শেষের পাতা
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুক্তাদিরের নালিশ
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
পুলিশের অতিউৎসাহী কার্যকলাপ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন সিলেট-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। পুলিশ তার নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতেই অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগও তার। এ কারণে তিনি পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং মাঠ হবে কী না- এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিলেট-১ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির নিজেও ৫ মামলার আসামি। এসব মামলায় প্রায় দুই সপ্তাহ কারাবরণ করে ক’দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়েছেন। এরপর বিএনপি’র হয়ে এ আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে তিনি সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে যান।
এ সময় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পুলিশের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিচারপ্রার্থী হন। খন্দকার আবদুল মুক্তাদির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান- ‘প্রতিরাতেই পুলিশ নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে অভিযান চালাচ্ছে। তারা তল্লাশির পাশাপাশি দেখে দেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসছে।’ তিনি জানান- ‘এ ব্যাপারে প্রমাণ চাইলে তিনি নির্বাচন কমিশনে দেখাতে পারেন। কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে চাইলে সেই নামও দিতে পারবেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে নিরপেক্ষ মাঠ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম এ সময় বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেন। এবং এ বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও মুক্তাদিরকে আশ্বস্ত করেন। এদিকে- রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে বাইরে বের হয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। এ সময় তিনি বলেন- ‘আমার সব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে এসেছি। এবং এও জানিছি যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।’ তিনি বলেন- ‘প্রতি রাতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএনপি’র কমী-সমর্থকদের দেখলেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। এরপর তাদের একাধিক মামলায় আসামি করা হয়।’ এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। পুলিশ কর্তৃক বিএনপি’র নেতাকর্মীদের হুমকির প্রসঙ্গে খন্দকার আবদুুল মুক্তাদির দাবি করেন- ‘পুলিশ নেতাকর্মীদের সিলেট থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়ে আসছে। এতে করে সিলেট বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছে বলে দাবি করেন তিনি।’
সিলেট মহানগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট নগরীর প্রায় ২৭ ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ-ই রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না। প্রতিরাতে পুলিশ বাসাবাড়িতে অভিযান চালানোর কারণে আতঙ্ক নেমে এসেছে। বর্তমানে সিলেট বিএনপি’র প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭ গায়েবি মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় প্রায় সব নেতাকর্মী জামিনে রয়েছেন। কেউ কেউ কারাগারে থাকলেও পলাতকের সংখ্যা খুব কম। বর্তমানে পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করছে তাদের ওই মামলাগুলোর গায়েবি তালিকায় ঢুকিয়ে আদালতে সোপর্দ করছে। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজমল বখ্ত সাদেক মানবজমিনকে জানিয়েছেন- পুলিশের ভয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন ঘরছাড়া। কেউ-ই রাতে বাড়িতে ঘুমান না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের অভিযান আরো বাড়ছে। ফলে নিরপেক্ষ মাঠ তৈরিতে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে- সিলেট জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ খান জামাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- বুধবার গভীর রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকী পুলিশ। প্রথমে কেউ স্বীকার না করায় পরিবার ছিল উৎকণ্ঠায়। শেষে সকালে তাকে ফেঞ্চুগঞ্জের একটি ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। জামাল জানান- সুফিয়ান সিলেট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতির পাশাপাশি মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। তিনি বলেন- এভাবেই বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধরে ধরে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
সিলেট-১ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির নিজেও ৫ মামলার আসামি। এসব মামলায় প্রায় দুই সপ্তাহ কারাবরণ করে ক’দিন আগে তিনি জামিনে বেরিয়েছেন। এরপর বিএনপি’র হয়ে এ আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে তিনি সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে যান।
এ সময় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পুলিশের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিচারপ্রার্থী হন। খন্দকার আবদুল মুক্তাদির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান- ‘প্রতিরাতেই পুলিশ নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়িতে সাদা পোশাকে অভিযান চালাচ্ছে। তারা তল্লাশির পাশাপাশি দেখে দেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসছে।’ তিনি জানান- ‘এ ব্যাপারে প্রমাণ চাইলে তিনি নির্বাচন কমিশনে দেখাতে পারেন। কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে চাইলে সেই নামও দিতে পারবেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে নিরপেক্ষ মাঠ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম এ সময় বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেন। এবং এ বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও মুক্তাদিরকে আশ্বস্ত করেন। এদিকে- রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে বাইরে বের হয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। এ সময় তিনি বলেন- ‘আমার সব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে এসেছি। এবং এও জানিছি যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।’ তিনি বলেন- ‘প্রতি রাতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, তল্লাশি চালাচ্ছে। বিএনপি’র কমী-সমর্থকদের দেখলেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। এরপর তাদের একাধিক মামলায় আসামি করা হয়।’ এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। পুলিশ কর্তৃক বিএনপি’র নেতাকর্মীদের হুমকির প্রসঙ্গে খন্দকার আবদুুল মুক্তাদির দাবি করেন- ‘পুলিশ নেতাকর্মীদের সিলেট থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার কথাও জানিয়ে আসছে। এতে করে সিলেট বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছে বলে দাবি করেন তিনি।’
সিলেট মহানগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন- সিলেট নগরীর প্রায় ২৭ ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ-ই রাতে বাড়িতে থাকতে পারেন না। প্রতিরাতে পুলিশ বাসাবাড়িতে অভিযান চালানোর কারণে আতঙ্ক নেমে এসেছে। বর্তমানে সিলেট বিএনপি’র প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭ গায়েবি মামলা রয়েছে। এ সব মামলায় প্রায় সব নেতাকর্মী জামিনে রয়েছেন। কেউ কেউ কারাগারে থাকলেও পলাতকের সংখ্যা খুব কম। বর্তমানে পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করছে তাদের ওই মামলাগুলোর গায়েবি তালিকায় ঢুকিয়ে আদালতে সোপর্দ করছে। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজমল বখ্ত সাদেক মানবজমিনকে জানিয়েছেন- পুলিশের ভয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন ঘরছাড়া। কেউ-ই রাতে বাড়িতে ঘুমান না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের অভিযান আরো বাড়ছে। ফলে নিরপেক্ষ মাঠ তৈরিতে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে- সিলেট জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ খান জামাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন- বুধবার গভীর রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকী পুলিশ। প্রথমে কেউ স্বীকার না করায় পরিবার ছিল উৎকণ্ঠায়। শেষে সকালে তাকে ফেঞ্চুগঞ্জের একটি ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। জামাল জানান- সুফিয়ান সিলেট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতির পাশাপাশি মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। তিনি বলেন- এভাবেই বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধরে ধরে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।