খেলা
অশ্রুসিক্ত মারের ‘বিদায় ভাষণ’
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
মেলবোর্নে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে অ্যান্ডি মারের। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বৃটিশ টেনিস তারকা। এ বছরই নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ দেখছেন চোটে কাতর ৩১ বছর বয়সী মারে। আগামী জুন-জুলাইয়ে নিজ মাঠে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে অবসরের পরিকল্পনা করছেন তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। তবে মারের ভীতি, আগামী ১৪ই জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম আসর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট। অবসরের পর সুন্দর জীবনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দু’বারের অলিম্পিক গোল্ড বিজয়ী। গত বছরের জানুয়ারিতে করা নিতম্বের (হিপ) অস্ত্রোপচার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি মারে। টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান মারের অবস্থান এখন ২৩০তম। মারে বলেন, ‘ব্যথা নিয়ে আরো চার থেকে পাঁচ মাস খেলতে পারবো কিনা আমি জানি না। আমি উইম্বলডনে খেলেই থামতে চাই। কিন্তু তা করতে পারবো কিনা নিশ্চিত নই।’ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে মারের প্রতিপক্ষ ২২তম বাছাই স্প্যানিয়ার্ড রবার্তো বাতিস্তা অগাট। গত বছরের জুনে কোর্টে ফেরার পর মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলেছেন মারে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ২০১৮ সাল শেষ করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচে মারে পারফরম্যান্সের ঘাটতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মারে বলেন, ‘আমি ভালো অনুভব করছি না। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছি। ২০ মাস ধরে তীব্র ব্যথার মধ্য রয়েছি। নিতম্বকে ভালো রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেছি। কিন্তু এটা চাপ নিতে সাহায্য করেনি। ৬ মাসের আগের চেয়ে ভালো পর্যায়ে থাকলেও এখনো অনেক ব্যথা হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সামর্থ্য রাখি। তবে আমি যে লেভেলে খেলে অভ্যস্ত সেভাবে সম্ভব নয়।’ গ্র্যান্ড স্লামে ২০১২ ইউএস ওপেন এবং ২০১৩ ও ২০১৬ উইম্বলডন জেতেন মারে। আর কখনো সেরকম পারফরম্যান্স করতে পারবেন না বলে নিজের সামর্থ্যের মূল্যায়ন করেন তিনি। নিতম্বে আরেকটি অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে মারে বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সার্জারি করানো একটি বিকল্প। আবারো সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার জন্য আমি তা করতে চাই না। ভালো জীবন ও কম ব্যথা নিয়ে থাকা এর প্রধান কারণ। ক্রীড়াবিদরা এরকম অপারেশন করে খেলায় ফেরে। কিন্তু টেনিস ও সিঙ্গেল ম্যাচের ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই প্রযোজ্য নয়। দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করলে আমি আবারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো কিনা নিশ্চিত নই। অবসরের পর ভালো থাকতে এটির প্রয়োজন হতে পারে।’