এক্সক্লুসিভ

জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার

১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন

৪১ বছর বয়সী প্রদীপ পোদ্দার। দীর্ঘদিন তিনি জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। টঙ্গীর আলতাফ প্লাজায় তার একটি দোকান আছে। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনরা তাকে জুয়েলারি ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনে। কিন্তু তিনি এই ব্যবসার আড়ালে ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। পুরোদমে প্রদীপ বড় একটি ডাকাত দলের সর্দারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ঢাকার গাজীপুর, উত্তরাসহ আরো কিছু এলাকায় তার দল ডাকাতি করতো। তার ডাকাত দলে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য আছে। দিনের বেলা বিভিন্ন এলাকার দোকান, বাসা-বাড়ি চিহ্নিত করতেন। আর রাতের বেলা দল নিয়ে গিয়ে ডাকাতি করতেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১) গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাত গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য বের হয়ে এসেছে। গতকাল কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারওয়ার বিন কাশেম।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই অধিনায়ক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল টঙ্গী ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন দোকান ও বাসা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব অভিযোগ পাওয়ার পর মাঠে নামে র‌্যাব সদস্যরা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো- প্রদীপ পোদ্দার (৪১), মো. দুলাল হোসেন (৩০), মো. রাসেল (২২), জাকির হোসেন (২৬), কোকিলা বেগম (২৪) ও হাজেরা বেগম (৫২)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ ভরি সোনার গয়না, চারটি মোবাইল ফোন এবং ১১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রদীপ পোদ্দার ডাকাত চক্রের প্রধান হোতা। সে অন্তত ১০/১২ জন ডাকাত পালতো। তারা দল বেঁধে ডাকাতি করতো। ডাকাতি করে পাওয়া সোনার গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস তার আলতাফ প্লাজার দোকানে রেখে বিক্রি করতো। সেখান থেকে যা টাকা আসতো প্রদীপ সবাইকে দিয়ে বড় অংশ তার কাছেই রেখে দিতো। দলের কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে তাকে জামিনের জন্য ও সংসার খরচের টাকাও দিতো প্রদীপ।

সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুলাল উত্তরা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতো।  কাপড় বিক্রির আড়ালে সে বিভিন্ন এলাকার মানুষের বাড়িঘর চিহ্নিত করতো। এলাকাবাসীর গতিবিধি বুঝে উঠাই মূল কাজ ছিল তার। দুলালের দেয়া তথ্য মতেই প্রদীপের নেতৃত্বে রাতে সবাই মিলে ডাকাতি করতো। ডাকাতি করা মালামাল প্রথমে লুকিয়ে রাখা হতো দুলালের স্ত্রী কোকিলা ও মা হাজেরার কাছে। পরে সুযোগ বুঝে সেগুলো নেয়া হতো প্রদীপের দোকানে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এই ছয়জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status