অনলাইন
অবশেষে মাঠে মৃধা
‘নৌকা’-‘সিংহ’ এক ভাই
জাবেদ রহিম বিজন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
‘নৌকা’-‘সিংহ’ এক ভাই। সরাইলের শাহবাজপুর সিএন্ডবিতে(ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে)মাইকে এমন স্লোগানই প্রচার হচ্ছিল শনিবার বিকেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন আলোচিত শ্বশুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) মহাজোট প্রার্থী এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। হাসি মুখ। অবশেষে ‘সিংহ’ প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী মাঠে প্রচারনা শুরু করলেন তিনি। শাহবাজপুরে গনসংযোগ শেষে ওই এলাকার হযরত শাহ রোকন উদ্দিন আনছারীর মাজার জিয়ারত করেন মৃধা। তবে তার মেয়ের জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার দেখা নেই ভোটের মাঠে। রেজাউল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।
মৃধা মানবজমিনকে বলেন- প্রতীক যাই হোক আমি মহাজোটের প্রার্থী। আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমি ছাড়া এখন আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টির কারো থাকার বৈধতা নেই। কারন এটি উন্মুক্ত আসন নয়। বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতীক সিংহ প্রসঙ্গে বলেন- আমি ইচ্ছে করেই এ প্রতীক নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সিংহ পুরুষ। শেখ হাসিনাও একজন সিংহ মহিলা। কারন একজন সিংহ পুরুষের আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্যে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখার জন্যে আমি এই প্রতীকটিকেই বেছে নিয়েছি। তিনি বলেন- ‘চেনা বাউনের পইতা লাগেনা। আমার পইতা আছে’। শুধু প্রতীকটাকে পরিচয় করাতে হবে। আমি ১০ বছর এমাঠে ছিলাম। কাজ করেছি। তিনি আরো জানান- সকলেই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। সরাইল ও আশুগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা তাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। তাদের সাথে বৈঠকের পরই মাঠে নেমেছেন। গনসংযোগে তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
সরাইলের মান-ইজ্জত রক্ষা করার কথাও বলেন । মৃধা মেয়ের জামাতার কাজকে অন্যায় অবহিত করে বলেন জামাতা হোক,অন্যায় যে করে এর প্রতিবাদ করতে হবে। সে যেটা করেছে নিতান্তÍ অন্যায়,গর্হিত আচরন। আমি চাইবো ভবিষৎতে কোন ছেলে তার বাবার সঙ্গে,কোন জামাতা তার শ্বশুরের সঙ্গে যেন এমন কাজ না করে। তবে তাকে আমি কোন অভিশাপ দিচ্ছিনা। মৃধা আরো বলেন জামাইয়ের এই কান্ডে পারিবারিক সম্পর্কে কোন টানাপোড়েন হবেনা। কারন আমার তিনটি নাতী-নাতনি আছে। মেয়ে আছে। আমার জন্যে তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়–ক সেটা আমি চাইনা। আমি চাই তারা সুখে থাকুক। আমার মেয়েকে বলিনা তুমি আমার পক্ষে কথা বলো। কারন নির্বাচনী এলাকার সাড়ে ৩ লাখ ভোটার আমার পক্ষে রয়েছে। মেয়ে কথা বলে কি করবে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জিয়াউল হক মৃধা ২০০৮ সালে এই আসনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে আবারো মহাজোটের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন জেলা সদরের বাসিন্দা তার নিজের মেয়ের জামাই রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। রেজাউল সদর আসনের প্রার্থী ছিলেন। সেখানে মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হওয়ায় শ্বশুরের আসনের দিকে ঝুকেন রেজাউল। রেজাউলের এই কান্ডে ফুসে উঠেন শ্বশুরের সমর্থকরা। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানান। পরে মনোনয়ন পরিবর্তন হলেও দলের প্রতীক ‘লাঙ্গল’ পাননি তিনি। রেজাউল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তাকে দেয়া হয় ‘লাঙ্গল’ প্রতীক। আর শ্বশুর স্বত›ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তাকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। লাঙ্গল পেতেও মৃধার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করেন।
মৃধা মানবজমিনকে বলেন- প্রতীক যাই হোক আমি মহাজোটের প্রার্থী। আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমি ছাড়া এখন আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টির কারো থাকার বৈধতা নেই। কারন এটি উন্মুক্ত আসন নয়। বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতীক সিংহ প্রসঙ্গে বলেন- আমি ইচ্ছে করেই এ প্রতীক নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সিংহ পুরুষ। শেখ হাসিনাও একজন সিংহ মহিলা। কারন একজন সিংহ পুরুষের আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্যে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখার জন্যে আমি এই প্রতীকটিকেই বেছে নিয়েছি। তিনি বলেন- ‘চেনা বাউনের পইতা লাগেনা। আমার পইতা আছে’। শুধু প্রতীকটাকে পরিচয় করাতে হবে। আমি ১০ বছর এমাঠে ছিলাম। কাজ করেছি। তিনি আরো জানান- সকলেই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। সরাইল ও আশুগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা তাকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। তাদের সাথে বৈঠকের পরই মাঠে নেমেছেন। গনসংযোগে তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
সরাইলের মান-ইজ্জত রক্ষা করার কথাও বলেন । মৃধা মেয়ের জামাতার কাজকে অন্যায় অবহিত করে বলেন জামাতা হোক,অন্যায় যে করে এর প্রতিবাদ করতে হবে। সে যেটা করেছে নিতান্তÍ অন্যায়,গর্হিত আচরন। আমি চাইবো ভবিষৎতে কোন ছেলে তার বাবার সঙ্গে,কোন জামাতা তার শ্বশুরের সঙ্গে যেন এমন কাজ না করে। তবে তাকে আমি কোন অভিশাপ দিচ্ছিনা। মৃধা আরো বলেন জামাইয়ের এই কান্ডে পারিবারিক সম্পর্কে কোন টানাপোড়েন হবেনা। কারন আমার তিনটি নাতী-নাতনি আছে। মেয়ে আছে। আমার জন্যে তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়–ক সেটা আমি চাইনা। আমি চাই তারা সুখে থাকুক। আমার মেয়েকে বলিনা তুমি আমার পক্ষে কথা বলো। কারন নির্বাচনী এলাকার সাড়ে ৩ লাখ ভোটার আমার পক্ষে রয়েছে। মেয়ে কথা বলে কি করবে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জিয়াউল হক মৃধা ২০০৮ সালে এই আসনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে আবারো মহাজোটের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন জেলা সদরের বাসিন্দা তার নিজের মেয়ের জামাই রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। রেজাউল সদর আসনের প্রার্থী ছিলেন। সেখানে মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হওয়ায় শ্বশুরের আসনের দিকে ঝুকেন রেজাউল। রেজাউলের এই কান্ডে ফুসে উঠেন শ্বশুরের সমর্থকরা। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানান। পরে মনোনয়ন পরিবর্তন হলেও দলের প্রতীক ‘লাঙ্গল’ পাননি তিনি। রেজাউল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তাকে দেয়া হয় ‘লাঙ্গল’ প্রতীক। আর শ্বশুর স্বত›ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় তাকে সিংহ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। লাঙ্গল পেতেও মৃধার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করেন।