এক্সক্লুসিভ
ঢাকা-১৬
নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে
মোহাম্মদ ওমর ফারুক
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঢাকা ৬ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। মহাজোট প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের কাজী ফিরোজ রশিদের পাশাপাশি বাকি প্রার্থীরাও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নানা বাধা-বিপত্তি, হামলার পরও নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। গতকাল বিচ্ছিন্নভাবে তার কর্মীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন।
প্রচারণার সপ্তম দিনে গতকাল ধূপখোলা এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন কাজী ফিরোজ রশিদ। ধূপখোলা লোহারপুল, ডিস্টিলারি রোড, দীননাথ সেন রোডে গণসংযোগ করেন তিনি। বৃষ্টিতে ভিজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। দুপুরের পরে কাজী ফিরোজ এসকে দাস রোড, রজনী চৌধুরী রোড এবং কেবি রোডে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে ১৭টি পথসভায় বক্তব্য রাখেন কাজী ফিরোজ রশিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ মিনু, হাসান আসকারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলেনা আক্তার, জহিরুল ইসলাম অ্যাপোলো, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা হাজী ফারুক, ইসহাক ভূইয়া, সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু প্রমুখ।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, ধানের শীষ নিয়ে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে সৈয়দ নাজমুল হুদা, মাছ প্রতীকে আহম্মেদ আলী শেখ, হারিকেন নিয়ে ববি হাজ্জাজ, আম প্রতীক নিয়ে আকতার হোসেন, কাস্তে প্রতীকে আবু তাহের হোসেন ও হাতপাখা প্রতীকে মো. মনোয়ার খান লড়াই করছেন।
সরজমিনে, ঘুরে লাঙ্গল, বাইসাইকেল, হারিকেন, মাছ, কাস্তেসহ অন্য প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেলেও ধানের শীষ প্রতীকের কোনো পোস্টার দেখা যায়নি। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা স্বল্প পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বংশালের চা দোকানি আলী হোসেন বলেন, সবার পোস্টার দেখলেও ধানের শীষের তো কোনো পোস্টার চোখে পড়ে না। এদের কেউ এই পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। শুনেছি ওই প্রার্থীর ওপরে হামলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা মোরশেদ মিয়া জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় কোনো প্রার্থীকেই চোখে পড়েনি। ক্ষমতায় গেলে কেউ আর আমাদের খোঁজ নেয় না। নির্বাচন এলে আবার তাদের দেখা মেলে। তবে এবার বুঝে-শুনে ভোট দিবেন বলে জানান তিনি।
মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ উন্নয়নকে সমর্থন দিচ্ছে গণসংযোগ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি। আশা করি আগামীতে জনগণ এর সঠিক রায় দিবে।
জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের প্রচারণা চালাতে কেউ বাধা দিচ্ছে না। সবাই সহযোগিতা করছেন। আশা করি এমনটা অব্যাহত থাকবে। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থীকে বাধা না দিলে বাধা, বিপত্তি ও পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রচারণা চালাতে গেলেই সরকার দলীয় লোকজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের রীতিমতো ধরপাকড় করছে। এই অবস্থায় কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবো। সোমবার সুব্রত চৌধুরী ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা ৬ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৬ জন। এই আসনটিতে উন্নয়নের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটার একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ এখানে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি।
আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। যার অন্তর্ভুক্ত থানাগুলো হচ্ছে ওয়ারারী, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতোয়ালির একাংশ ও বংশালের একাংশ। সীমানা পূর্বে গেণ্ডারিয়া, পশ্চিমে সিদ্দিক বাজার, উত্তরে ফুলবাড়িয়া ও দক্ষিণে নাজিরাবাজার।
প্রচারণার সপ্তম দিনে গতকাল ধূপখোলা এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন কাজী ফিরোজ রশিদ। ধূপখোলা লোহারপুল, ডিস্টিলারি রোড, দীননাথ সেন রোডে গণসংযোগ করেন তিনি। বৃষ্টিতে ভিজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। দুপুরের পরে কাজী ফিরোজ এসকে দাস রোড, রজনী চৌধুরী রোড এবং কেবি রোডে গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে ১৭টি পথসভায় বক্তব্য রাখেন কাজী ফিরোজ রশিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ মিনু, হাসান আসকারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলেনা আক্তার, জহিরুল ইসলাম অ্যাপোলো, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা হাজী ফারুক, ইসহাক ভূইয়া, সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু প্রমুখ।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, ধানের শীষ নিয়ে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে সৈয়দ নাজমুল হুদা, মাছ প্রতীকে আহম্মেদ আলী শেখ, হারিকেন নিয়ে ববি হাজ্জাজ, আম প্রতীক নিয়ে আকতার হোসেন, কাস্তে প্রতীকে আবু তাহের হোসেন ও হাতপাখা প্রতীকে মো. মনোয়ার খান লড়াই করছেন।
সরজমিনে, ঘুরে লাঙ্গল, বাইসাইকেল, হারিকেন, মাছ, কাস্তেসহ অন্য প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেলেও ধানের শীষ প্রতীকের কোনো পোস্টার দেখা যায়নি। তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা স্বল্প পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বংশালের চা দোকানি আলী হোসেন বলেন, সবার পোস্টার দেখলেও ধানের শীষের তো কোনো পোস্টার চোখে পড়ে না। এদের কেউ এই পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। শুনেছি ওই প্রার্থীর ওপরে হামলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা মোরশেদ মিয়া জানান, গত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় কোনো প্রার্থীকেই চোখে পড়েনি। ক্ষমতায় গেলে কেউ আর আমাদের খোঁজ নেয় না। নির্বাচন এলে আবার তাদের দেখা মেলে। তবে এবার বুঝে-শুনে ভোট দিবেন বলে জানান তিনি।
মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ উন্নয়নকে সমর্থন দিচ্ছে গণসংযোগ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি। আশা করি আগামীতে জনগণ এর সঠিক রায় দিবে।
জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের প্রচারণা চালাতে কেউ বাধা দিচ্ছে না। সবাই সহযোগিতা করছেন। আশা করি এমনটা অব্যাহত থাকবে। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থীকে বাধা না দিলে বাধা, বিপত্তি ও পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রচারণা চালাতে গেলেই সরকার দলীয় লোকজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের রীতিমতো ধরপাকড় করছে। এই অবস্থায় কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবো। সোমবার সুব্রত চৌধুরী ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা ৬ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৬ জন। এই আসনটিতে উন্নয়নের পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটার একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ এখানে সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি।
আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। যার অন্তর্ভুক্ত থানাগুলো হচ্ছে ওয়ারারী, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতোয়ালির একাংশ ও বংশালের একাংশ। সীমানা পূর্বে গেণ্ডারিয়া, পশ্চিমে সিদ্দিক বাজার, উত্তরে ফুলবাড়িয়া ও দক্ষিণে নাজিরাবাজার।