দেশ বিদেশ
ছাত্রলীগ নেতা হত্যার নেপথ্যে কী
স্টাফ রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
ছাত্রলীগ নেতা তানজিল হোসেন রাকিব খুন হওয়ার আগে বনানী থানায় জিডি করেছিল। সজীব নামে এক মাদকাসক্ত তাকে প্রায়ই হুমকি দিত বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। গত রমজানে এ জিডি করা হয়। কিন্তু আরেক রমজান আসার আগেই খুন হতে হলো তাকে। বনানী থানা পুলিশ এ জিডির সূত্র ধরেই রাকিব হত্যার তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানতে পেরেছে নিহত রাকিবের প্রতিবেশী সজীবের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল তার। এ নিয়ে রাকিবের সঙ্গে সজীবের দ্বন্দ্ব চলছিল। মাদকাসক্ত সজীব প্রায়ই রাকিবকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। এজন্যই গত রমজান মাসে সাধারণ ডায়েরি করেছিল রাকিব। পুলিশ জানতে পেরেছে সজীব তার স্ত্রীর সঙ্গে রাকিবের সম্পর্ক জানতে পেরে স্ত্রীকে তালাক দেয়। ্আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েই সজীব রাকিবের ওপর হামলা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এছাড়া রাকিবের পরিবারও এই ঘটনার সঙ্গে সজীব ও জসিমের সম্পৃক্ততার কথা বলেছে। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সায়হান ওলিউল্লাহ মানবজমিনকে জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা সন্দেহ করছি পারিবারিক বিরোধে এই নেতার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এর বাইরেও আমরা আরো কিছু ক্লু নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য। তবে এ ঘটনায় রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাত করা হয় বনানী ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল হোসেন রাকিবকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নুর ইসলাম (২৩) নামের আরেক সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নূর ইসলাম ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রাকিবের বাবা আলতাফ হোসেন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, তাদের বাসা মহাখালী টিঅ্যান্ডটি কলোনি মসজিদের পেছনে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তেজগাঁও কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করে তিতুমির কলেজে মাস্টার্স করছিল রাকিব। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে রাকিবের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন। এ ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। থানায় মামলা করেছি। টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে রাকিবদের টিনশেড বাসায় আহাজারি করে তার বোন দুলোন বলেন- সজীব, জসিমসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। সজীবকে গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো ঘটনা জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাত করা হয় বনানী ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিল হোসেন রাকিবকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নুর ইসলাম (২৩) নামের আরেক সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। নূর ইসলাম ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রাকিবের বাবা আলতাফ হোসেন গতকাল মানবজমিনকে বলেন, তাদের বাসা মহাখালী টিঅ্যান্ডটি কলোনি মসজিদের পেছনে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তেজগাঁও কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করে তিতুমির কলেজে মাস্টার্স করছিল রাকিব। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে রাকিবের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছেন। এ ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। থানায় মামলা করেছি। টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে রাকিবদের টিনশেড বাসায় আহাজারি করে তার বোন দুলোন বলেন- সজীব, জসিমসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। সজীবকে গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো ঘটনা জানা যাবে।