বিশ্বজমিন
বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স
মানবজমিন ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
ক্ষমতায় এসে এত বড় বিরোধের মুখোমুখি হন নি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। জ্বালানির ওপর ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্তে পুরো ফ্রান্স যেন অগ্নিগোলক হয়ে উঠেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জীবনমানের উচ্চমূল্য। বিক্ষোভের ভয়াবহতা দেখে তার সরকার ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। কিন্তু বিক্ষোভ দমন হচ্ছে না। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ধারীরা প্যারিস সহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ফিলিপ জাতীয় ঐক্য পুনঃস্থাপনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু বিক্ষোভের আগুন কি তাতে নিভবে! দৃশ্যপট তা বলছে না। টানা চতুর্থ সপ্তাহে পড়েছে তা। শনিবার বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় রাজধানী প্যারিসে আইফেল টাওয়ার, লুভর মিউজিয়াম সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে রাতের আলো বন্ধ করে দেয়া হয়। প্যারিস সহ সারা দেশে মোতায়েন করা হয় ৮৯ হাজার নিরাপত্তারক্ষী। তা সত্ত্বেও শনিবার বিক্ষোভ করেছেন ইয়েলো ভেস্টধারীরা। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যবহার করেছে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট। এরই মধ্যে এক হাজার মানুষকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে এদিন সহিংসতা আগের সপ্তাহের মতো ব্যাপক ছিল না। সরকার বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে। এডুয়ার্ডো ফিলিপ বলেছেন, বিক্ষোভ অবশ্যই হতে হবে শান্তিপূর্ণ। কোন ট্যাক্সকে কেন্দ্র করে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে বিপর্যস্ত করা উচিত হবে না। এখন আমরা আলোচনা, কাজ ও একত্রিত হয়ে সেই জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণ করবো।
জ্বালানিতে ট্যাক্স বাড়ানো ও জীবন যাপনের উচ্চ খরচের জন্য প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ফিলিপ বলেছেন, শিগগিরই আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফে কাস্টানার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
জ্বালানিতে ট্যাক্স বাড়ানো ও জীবন যাপনের উচ্চ খরচের জন্য প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ফিলিপ বলেছেন, শিগগিরই আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফে কাস্টানার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।