শরীর ও মন
শীতে হাঁপানির সমস্যা; জেনে নিন মুক্তির উপায়
অনলাইন ডেস্ক
৪ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, ৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
শীত বাড়ছে, বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, শুধু শীতকালেই নয়, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনও সময়েই হাঁপানি সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে ইদানীংকালের মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।
আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধুলো, অ্যালার্জি বা অন্যান্য কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী এই নালী পথগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়।
হাঁপানির কারণ-
# হাঁপানির অন্যতম কারণ হল অ্যালার্জি। ধুলো, ধোঁয়া, পশু-পাখির লোম, তুলোর আঁশ, রান্নাঘর বা বিছানার ধুলো, বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলি ‘অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও, রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
# কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক হতে পারে।
# ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা ধূমপান করলে তাঁর গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
# ঋতুপরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
# পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
# অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
# অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
হাঁপানির সমস্যা থেকে বাঁচতে
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হল ডায়বিটিস বা হাই ব্লাডপ্রেশারের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন,...
# ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন।
# বাড়িতে পোষ্য প্রাণী থাকলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। নাকে-মুখে কাপড় বাঁধুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
# ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন।
# বালিশ, কম্বল রোদে দিন।
# নিয়মিত কাচা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরুন, বিছানায় চাদর নিয়মিত বদলে ফেলুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চলতে পারলে হাঁপানি বা অ্যাস্থমা দূরে সরিয়ে রেখে সুস্থ ভাবে জীবনযাপন সম্ভব।
আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধুলো, অ্যালার্জি বা অন্যান্য কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী এই নালী পথগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়।
হাঁপানির কারণ-
# হাঁপানির অন্যতম কারণ হল অ্যালার্জি। ধুলো, ধোঁয়া, পশু-পাখির লোম, তুলোর আঁশ, রান্নাঘর বা বিছানার ধুলো, বাতাসে ভেসে বেড়ানো ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলি ‘অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও, রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
# কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমা/অ্যাস্থমা অ্যাটাক হতে পারে।
# ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা ধূমপান করলে তাঁর গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
# ঋতুপরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
# পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
# অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
# অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
হাঁপানির সমস্যা থেকে বাঁচতে
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হল ডায়বিটিস বা হাই ব্লাডপ্রেশারের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন,...
# ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন।
# বাড়িতে পোষ্য প্রাণী থাকলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। নাকে-মুখে কাপড় বাঁধুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
# ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন।
# বালিশ, কম্বল রোদে দিন।
# নিয়মিত কাচা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরুন, বিছানায় চাদর নিয়মিত বদলে ফেলুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চলতে পারলে হাঁপানি বা অ্যাস্থমা দূরে সরিয়ে রেখে সুস্থ ভাবে জীবনযাপন সম্ভব।