বিশ্বজমিন

২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে শিলিগুড়ি-শিয়ালদা রেলপথের কাজ

মানবজমিন ডেস্ক

৮ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পুরনো শিলিগুড়ি-শিয়ালদা রেল রুট পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ভারতের রেলওয়ে। এই রেললাইনটি পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে। তবে পরে এই পথে যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন নি কর্মকর্তারা। যদি তা-ই হয়, তাহলে এই রুটে সফরে সময় কমে লাগবে মাত্র ৭ ঘন্টা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রেলওয়ের মতে, শিলিগুড়ি থেকে শিয়ালদার মধ্যে বর্তমান যে রেলপথ রয়েছে তার দৈর্ঘ্য ৫৩৭ কিলোমিটার। তবে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে রুটটি চালু হলে এ দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার। রুটটি চালু হলে দেখা যাবে শিয়ালদা থেকে ট্রেন এসে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আর তা বেরিয়ে যাচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে। অন্যদিকে শিগিগুড়ি থেকে ট্রেন হলদিবাড়ি অতিক্রম করে চিলাহাটি, ডোমার, তরুনবাড়ি, নীলফামারি, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, দর্শনা হয়ে পেট্রাপোলে প্রবেশ করবে। উভয় ক্ষেত্রেই ট্রেন বেনাপোল-পেট্রাপোল বা পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া করবে।
এই রুটটি বাস্তবায়নে এর আগে রেলওয়ে বরাদ্দ করেছিল ৩১ কোটি রুপি। তার সঙ্গে হলদিবাড়িতে অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে আরো ১১ কোটি রুপি। বলা হয়েছে, রেলপথের এই অংশের ৭.৫ কিলোমিটারে নতুন করে রেলপথ বসানো সহ আরো উন্নয়ন অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাদ্দ করেছে ৮০ কোটি ১৭ লাখ রুপি। রেলের জলপাইগুড়ির কর্মকর্তা এডিআরএম প্রতীম রয় বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথ বসানোর কাজ চলছে।
হলদিবাড়ির ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার বলেছেন, হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ৩.০৫ কিলোমিটার রেলপথথের মধ্যে ৩ কিলোমিটারের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। একটি ফ্লাইওভারও নির্মাণ করা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে ইলেকট্রিক সিগন্যালবাগি। ৫৬০ মিটার দীর্ঘ দুটি প্লাটফর্মের কাজ প্রায় শেষের পথে। পুরনো যেসব স্লিপার ৬০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ভার নিতে পারে তা সরিয়ে বসানো হয়েছে ৯০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ভার বহনে সক্ষম স্লিপার। ১৯৬৫ সালে এই রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর প্রথমবারের মতো মার্চে হলদিবাড়ি চিলাহাটি রুটে বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি ট্রেন ইঞ্জিন চালানো হয়। হলদিবাড়ি-কলকাতা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, তিস্তা তোরসা এক্সপ্রেস এবং দার্জিলিং মেইলের মতো ট্রেনের টার্মিনাল স্টেশন হলো হলদিবাড়ি। ১৬৫ সাল পর্যন্ত হলদিবাড়ি দিয়ে ট্রেন প্রবেশ করে চিলাহাটি দিয়ে বেরিয়ে যেতো। তারপর তা ছুটে যেতো কলকাতা। কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে এই রেলপথটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় ভারত সফরে ছিলেন। তখন সংস্কৃতি ও বিভিন্ন কর্মকান্ড বিনিময়ের অংশ হিসেবে এই নতুন রেলপথের বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status