শেষের পাতা
এরশাদ বিদেশে, প্রস্তুতিতে পার্থ, মাঠে ফারুক
মারুফ কিবরিয়া
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনী প্রচারে সময়মতোই নেমেছেন ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে চূড়ান্ত টিকিট পাওয়া প্রার্থী আকবর হোসেন
পাঠান। যিনি চিত্রনায়ক ফারুক হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। নৌকার প্রতীক হাতে পেয়েই দলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন গত ১০ই ডিসেম্বর থেকে। তবে এই আসনে নায়ক ফারুকের বিপরীতে অন্য তিন হেভিওয়েট প্রার্থী এখনও মাঠে নামেননি। জাতীয় পার্টি থেকে লড়াইয়ে নামা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজেপির প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ রয়েছেন প্রচারণার প্রস্তুতিতে।
বিএনএ’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও এ পর্যন্ত প্রচারে নামেননি। এ আসনে বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এসএম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম আহসান হাবিব (মই), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের লে. কর্নেল ডা. (অব) একেএম সাইফুর রশিদ (কুলা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাধারণ মানুষের মাঝে বরাবরই আলোচিত। তবে মাঠে এই আসনে নতুন লড়াইয়ে নামা চিত্রনায়ক ফারুক ও আন্দালিব রহমান পার্থকে নিয়েই যত গল্প এখানকার ভোটারদের মাঝে। কেউ বলেন ফারুক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নৌকাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবেন। আবার কারো মুখে শোনা যাচ্ছে, আন্দালিব রহমান পার্থ তার ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে এই আসনে নতুন হিসেবে চমক দেখাতে পারেন। আবার কারো মতে, এরশাদ তার রাজনৈতিক কৌশল কাজে লাগিয়ে লাঙ্গলকে জয়ী করবেন। গতকাল রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী ও কালাচাঁদ পুর এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের মুখে এসব কথাই শোনা গেছে। পাশাপাশি এসব এলাকায় নৌকার পক্ষে আকবর হোসেন পাঠানের পক্ষে নৌকার প্রচারণা দেখা যায়।
একই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা এরশাদের নির্বাচনী পোস্টার ব্যানারও লক্ষ্য করা গেছে। নৌকার পক্ষে গতকাল সকাল থেকে মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুক। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় তিনি সাধারণ ভোটারদের দোয়া চেয়েছেন। মানবজমিনকে ফারুক বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এটা অন্যরকম একটা মজা। মানুষের কাছে কাছে যাচ্ছি, সবার থেকে বেশ ভালো একটা রেসপন্স পাচ্ছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে কিংবদন্তী এ নায়ক বলেন, এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমি যেটা আঁচ করতে পারছি, ৭০-এর নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে এই ২০১৮ সালে। একটা কথা, নির্বাচনে কেউ মানুষের কাছে না গিয়ে ভোট পাবে না। সবাইকে মাঠে নামতে হবে। প্রচারণায় আসতে হবে। এদিকে প্রচারণার পাঁচদিন গড়িয়ে গেলেও মাঠে নামেননি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা আন্দালিব রহমান পার্থ।
মানবজিমনের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছেন, আজ বা আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবেন। জাতীয় পার্টির পক্ষে এরশাদ মাঠে না থাকলেও রয়েছে কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প ও পোস্টার। গুলশান ও মহাখালীর কয়েকটি এলাকায় সারি সারি পোস্টার সাঁটিয়েছেন তার নেতাকর্মীরা। অবশ্য তার ভোট প্রচারে খুব একটা সরব নন কেউ। ঢাকা-১৭ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে এই আসনটি চমকে পরিপূর্ণ। কে জয়ী হবেন তা নিয়ে জল্পনার অবসান হবে ৩০শে ডিসেম্বর। কালাচাঁদপুরের হানিফ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এবারের নির্বাচনে এখানকার তিন প্রার্থীই খুব আলোচিত।
এখান থেকে যে কেউ চমক দেখাতে পারেন। নৌকার প্রতীক থাকলেও চিত্রনায়ক ফারুক তার অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়। আর এরশাদও সবার কাছে জনপ্রিয়। পার্থ ভোলার বদলে এখানে ভোট করছেন। তাকে নিয়েও সবার আগ্রহ আছে। এখন দেখা যাক কে ভোটে জয়ী হয়। উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে যে এলাকার জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দিবো। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফারিয়া হোসেন বলেন, অন্য প্রার্থী কারা জানি না। তবে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল- তিন প্রার্থীই জনগণের কাছে খুব জনপ্রিয়। সবার আলাদা ইমেজ আছে। আমি এই জন্যই কাকে ভোট দেবো সেটা এখনো ঠিক করতে পারিনি।
পাঠান। যিনি চিত্রনায়ক ফারুক হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। নৌকার প্রতীক হাতে পেয়েই দলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন গত ১০ই ডিসেম্বর থেকে। তবে এই আসনে নায়ক ফারুকের বিপরীতে অন্য তিন হেভিওয়েট প্রার্থী এখনও মাঠে নামেননি। জাতীয় পার্টি থেকে লড়াইয়ে নামা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজেপির প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ রয়েছেন প্রচারণার প্রস্তুতিতে।
বিএনএ’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও এ পর্যন্ত প্রচারে নামেননি। এ আসনে বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এসএম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম আহসান হাবিব (মই), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের লে. কর্নেল ডা. (অব) একেএম সাইফুর রশিদ (কুলা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাধারণ মানুষের মাঝে বরাবরই আলোচিত। তবে মাঠে এই আসনে নতুন লড়াইয়ে নামা চিত্রনায়ক ফারুক ও আন্দালিব রহমান পার্থকে নিয়েই যত গল্প এখানকার ভোটারদের মাঝে। কেউ বলেন ফারুক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নৌকাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবেন। আবার কারো মুখে শোনা যাচ্ছে, আন্দালিব রহমান পার্থ তার ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে এই আসনে নতুন হিসেবে চমক দেখাতে পারেন। আবার কারো মতে, এরশাদ তার রাজনৈতিক কৌশল কাজে লাগিয়ে লাঙ্গলকে জয়ী করবেন। গতকাল রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী ও কালাচাঁদ পুর এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের মুখে এসব কথাই শোনা গেছে। পাশাপাশি এসব এলাকায় নৌকার পক্ষে আকবর হোসেন পাঠানের পক্ষে নৌকার প্রচারণা দেখা যায়।
একই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করা এরশাদের নির্বাচনী পোস্টার ব্যানারও লক্ষ্য করা গেছে। নৌকার পক্ষে গতকাল সকাল থেকে মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন চিত্রনায়ক ফারুক। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় তিনি সাধারণ ভোটারদের দোয়া চেয়েছেন। মানবজমিনকে ফারুক বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এটা অন্যরকম একটা মজা। মানুষের কাছে কাছে যাচ্ছি, সবার থেকে বেশ ভালো একটা রেসপন্স পাচ্ছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে কিংবদন্তী এ নায়ক বলেন, এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমি যেটা আঁচ করতে পারছি, ৭০-এর নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে এই ২০১৮ সালে। একটা কথা, নির্বাচনে কেউ মানুষের কাছে না গিয়ে ভোট পাবে না। সবাইকে মাঠে নামতে হবে। প্রচারণায় আসতে হবে। এদিকে প্রচারণার পাঁচদিন গড়িয়ে গেলেও মাঠে নামেননি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা আন্দালিব রহমান পার্থ।
মানবজিমনের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছেন, আজ বা আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবেন। জাতীয় পার্টির পক্ষে এরশাদ মাঠে না থাকলেও রয়েছে কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্প ও পোস্টার। গুলশান ও মহাখালীর কয়েকটি এলাকায় সারি সারি পোস্টার সাঁটিয়েছেন তার নেতাকর্মীরা। অবশ্য তার ভোট প্রচারে খুব একটা সরব নন কেউ। ঢাকা-১৭ আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে এই আসনটি চমকে পরিপূর্ণ। কে জয়ী হবেন তা নিয়ে জল্পনার অবসান হবে ৩০শে ডিসেম্বর। কালাচাঁদপুরের হানিফ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এবারের নির্বাচনে এখানকার তিন প্রার্থীই খুব আলোচিত।
এখান থেকে যে কেউ চমক দেখাতে পারেন। নৌকার প্রতীক থাকলেও চিত্রনায়ক ফারুক তার অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়। আর এরশাদও সবার কাছে জনপ্রিয়। পার্থ ভোলার বদলে এখানে ভোট করছেন। তাকে নিয়েও সবার আগ্রহ আছে। এখন দেখা যাক কে ভোটে জয়ী হয়। উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে যে এলাকার জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দিবো। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফারিয়া হোসেন বলেন, অন্য প্রার্থী কারা জানি না। তবে নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙ্গল- তিন প্রার্থীই জনগণের কাছে খুব জনপ্রিয়। সবার আলাদা ইমেজ আছে। আমি এই জন্যই কাকে ভোট দেবো সেটা এখনো ঠিক করতে পারিনি।