দেশ বিদেশ

যক্ষ্মা নির্মূলে নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ এবং নতুনভাবে শনাক্তকৃত যক্ষ্মারোগীর হার ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। আর তা করতে হলে যক্ষ্মারোগ শনাক্তকরণ ও রোগ প্রতিরোধকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি যক্ষ্মারোগ নির্মূলে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে যক্ষ্মারোগ শনাক্তকরণ ও রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক গোলটেবিল কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও ব্র্যাক যৌথভাবে এই গোলটেবিল কর্মশালার আয়োজন করে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০১৮ সালে দেশে প্রতি ১ লাখে ২২১ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মত্যুবরণ করে। প্রতি বছর নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। গ্রামের তুলনায় শহরে যক্ষ্মারোগের ঝুঁকি বেশি। গ্রামে যেখানে নতুন-পুরাতন সমষ্টিগতভাবে যক্ষ্মারোগী প্রতি লাখে ২৭০ জন, সেখানে শহরে প্রতি লাখে ৩১৬ জন শনাক্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে যক্ষ্মারোগ নির্মূলে অঙ্গীকার থাকা দরকার।
কর্মশালায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্লোবাল ফান্ড ও এমডিআর-টিবির উপদেষ্টা ডা. মো. আবদুল হামিদ সেলিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক-এর কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রাম-এর সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব-এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের কমিউনিকেবল ডিজিজেস সার্ভাইল্যান্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিয়া সেপাল নাগন, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস অ্যান্ড ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. অংকাই জাই মং, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম-এর সভাপতি তৌফিক মারুফসহ বিশেষজ্ঞগণ। অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, আমাদের এখন মূল লক্ষ্য যক্ষ্মারোগের শনাক্তকরণ বাড়ানো। এর পাশাপাশি এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা এই রোগ শনাক্তকরণের জন্য আধুনিক পদ্ধতির দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, এটা বাস্তব সত্য যে যক্ষ্মাবিষয়ক কর্মকাণ্ডে আর্থিক সহায়তা কমে গেলে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব আসতে পারে। তবে যেহেতু বাংলাদেশ এখনও এই রোগে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, তাই এটা নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ যক্ষ্মারোগের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে হবে। তাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা ও নির্বাচনী অঙ্গীকার থাকা উচিত। কর্মশালায় বক্তারা বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে: যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে আরো মনোযোগী হওয়া, ওষুধের মানের দিকে গুরুত্ব দেয়া, নগর যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ, শিশু যক্ষ্মা শনাক্তকরণে অধিক গুরুত্ব দেয়া, যক্ষ্মাবিষয়ক সচেতনতার অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করা ইত্যাদি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status