকেটারই ভালো কিছু করতে পারছে। যারা নতুন, খুব বেশি প্রতিভাবান না হলে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। কারণ, এত বড় আসরে হঠাৎ এসে তারা খেই হারিয়ে ফেলে। যে কারণে বিপিএলের বাইরেও আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট প্রয়োজন। যেখানে সব দেশি ক্রিকেটারই সুযোগ পাবে নিজেদের মেলে ধরার।’
চলতি বিপিএল কতটা প্রত্যাশা মেটাতে পারছে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে লিপু বলেন, ‘দেখেন ভালো হচ্ছে। মিরপুরের উইকেটের কারণে হয়তো ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন না। এই জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে ক্রিকেটারদেরও সেইভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেই সঙ্গে আয়োজকদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন এমন উইকেটে খেলা দেয় যেখানে রান আসে।’