বিশ্বজমিন
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ছে
মানবজমিন ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
ক্ষমতায় আসীন নিজ দলের এমপিদের তরফ থেকে প্রচন্ড চাপ বাড়ছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ওপর। দলীয় প্রধান হিসেবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের পক্ষে যথেষ্ট সমর্থনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তার দলের ব্রেক্সিটিয়ার বা ব্রেক্সিটপন্থি এমপিরা। যদি তার কনজার্ভেটিভ দলের ৪৮ জন এমপি চিঠির মাধ্যমে জানান দেন যে, তারা আর তেরেসা মে’কে সমর্থন করছেন না তাহলেই তার নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে এখনও এমন সংখ্যক চিঠি জমা পড়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। কিন্তু মন্ত্রীপরিষদের একজন মন্ত্রী সহ সূত্রগুলো বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন এরই মধ্যে ৪৮টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
বৃটিশ পার্লামেন্টে ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে একজন সিনিয়র সদস্য, যিনি ওই চিঠিগুলো গ্রহণ করেন তিনি বিবিসিকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বুধবার সাক্ষাত করবেন। তবে ব্যাকবেঞ্চারদের ‘১৯২২ কমিটি’র চেয়ার স্যার গ্রাহাম ব্রাডি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সূত্রগুলো শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আশঙ্কা ঘটবে না বলে মনে করছেন। তারা বলেছেন, গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের কোনো যোগাযোগ হয় নি।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে ব্রেক্সিট নিয়ে যে সমঝোতামূলক চুক্তি করেছেন তা নিয়ে অসন্তুষ্ট তার দলের অনেক ব্যাকবেঞ্চার। কনজার্ভেটিভ দলের প্রধানের পদে থাকতে পারবেন কিনা তেরেসা সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তারা। যারা বৃটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাখার পক্ষে গণভোটে রায় দিয়েছিলেন তারাও এ চুক্তি নিয়ে অসন্তুষ্ট। আলাদাভাবে অনেক বিরোধী দলীয় এমপি তাদের নেতা জেরেমি করবিনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের বিরুদ্ধে হাউস অব কমন্সে অনাস্থা ভোট আহ্বান করেন। তবে করবিন এমন আহ্বানে সাড়া দেন নি। ওদিকে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর হাউস অব কমন্সে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এতে ভয়াবহ পরাজয় ঘটবে এটা টের পেয়ে তেরেসা মে সোমবার ওই ভোট স্থগিত করেন। তিনি ছুটে যান হেগ, বার্লিন ও ব্রাসেলসে। সেখানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৃটিশ পার্লামেন্টে ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে একজন সিনিয়র সদস্য, যিনি ওই চিঠিগুলো গ্রহণ করেন তিনি বিবিসিকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বুধবার সাক্ষাত করবেন। তবে ব্যাকবেঞ্চারদের ‘১৯২২ কমিটি’র চেয়ার স্যার গ্রাহাম ব্রাডি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সূত্রগুলো শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আশঙ্কা ঘটবে না বলে মনে করছেন। তারা বলেছেন, গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের কোনো যোগাযোগ হয় নি।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনতে ব্রেক্সিট নিয়ে যে সমঝোতামূলক চুক্তি করেছেন তা নিয়ে অসন্তুষ্ট তার দলের অনেক ব্যাকবেঞ্চার। কনজার্ভেটিভ দলের প্রধানের পদে থাকতে পারবেন কিনা তেরেসা সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তারা। যারা বৃটেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাখার পক্ষে গণভোটে রায় দিয়েছিলেন তারাও এ চুক্তি নিয়ে অসন্তুষ্ট। আলাদাভাবে অনেক বিরোধী দলীয় এমপি তাদের নেতা জেরেমি করবিনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের বিরুদ্ধে হাউস অব কমন্সে অনাস্থা ভোট আহ্বান করেন। তবে করবিন এমন আহ্বানে সাড়া দেন নি। ওদিকে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর হাউস অব কমন্সে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এতে ভয়াবহ পরাজয় ঘটবে এটা টের পেয়ে তেরেসা মে সোমবার ওই ভোট স্থগিত করেন। তিনি ছুটে যান হেগ, বার্লিন ও ব্রাসেলসে। সেখানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।