শেষের পাতা
হবিগঞ্জ-১
৩ হেভিওয়েটের লড়াই
এমএ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে লড়াইয়ে রয়েছেন হেভিওয়েট তিন প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের ড. রেজা কিবরিয়া, মহাজোটের দুই প্রার্থী আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। ওই আসনে মহাজোটে সমঝোতা না হওয়ায় পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। শেষদিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মহাজোট সমর্থিত বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু। বিতর্কিত ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এবার তাকে জোট এবং জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তিনি আপিলে অংশ নেননি।
জাতীয় রাজনীতির মেরুকরণে মনোনয়ন বঞ্চিত হন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। নির্বাচন কমিশন ও দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী তনয় ড. রেজা সম্প্রতি গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এনিয়ে নির্বাচনী এলাকায় নতুন সমীকরণ দেখা দেয়। অনেক নাটকীয়তা শেষে তার মনোনয়ন বৈধ মর্মে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র ফাউন্ডারখ্যাত আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিদ্ধান্ত মেনে নেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তিনি। গণফোরামের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাতের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই শেখ সুজাতের সঠিক মূল্যায়ন হবে। তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া হবে। মহাজোট প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত সংসদ সদস্য আলহাজ দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় শাহ্নেওয়াজ মিলাদগাজী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক শেষ মুহূর্তে এসেও কেউ কাউকে ছাড় দেননি। অনেক দেনদরবারের পর ওই আসনটি মহাজোটের প্রার্থিতা নিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বর্তমান জাপা’র এমপি আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু।
গতকাল বিকাল পৌনে পাঁচটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এছাড়াও ওই আসন থেকে বাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক শিরিন আক্তারের স্বামী চৌধুরী ফয়ছল শোয়েব। তার মামাশ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী অধ্যাপক আবদুল হান্নান গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
জাতীয় রাজনীতির মেরুকরণে মনোনয়ন বঞ্চিত হন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। নির্বাচন কমিশন ও দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী তনয় ড. রেজা সম্প্রতি গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এনিয়ে নির্বাচনী এলাকায় নতুন সমীকরণ দেখা দেয়। অনেক নাটকীয়তা শেষে তার মনোনয়ন বৈধ মর্মে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র ফাউন্ডারখ্যাত আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিদ্ধান্ত মেনে নেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তিনি। গণফোরামের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাতের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই শেখ সুজাতের সঠিক মূল্যায়ন হবে। তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়া হবে। মহাজোট প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রয়াত সংসদ সদস্য আলহাজ দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় শাহ্নেওয়াজ মিলাদগাজী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক শেষ মুহূর্তে এসেও কেউ কাউকে ছাড় দেননি। অনেক দেনদরবারের পর ওই আসনটি মহাজোটের প্রার্থিতা নিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বর্তমান জাপা’র এমপি আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু।
গতকাল বিকাল পৌনে পাঁচটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এছাড়াও ওই আসন থেকে বাসদ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক শিরিন আক্তারের স্বামী চৌধুরী ফয়ছল শোয়েব। তার মামাশ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী অধ্যাপক আবদুল হান্নান গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।