খেলা
সেই অভিজ্ঞরাই টানলেন দলকে
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
সাকিব আল হাসান ৬৫, মুশফিকুর রহীম ৬২, তামিম ইকবাল ৫০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩০ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০। দলের তরুণরা কেউই ছুঁতে পারলেন না দুই অঙ্ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের স্কোর কার্ডই বলে দিচ্ছে টাইগারদের সাফল্যের নায়ক এই ‘পাঁচ তারকা’র কাঁধে চেপে গতকালও লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তবে তাদের অদূরদর্শী ব্যাটিংয়ের কারণেই বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় দল। মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ২৫৫ রান ৭ উইকেট হারিয়ে। যদিও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ম্যাচে এই লক্ষ্য নিরাপদ ছিল না। ব্যাট হাতে ক্রিজে মানিয়ে পরে অহেতুক শটে উইকেট খোয়ান তামিম-মুশফিকরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে সিরিজ জয়ের উপলক্ষ্য তৈরি করে রেখেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। আগের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু শুরুতেই দল ধাক্কা খায় তামিমের সঙ্গী লিটন কুমার দাস আহত হলে। আঘাত নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। ক্যারিবীয় পেসার ওশান থমাসের এক ইয়র্কারে ফ্লিক করতে গিয়ে চোট পান লিটন দাস। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ঝুঁকিতে পড়েননি এই ব্যাটসম্যান। পরে ব্যাটিংও করেন লিটন। তবে আসল বিপদটা ঘটান ইমরুল কায়েস। প্রথম ম্যাচের মতো একই ভুল করেন আগের সিরিজের জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো ইমরুল। ওশান থমাসের দ্রুতগতির ডেলিভারিতে নড়বড়ে এক শটে ক্যাচ দেন তিনি। তবে প্রথম ম্যাচে ১২ রানে আউট হলেও তামিম গতকাল ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তামিম এদিনও সঙ্গী হিসেবে পান আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি হাঁকানো মুশফিকুর রহীমকে। শুরু হয় দুই অভিজ্ঞের লড়াই। মাত্র ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল দল। কিন্তু তাদের ব্যাটে উড়ে যায় সেই চাপ। একটা সময় দু’জন পাল্লা দিয়ে রান শুরু করেন। তবে তামিমের আগেই দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিক পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটিতে। তারপরই ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা তামিম দেখা পান তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটির। তবে হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। দু’জনের ১১১ রানের জুটি ভাঙে তামিমের ভুলে। দেবেন্দ্র বিশুর বলে সুইপ করতে গিয়ে কেমার রোচের হাতে ক্যাচ দেন ডিপ মিড উইকেটে। ৬৩ বলে একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারির মারে তামিম করেন কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান। ওয়ানডেতে তামিম-মুশফিকের এটি পঞ্চম শতরানের জুটি। এই ম্যাচের আগে ৭৪ ইনিংসে ৪টি শতরানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। গতকাল সেটিকেও পেছনে ফেলেন তামিম-মুশফিক ৪২ ইনিংসেই। শুধু তাই নয় তামিম বিদায় নিলেও আশার প্রতীক হয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ৮০ বলে ৫ চারে ৬২ রানে এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হাল ছাড়লেন বাজে শটে। স্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে থমাসের বলে ক্যাচ দেন ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক হোপের গ্লাভসে। তামিম যখন আউট হয় তখন দলের স্কোর বোর্ডে ছিল ১২৫ রান। কিন্তু স্কোর বোর্ডে মাত্র ৭ রান যোগ হতেই বিদায় নেন মুশফিক। দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে দল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে আশার আলো দেখান সাকিব। তার সঙ্গী হয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের ৬১ রানের জুটিতে ৪০ ওভারে দলের সংগ্রহ পৌঁছে ১৯১ রানে। কিন্তু এবার বাজে শটের মহড়ায় যোগ দেন মাহমুদুল্লাহ। পাওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। সাকিব এক পাশ আগলে রাখলেও থমাসের বলে বিলাসী এক শটে আউট হন সৌম্য সরকার। এরপর আহত লিটন দাস মাঠে ফিরে রাখেন মাত্র ৮ রানের অবদান। বিপদ আরো বড় হচ্ছিল। দ্রুত রান তোলার পাগলামিতে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছিলেন সাকিব। হাঁটতেও শুরু করেছিলেন সাজঘরের দিকে। কিন্তু আম্পায়ার তাকে ফিরিয়ে আনেন কারণ ওটা ছিল ‘নো বল’। এমন জীবন পেয়েও ৬৫’র বেশি করতে পারেননি সাকিব। ৬২ বলের ইনিংসে সাকিব হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।
শেষ দিকে যেভাবে রান আসার কথা ছিল রান তোলার পাগলামিতে সেটিও হয়নি। মাশরাফি ও মিরাজ শেষ ৩ ওভারে তুলতে পারেন মাত্র ১৬ রান। মূলত রান তোলার তাড়াহুড়াতেই আউট হয়েছেন দলের সেট ব্যাটসম্যানরা। এমনকি লিটন, সৌম্য, মিরাজ, ইমরুলরাও একই তাড়াহুড়া করে আউট হন। নয়তো দলীয় সংগ্রহটা ৩০০ ছুঁতে পারতো।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় নিয়ে সিরিজ জয়ের উপলক্ষ্য তৈরি করে রেখেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। আগের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু শুরুতেই দল ধাক্কা খায় তামিমের সঙ্গী লিটন কুমার দাস আহত হলে। আঘাত নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লিটন মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। ক্যারিবীয় পেসার ওশান থমাসের এক ইয়র্কারে ফ্লিক করতে গিয়ে চোট পান লিটন দাস। অবশ্য শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ঝুঁকিতে পড়েননি এই ব্যাটসম্যান। পরে ব্যাটিংও করেন লিটন। তবে আসল বিপদটা ঘটান ইমরুল কায়েস। প্রথম ম্যাচের মতো একই ভুল করেন আগের সিরিজের জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানো ইমরুল। ওশান থমাসের দ্রুতগতির ডেলিভারিতে নড়বড়ে এক শটে ক্যাচ দেন তিনি। তবে প্রথম ম্যাচে ১২ রানে আউট হলেও তামিম গতকাল ব্যাট হাতে ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তামিম এদিনও সঙ্গী হিসেবে পান আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি হাঁকানো মুশফিকুর রহীমকে। শুরু হয় দুই অভিজ্ঞের লড়াই। মাত্র ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল দল। কিন্তু তাদের ব্যাটে উড়ে যায় সেই চাপ। একটা সময় দু’জন পাল্লা দিয়ে রান শুরু করেন। তবে তামিমের আগেই দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিক পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটিতে। তারপরই ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা তামিম দেখা পান তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটির। তবে হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। দু’জনের ১১১ রানের জুটি ভাঙে তামিমের ভুলে। দেবেন্দ্র বিশুর বলে সুইপ করতে গিয়ে কেমার রোচের হাতে ক্যাচ দেন ডিপ মিড উইকেটে। ৬৩ বলে একটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারির মারে তামিম করেন কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান। ওয়ানডেতে তামিম-মুশফিকের এটি পঞ্চম শতরানের জুটি। এই ম্যাচের আগে ৭৪ ইনিংসে ৪টি শতরানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। গতকাল সেটিকেও পেছনে ফেলেন তামিম-মুশফিক ৪২ ইনিংসেই। শুধু তাই নয় তামিম বিদায় নিলেও আশার প্রতীক হয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ৮০ বলে ৫ চারে ৬২ রানে এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হাল ছাড়লেন বাজে শটে। স্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে থমাসের বলে ক্যাচ দেন ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক হোপের গ্লাভসে। তামিম যখন আউট হয় তখন দলের স্কোর বোর্ডে ছিল ১২৫ রান। কিন্তু স্কোর বোর্ডে মাত্র ৭ রান যোগ হতেই বিদায় নেন মুশফিক। দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে দল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে আশার আলো দেখান সাকিব। তার সঙ্গী হয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের ৬১ রানের জুটিতে ৪০ ওভারে দলের সংগ্রহ পৌঁছে ১৯১ রানে। কিন্তু এবার বাজে শটের মহড়ায় যোগ দেন মাহমুদুল্লাহ। পাওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। সাকিব এক পাশ আগলে রাখলেও থমাসের বলে বিলাসী এক শটে আউট হন সৌম্য সরকার। এরপর আহত লিটন দাস মাঠে ফিরে রাখেন মাত্র ৮ রানের অবদান। বিপদ আরো বড় হচ্ছিল। দ্রুত রান তোলার পাগলামিতে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছিলেন সাকিব। হাঁটতেও শুরু করেছিলেন সাজঘরের দিকে। কিন্তু আম্পায়ার তাকে ফিরিয়ে আনেন কারণ ওটা ছিল ‘নো বল’। এমন জীবন পেয়েও ৬৫’র বেশি করতে পারেননি সাকিব। ৬২ বলের ইনিংসে সাকিব হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।
শেষ দিকে যেভাবে রান আসার কথা ছিল রান তোলার পাগলামিতে সেটিও হয়নি। মাশরাফি ও মিরাজ শেষ ৩ ওভারে তুলতে পারেন মাত্র ১৬ রান। মূলত রান তোলার তাড়াহুড়াতেই আউট হয়েছেন দলের সেট ব্যাটসম্যানরা। এমনকি লিটন, সৌম্য, মিরাজ, ইমরুলরাও একই তাড়াহুড়া করে আউট হন। নয়তো দলীয় সংগ্রহটা ৩০০ ছুঁতে পারতো।