বাংলারজমিন
খুলনা-১
ভোট নিয়ে শঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছেন বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান। সর্বশেষ ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দুই নেতা ওই আসন থেকে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এবারও পঞ্চানন বিশ্বাস ও আমীর এজাজ খানের মধ্যে লড়াই হবে। প্রায় দেড় যুগ পরে আওয়ামী লী-বিএনপির দুই প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দু’দলের নেতাকর্মীদের মাঝে শঙ্কা রয়েছে। ওই আসন থেকে কে হচ্ছেন সংসদ সদস্য তা নিয়েও নেতাকর্মী হতে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। হিন্দু-মুসলিম ভোটের ফারাক তেমন আর নেই এ আসনে। ফলে সংখ্যালঘু ভোটে পার পাবে না আওয়ামী লীগ। সবমিলে এর আগে পঞ্চানন বিশ্বাস তিনবার সংসদ নির্বাচন করে প্রতিবারই জিতেছেন। আমীর এজাজ খান দু’বার নির্বাচন করে কোনোবারই জিততে পারেননি। নির্বাচনী এই এলাকাটি হিন্দু সমপ্রদায়-অধ্যুষিত থাকায় বরাবরই আসনটি আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খুলনার অপর পাঁচটি আসন সময়ে সময়ে বিভিন্ন হাতে পড়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকেই খুলনা-১ নিরাপদ আওয়ামী লীগের জন্য। গত পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর জয় হয় এই আসনে। ফলে এবারও দলের মনোনীত প্রার্থী জয়ের আশাবাদী। তবে প্রায় ১২ বছর পরে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় জয় ধরে রাখার জন্য প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ।
এখানে বিএনপির প্রার্থীর ও নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, হামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এ আসনের মহাজোটের প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, তার প্রচার-প্রচারণারও তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর মাওলানা আবু সাইদ (হাতপাখা) ও কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার (কাস্তে) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আমীর এজাজ খানের মধ্যে লড়াই হবে। এই আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস ক্ষমতায় থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় যা করেছেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তারপরও শেষ পর্যন্ত হয়ত নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।
এখানে বিএনপির প্রার্থীর ও নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, হামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এ আসনের মহাজোটের প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, তার প্রচার-প্রচারণারও তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর মাওলানা আবু সাইদ (হাতপাখা) ও কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার (কাস্তে) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আমীর এজাজ খানের মধ্যে লড়াই হবে। এই আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস ক্ষমতায় থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় যা করেছেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তারপরও শেষ পর্যন্ত হয়ত নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।