অনলাইন
‘নো কমেন্ট’
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১:৪২ পূর্বাহ্ন
জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা। এক প্রতিষ্ঠানে ৩ কেন্দ্র। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯। কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন নতুন বাজার এলাকার ওই মাদ্রাসায় দুপুর ১২টায় গেলে দেখা যায় বাইরে লোকজনের জটলা। কিন্তু ভোটার লাইন ফাঁকা। বুথে বুথেও ভোটারদের উপস্থিতি নিতান্তই হাতে গোনা। তবে বাহির ও ভেতরের পরিবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণÑ এমনটাই জানালের প্রবেশ গেটে থাকা গিয়াস উদ্দিন নামের এক পোলিং অফিসার। তিনি ১৪৭ নম্বর কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। অবশ্য তিনি ভোটার উপস্থিতি নিয়ে খানিক হতাশা ব্যক্ত করেন। কথা হয় ওই কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামানের সঙ্গেও। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ৪ ঘন্টায় প্রায় ২৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ৩৪২২। ১২ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮০০’এর একটি বেশী। প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলার মুহুর্তে দেখা গেল হুইল চেয়ারে করে একজন প্রতিবন্ধি ভোট দিয়ে ফিরছেন। তার হাসিই বলে দিচ্ছিলো তিনি কতটা তৃপ্ত। ছবি তোলার কথা বললে সঙ্গে থাকা সহায়ককে রেডি করে পোজও দেন। কেন্দ্রটিতে ঢুকার সময় একজন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকে দেখা মিলে। সঙ্গে তার বাংলাদেশী সহকর্মীরা। তিনি পুল ফেরত ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ। নাম সারা এল টায়লর। কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময়ও দেখা গেল তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতেই ব্যস্ত রয়েছেন। তবে অবস্থানে খানিক পরিবর্তন এসেছেন। শুরুতে তিনি মাদ্রাসা গেটে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। পরে অবশ্য গাড়িতে বসেছিলেন। তার সহকর্মীরা জানালেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের তিনি সকাল থেকে কূটনৈতিক জোন এবং আশপাশের অনেক কেন্দ্র ঘুরেছেন। ভোট পরিস্থিতি দেখেছেন। কিন্তু তিনি কী দেখলেন? তার প্রতিক্রিয়াই বা কী? মানবজমিনের তরফে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মী সারা মুচকি হেসে বলেন ‘নো কমেন্ট’। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় কীভাবে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে গত ১৯ বছরের বেশী সময় ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছেন সারা এল টায়লর। তিনি ৪ বছর আগে এশিয়া ফাউন্ডেশনে যোগ দেন। তার আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি।