প্রথম পাতা
নারায়ণগঞ্জে এক শ্রমিকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি
পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা শিল্পনগরীর বিসিক
এলাকায় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে গোলেনুর বেগম (৪০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরো বেশি মারমুখী হয়ে উঠে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ২০ পুলিশসহ অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আশ্বাসে শ্রমিকরা শান্ত হয়। নিহত শ্রমিক গোলেনুর বেগম এনআর গ্রুপের ৭ তলা ভবনের ৮ নাম্বার লাইনের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি নাটোরে। তবে পুলিশের দাবি, ভয়ে ও আতঙ্কে বুলি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার ওপর কোনো আঘাত লাগেনি। শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিসিকের ভোলাইল এলাকায় এনআর গ্রুপে।
পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এনআর গ্রুপের শ্রমিকরা সকাল ১০টায় কর্মবিরতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় শ্রমিকরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরো মারমুখী হয়ে ওঠে। বাড়ানো হয় পুলিশ উপস্থিতি। পরে বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়েও বিপুলসংখ্যক পুলিশ কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছিল না। সংঘর্ষে ২০ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষের কারণে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়। দুপুর একটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, পুলিশ কারো ওপর হামলা করেনি। বরং শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছে। নারী শ্রমিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে ভয়ে ও আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক করে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
এলাকায় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে গোলেনুর বেগম (৪০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরো বেশি মারমুখী হয়ে উঠে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ২০ পুলিশসহ অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আশ্বাসে শ্রমিকরা শান্ত হয়। নিহত শ্রমিক গোলেনুর বেগম এনআর গ্রুপের ৭ তলা ভবনের ৮ নাম্বার লাইনের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি নাটোরে। তবে পুলিশের দাবি, ভয়ে ও আতঙ্কে বুলি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার ওপর কোনো আঘাত লাগেনি। শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিসিকের ভোলাইল এলাকায় এনআর গ্রুপে।
পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এনআর গ্রুপের শ্রমিকরা সকাল ১০টায় কর্মবিরতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় শ্রমিকরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরো মারমুখী হয়ে ওঠে। বাড়ানো হয় পুলিশ উপস্থিতি। পরে বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়েও বিপুলসংখ্যক পুলিশ কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছিল না। সংঘর্ষে ২০ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষের কারণে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়। দুপুর একটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, পুলিশ কারো ওপর হামলা করেনি। বরং শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছে। নারী শ্রমিক নিহত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে ভয়ে ও আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক করে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি।