এক্সক্লুসিভ

প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন যারা-

১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

রংপুর-৬, শেখ হাসিনার মনোনয়ন প্রত্যাহার
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে: রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে ওই আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থী হয়ে লড়বেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের কাছে প্রত্যাহার পত্র জমা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম পিন্টু এবং জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি। রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমানে রয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ওই আসনে কোনো প্রার্থী না দিয়ে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি ছেড়ে দেয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়ী হন। পরবর্তীতে এ আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ আসনে নির্বাচিত হন।

নারায়ণগঞ্জে মনোনয়ন প্রত্যাহার ১৪, বিদ্রোহী ৩

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে: নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন থেকে মোট ১৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে করে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে ভোটের মাঠে এখন বিভিন্ন দলের ৩৭ প্রার্থী টিকে রইলেন। ৬১ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও বাছাইয়ে ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়। আপিল করে ফিরে আসেন ৪ জন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের তালিকায় বিএনপিরই রয়েছেন ৮ প্রার্থী। এছাড়া জাকের পার্টি ও কল্যাণ পার্টি থেকে ২ জন করে মোট ৪ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।  এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনেও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেননি। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবার পরেও নারায়ণগঞ্জ-১ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিরও প্রার্থী রয়েছেন। ফলে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে এখন জাতীয় পার্টির ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। পক্ষান্তরে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৩ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মহাজোটের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আজম খান। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারাগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির মো. ছালাউদ্দিন খোকা। তবে বিএনপি, ২০ দলীয় ঐক্য জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।   

খুলনায় ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: খুলনার ছয়টি আসনে বিএনপি, মুসলিম লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ৯ জন প্রার্থী গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরা হলেন  খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল ম-ল (স্বতন্ত্র প্রার্থী), গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় (ওয়াকার্স পার্টি), খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে এসএম ইসলাম আলী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে আ ফ ম মহসীন (জেএসডি), এসএম আরিফুর রহমান মিঠু (বিএনপি), খুলনা-৪ (দিঘলিয়া-রূপসা-তেরখাদা) আসনে শরীফ শাহ কামাল তাজ (বিএনপি), এস এম সাখাওয়াত হোসাইন  (খেলাফত মজলিস), মল্লিক হাদিউজ্জামান (জাতীয় পার্টি), খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে মো. আইয়ুব আলী  (জেএসডি)। রোববার বিকাল ৫টায় জেলা রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে খুলনা-৬ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনি বলেন, দল একজনকেই ধানের শীষের মনোনয়ন দিয়েছে। আমার মনোনয়ন এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। ফলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা লাগবে না। একইভাবে এ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর দলীয় প্রতীক না পাওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। একইভাবে খুলনা-৫ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমান ও জেলা সহসভাপতি ডা. গাজী আব্দুল হক দলীয় প্রতীক ধানের শীষ না পাওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরে এখন ৬টি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।

ঝিনাইদহে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন যারা

ঝিনাইদহ  প্রতিনিধি: প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে রোববার ঝিনাইদহ-১ আসন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জেএসডির প্রার্থী দবির উদ্দিন জোয়ার্দার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ঝিনাইদহ-২ আসনে গণফ্রন্টের হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, বিএনপির এসএম মশিয়ুর রহমান, বিএনপির মো. ইব্রাহীম রহমান রুমি, ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপির কেএম আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ঝিনাইদহ-৪ আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. মোস্তফা আলমগীর, আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান প্রত্যাহার করেন। তবে অনেকেই প্রত্যাহারপত্র জমা দেননি। কিন্তু তাদের নিজ নিজ দল থেকে প্রতীক বরাদ্দ  দেয়া হয়নি। ফলে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়বেন তারা। যারা প্রত্যাহার পত্র জমা দেননি তারা হলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনে জয়ন্তকুমার কুন্ডু বিএনপি, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান রণি বিএনপি ও ঝিনাইদহ-৪ শহিদুজ্জামান বেল্টু বিএনপি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে আসনভিত্তিক চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম আছে তারা হলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনে মো. আব্দুল হাই (এমপি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বিএনপি, মো. রায়হান উদ্দিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঝিনাইদহ-২ আসন তাহজীব আলম সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ বিএনপি, মো. ফকরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ও মো. আবু তালেব সেলিম, জাকের পার্টি, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. সফিকুল আজম খান চঞ্চল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মো. মতিয়ার রহমান, বিএনপি, মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন, জাতীয় পার্টি, মাওলানা সরোয়ার হোসেন,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসমাইল হোসেন, বিএনএফ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট)। ঝিনাইদহ-৪ আসনে মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বিএনপি, এইচ এম মমতাজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মো. ইসহাক আলী, জাকের পার্টি ও এলডিপির খন্দকার মেহেদী হাসান।

ফেনীতে মাঠে আওয়ামী লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ফেনীর তিনটি আসনে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও ফেনী-১ ও ফেনী-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগের দুজন নেতা ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এদের মধ্যে ফেনী-১ আসনে খাইরুল বাশার মজুমদার তপন (মহাজোট বিদ্রোহী), ফেনী-২ আসনে বিএনপির জিয়া উদ্দিন মিস্টার (বিএনপির একাধিক প্রার্থী) ও ফেনী-৩ আসনে রহিম উল্যাহ (বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাজোটের বিদ্রোহী) ও শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন (জেএসডি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় ফেনী-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার (নৌকা)-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ (স্বতন্ত্র) পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অপরদিকে ফেনী-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলীয় চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল)-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার (স্বতন্ত্র) পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে আবুল বাশারের ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ সৈকত (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি-মহাজোটসহ ৯ জন, ফেনী-২ আসনে বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ ৫ জন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপি-মহাজোটসহ ৯ জন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নীলফামারীতে ৬ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ৪টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন থেকে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৬জন। নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ড. হামিদা বানু শোভা, বিএনপি’র ন্যান্সী রহমান কবির, নীলফামারী-২ (সদর) আসন থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আতাউর রহমান বাবু, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক বিতর্কিত সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ও যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।  

মৌলভীবাজারে ৫ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মৌলভীবাজারের চারটি আসনে ৫জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন মোট ১৯ প্রার্থী। প্রত্যাহার যারা করেছেন তারা হলেন:  মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসন থেকে বিএনপির দুই প্রার্থীর মধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মতিন (স্বতন্ত্র)। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর)  আসন থেকে বিএনপির দুই প্রার্থীর মধ্যে রেজিনা নাসের ও খেলাফত মজলিস থেকে মাওলানা আহমেদ বিলাল। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির দুই প্রার্থীর মধ্যে আশিক মুঈদ চৌধুরী প্রার্থিতা প্রত্যার করেছেন। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, ৪টি আসনে ২৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। প্রার্থিতা বাতিল ও প্রত্যাহার শেষে ১৯ প্রার্থী  নির্বাচনে রয়েছেন।

ময়মনসিংহে ২৫ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ময়মনসিংহে ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে ২৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, বিএনপির ডা. মাহবুবুর রহমান টুটুল, বিএনপির আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আমিনুল হক শামীম, জামায়াতে ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ঐক্যজোটের লতিফুল বারী হামিম। ময়মনসিংহ-১ (ধোবাউড়া- হালুয়াঘাট) আসনে মো. ছালাম, বাবুল চন্দ্র, রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে মো. নজরুল ইসলাম, মো. তৈয়ব হোসেন, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) দেলোয়ার হোসেন খান দুলু (বিএনপি), আমিনুল হক শামীম, অধ্যাপক মো. শাহীনুর আলম ও মাসুদুল হাসান, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) মো. সোহেল মিয়া, হাবিবুর রহমান ও জাকির হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ও আখতারুল আলম,  ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) মোস্তফা আমীর ফয়সাল ও আমিনুল ইসলাম, আবদুল মোমেন। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) মো. খিজির হায়াত খান, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আলমগীর কবির উজ্জ্বল, গিয়াস উদ্দিন (জাসদ), লতিফুল বারী হামিম, মো. ইয়াসের খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) মো. মুজিবুর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন শাহ জুয়েল, ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আনোয়ারুল আজিজ টুটুল (বিএনপি)।

নোয়াখালীর ৫ জনের প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসনে ৬০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। দলীয়ভাবে বাদ পড়েছেন ৬ জন প্রার্থী। এখন জেলার ৬টি আসনে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নোয়াখালীর জেলা রিটার্নিং অফিসার তন্ময় দাস জানান, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা হচ্ছেন নোয়াখালী-১ আসনে মামুনুর রশিদ (বিএনপি), হারুনুর রশিদ (জাসদ ইনু), নোয়াখালী-৩ আসনে আবদুল জলিল চৌধুরী (জাসদ-রব), জয়নাল আবেদীন (জাসদ ইনু), নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনে মাহমুদ আলী রাতুল (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব (জাসদ রব)। রিটার্নিং অফিস বরাবর চিঠি মাধ্যমে দলীয়ভাবে যাদের দলীয় মনোনয়ন বাতিল করেছেন তারা হচ্ছেনÑ নোয়াখালী-১ চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনে আনোয়ার হোসেন (বিএনপি), নোয়খালী-২ আসনে কাজী মফিজুর রহমান (বিএনপি), নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ আসনে কাজী মাযহারুল ইসলাম (বিএনপি), নোয়াখালী-৫ কোম্পানীগঞ্জ আসনে হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ (বিএনপি), কাজী মো. আবদুর রহিম (জাতীয় পার্টি)। নোয়াখালীর ৬টি আসনে এখন প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ জন। নোয়াখালী-১ আসনে ৯ জন আর বাকি আসনগুলোতে ৮ জন করে প্রার্থী রেখেছেন।  

পাবনায় ৮ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

স্টাপ রিপোর্টার, পাবনা থেকে: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রোববার (৯ই ডিসেম্বর) পাবনার ৫টি সংসদীয় আসনে ৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেনÑ পাবনা-১ আসনে তিনজন, পাবনা-২ আসনে দুই জন, পাবনা-৪ আসনে একজন এবং পাবনা-৫ আসনে দুই জন প্রার্থী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাফিউল ইসলাম জানান, পাবনায় যে ৮ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেনÑ পাবনা-১ আসনে আবুল বাসেত খান (স্বতন্ত্র), নজরুল ইসলাম (ওয়ার্কার্স পার্টি), ডা. শফিকুল ইসলাম (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ)। পাবনা-২ আসনে শাখাওয়াত হোসেন (এনপিপি), রেজাউর রহিম (জাসদ)। পাবনা-৪ আসনে আবু তালেব ম-ল (স্বতন্ত্র) এবং পাবনা-৫ আসনে জাকির হোসেন (ওয়ার্কাস পার্টি), মামুনার রশিদ (বিএনপি)। এদিকে, পাবনা-৩ আসনে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়নি। অপরদিকে পাবনা-১ আসনে নিজামী পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র) তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

চাঁদপুরে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

চাঁদপুর প্রতিনিধি: মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চাঁদপুরের ৫টি আসনে ৯ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীরা তাদের প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন।  মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী প্রার্থীরা হচ্ছেনÑ চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি, বিএনপি প্রার্থী তানভির হুদা, চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, এসএম আলম, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে গণফোরামের ড. মো. শাহাজাহান, জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে এলডিপির নেয়ামুল বাশার, জাসদের মো. মনির হোসেন মজুমদার। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাঙ্গামাটিতে ৪ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ২৯৯নং রাঙ্গামাটি আসনে নির্বাচনের মাঠ থেকে ১০ প্রার্থীর মধ্যে চার প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল দিনের কর্মদিবস শুরুর পর হতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদনকারী হলেনÑ বিএনপির অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শান্তি দেব চাকমা, সচীব চাকমা ও আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতি জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শরৎ  জ্যোতি চাকমা। রাঙ্গামাটি  জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়ে এসব প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন  জেলা প্রশাসক নিজেই। এদিকে, আজকের প্রত্যাহারের মধ্যদিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ২৯৯নং আসনে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর কোনো প্রার্থী আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতে সমমনা আঞ্চলিক অপর সংগঠনকে সমর্থনের লক্ষেই ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটি আসন থেকে নিজেদের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি গণফোরামের প্রার্থী

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে গণফোরামের মনোনীত প্রার্থী এড.শান্তিপদ ঘোষ তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সর্বশেষ মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। জানতে চাইলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম মেম্বার অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ জানান, ‘দলীয় (গণফোরামের) কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় তিনি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘এই আসনে নির্বাচনে লড়বেন কি না আজ সোমবার সবার কাছে খোলাসা করবেন।’ এছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোটের একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্র্থী মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ দুলাল নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status