খেলা
বিসিবি-উইন্ডিজ প্রস্তুতি ম্যাচ
জোড়া সেঞ্চুরিতে উজ্জ্বল তামিম-সৌম্য
স্পোর্টস ডেস্ক
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
দিনের প্রথমভাগে স্বাগতিকদের চমকে দিয়েছিল উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষটায় জোড়া সেঞ্চুরিতে আলো টানেন তামিম-সৌমরাই। মূল লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে ভালো প্রস্তুতি সারলো টাইগাররা। গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ লুইস আইনে ৫১ রানে জয় দেখে বিসিবি একাদশ। সর্বশেষ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়েন তামিম ইকবাল। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণ সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন দেশসেরা এ ওপেনার। তামিম খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। দীর্ঘ বিরতিতে খেলতে নামলেও গতকাল তামিমের ব্যাটিংটা ছিল সাবলীল। প্রস্তুতি ম্যাচে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম ইকবাল। দারুণ সেঞ্চুরিতে ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। ৮৩ বলের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও হাফডজন ছক্কা হাঁকান সৌম্য। সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মাঠে আগে ব্যাটিং শেষে বিসিবি একাদশকে ৩৩২ রানের টার্গেট দেয় সফরকারী উইন্ডিজ। ওপেনিংয়ে ১৫ ওভারে ১০১ রানের জুটি গড়েন কাইরন পাওয়েল ও শাই হোপ। সর্বোচ্চ ৮১ রান আসে হোপের ব্যাট থেকেই। সাত নম্বরে ব্যাট হাতে রোস্টন চেজ করেন ৬৫* রান। বিসিবি একাদশের বল হাতে পূর্ণ ১০ ওভারের স্পেলে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান রানা ও নাজমুল ইসলাম অপু। ৮ ওভারের স্পেলে ৩৭ রানে এক উইকেট নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
জবাবে মাত্র ৭১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। এতে তিনি হাঁকান ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কা। ব্যক্তিগত ১০৭ রানে ক্যারিবীয় স্পিনার রোস্টন চেজের বল ক্রিজ ছেড়ে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তামিম। আর ২৩ ওভার শেষে বিসিবি একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬/২-এ। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে শুরুর ৯ ওভারে ৮১ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। চেজের ডেলিভারিতে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৫ বলে ২৭ রান করেন ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সৌম্য সরকার মাত্র ৮৩ বলে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। পরে অল্প ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বিসিবি একাদশ। ১৯৫ থেকে পরের ৩৯ রানে একে একে উইকেট হারান তামিম, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক ও তৌহিদ হৃদয়। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সৌম্য সরকার। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা করেন ২২ রান। ১৮ বলের ইনিংসে মাশরাফি হাঁকান ২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। ৪১ ওভার শেষে আলো স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। আর ডি/এল আইনে ৫১ রানে জয় দেখে বিসিবি একাদশ। এ সময় বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ছিল ৩১৪/৬। উইন্ডিজের বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন রোস্টন চেজ ও দেবেন্দ্র বিশু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: উইন্ডিজ, ব্যাটিং
উইন্ডিজ: ৫০ ওভার; ৩৩১/৮ (হোপ ৮১, চেজ ৬৫*, অ্যালেন ৪৮, কে পাওয়েল ৪৩, রুবেল ২/৫৫, অপু ২/৬১, রানা ২/৬৫, শামিম ১/১৬, মাশরাফি ১/৩৭)।
বিসিবি একাদশ: ৪১ ওভার; ৩১৪/৬ (তামিম ১০৭, ইমরুল ২৭, সৌম্য ১০৩*, মিঠুন ৫, আরিফুল ২১, তৌহিদ ০, শামিম ৯, মাশরাফি ২২*, চেজ ২/৫৭)।
ফল: বিসিবি একাদশ ডি/এল আইনে ৫১ রানে জয়ী
জবাবে মাত্র ৭১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। এতে তিনি হাঁকান ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কা। ব্যক্তিগত ১০৭ রানে ক্যারিবীয় স্পিনার রোস্টন চেজের বল ক্রিজ ছেড়ে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিং হন তামিম। আর ২৩ ওভার শেষে বিসিবি একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬/২-এ। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে শুরুর ৯ ওভারে ৮১ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। চেজের ডেলিভারিতে শিমরন হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৫ বলে ২৭ রান করেন ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সৌম্য সরকার মাত্র ৮৩ বলে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। পরে অল্প ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বিসিবি একাদশ। ১৯৫ থেকে পরের ৩৯ রানে একে একে উইকেট হারান তামিম, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক ও তৌহিদ হৃদয়। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সৌম্য সরকার। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা করেন ২২ রান। ১৮ বলের ইনিংসে মাশরাফি হাঁকান ২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। ৪১ ওভার শেষে আলো স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। আর ডি/এল আইনে ৫১ রানে জয় দেখে বিসিবি একাদশ। এ সময় বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ছিল ৩১৪/৬। উইন্ডিজের বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন রোস্টন চেজ ও দেবেন্দ্র বিশু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: উইন্ডিজ, ব্যাটিং
উইন্ডিজ: ৫০ ওভার; ৩৩১/৮ (হোপ ৮১, চেজ ৬৫*, অ্যালেন ৪৮, কে পাওয়েল ৪৩, রুবেল ২/৫৫, অপু ২/৬১, রানা ২/৬৫, শামিম ১/১৬, মাশরাফি ১/৩৭)।
বিসিবি একাদশ: ৪১ ওভার; ৩১৪/৬ (তামিম ১০৭, ইমরুল ২৭, সৌম্য ১০৩*, মিঠুন ৫, আরিফুল ২১, তৌহিদ ০, শামিম ৯, মাশরাফি ২২*, চেজ ২/৫৭)।
ফল: বিসিবি একাদশ ডি/এল আইনে ৫১ রানে জয়ী