খেলা
লিটন জানেন কতটা ‘কঠিন’
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল দলে ছিলেন না। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস ও তরুণ সৌম্য সরকার ফর্মের জন্য দলে আসা-যাওয়ার মাঝে ছিলেন। তাই ওয়ানডেতে ওপেনার হিসেবে লিটন কুমার দাসের ছিল অফুরন্ত সুযোগ। দলও তার প্রতিভার ওপর আস্থা রেখেছিল ২ বছর। তবে এ সময়ে ১৭ ম্যাচে লিটনকে নিয়ে প্রশ্ন ছাড়া কোনো উত্তর মেলেনি। অবশেষে গেল এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে তার ব্যাটে উত্তর দেন ১২০ রানের ইনিংস খেলে। সবচেয়ে বড় বিষয় তার ওপেনিং পার্টনার হিসেবে ছিলেন লেট অর্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। এশিয়া কাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্টে ওপেনিংয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লিটন। সেখানে ইমরুল দুই সেঞ্চুরিতে গড়েছেন রেকর্ড। আর সৌম্য এক ম্যাচে সুযোগ পেয়েই হাঁকান সেঞ্চুরি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এই দুজন তো দলে আছেনই। তার ওপর ফিরেছেন তামিম ইকবাল। তাই লিটনের জন্য জায়গা পাওয়া কতটা কঠিন তা অনুমেয়। আর তিনি নিজেও জানেন সেটি। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে নিজের এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিটন বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বলতে পারেন আমার জন্য। কারণ, দলে এখন তিন চারজন ওপেনার খেলছে। এটি যেমন দেখতেও ভালো লাগে আর আমার নিজের মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকে যে ভালো করতে হবে।’
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে লিটন যখন অনুশীলনে ব্যস্ত তখন বিকেএসপিতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তামিম ইকবাল। আর সেই ঝড়কে প্রলয়ে রূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার। তামিম ১০৭ রান করেন ৭২ বলে অন্যদিকে ৮২ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়াও ইমরুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের জায়গা আগেই পাকা করে রেখেছেন। ওপেনারদের এই প্রতিযোগিতা লিটনকে দলের বাইরের রাখার জন্য যথেষ্ট। ব্যক্তিগত এই অনুভূতি নিয়ে লিটন বলেন, ‘আসলে আমি দলে থাকবো কি না সেটি পুরোপুরি টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়। আমার কাজ সুযোগ পেলে পারফর্ম করা, সেটিই করে যাব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে খেলেন ৪, ৮৪ ও ০ রানের তিন ইনিংস। পরে জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ছিলেন ম্লান। ওপেনিংয়ে ছিলেন দারুণভাবে ব্যর্থ। তবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ টেস্টে লেট অর্ডারে নেমে ফিফটি হাঁকান তিনি। লিটন বলেন, ‘আপাতত ধারাবাহিকতার কথা ভেবে চাপ নিচ্ছি না। আমার এখন কাজ হচ্ছে পারফরম্যান্স করা। তিন টেস্টে সুযোগ পেয়েছি চেষ্টা করেছি। এখন ওয়ানডেতে সুযোগ পেলে এখানেও চেষ্টা করবো।’ তবে নিজের ভুলগুলো খুঁজে পেয়েছেন লিটন। আর সেগুলোই শুধরাতে চান। লিটন বলেন, ‘আসলে আমি শট সিলেকশন ও মনোযোগ এই দুটিই ঠিক মতো করতে পারছিলাম না। এটি নিয়ে কাজ করছি।’
জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্পিনে খেলেছেন। ওয়ানডেতে সেরকম হয়তো থাকবে না। এখানে পেসাররাও দাপট দেখাবে। দুটি বিষয় মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি দরকার। বিশেষ করে মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত লিটন? তিনি বলেন, ‘আসলে টেস্ট ক্রিকেটে একরকম আর ওয়ানডে ক্রিকেট আরেক রকম। ওয়ানডেতে উইকেট যেমন হয় যে সমন্বয় থাকে। এক তরফা স্পিন নিয়েও খেলা যায় না আবার পেস নিয়েও খেলা যায় না। বিষয়গুলো মাথায় আছে সেইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ দলে লিটনের সুযোগ ওপেনার হিসেবে না হলে তিনেও হতে পারে। তবে লিটনের প্রিয় জায়গা ওপেনিংই। আর সেখানে সুযোগ পেলেই তিনি বেশি খুশি।
সীমিত ওভারের ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভীষণ ভয়ঙ্কর। তার পরও বাংলাদেশ ক্যারিবীয় সফরে গিয়েই তাদের ২-১ সিরিজ হারিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে টেস্টে ক্যারিবীয়দের রীতিমতো উড়িয়ে জয় পেয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বসী বাংলাদেশ দল। তবে লিটন জানালেন এতে আত্মবিশ্বাস থাকলেও তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে লিটন যখন অনুশীলনে ব্যস্ত তখন বিকেএসপিতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তামিম ইকবাল। আর সেই ঝড়কে প্রলয়ে রূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার। তামিম ১০৭ রান করেন ৭২ বলে অন্যদিকে ৮২ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়াও ইমরুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের জায়গা আগেই পাকা করে রেখেছেন। ওপেনারদের এই প্রতিযোগিতা লিটনকে দলের বাইরের রাখার জন্য যথেষ্ট। ব্যক্তিগত এই অনুভূতি নিয়ে লিটন বলেন, ‘আসলে আমি দলে থাকবো কি না সেটি পুরোপুরি টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়। আমার কাজ সুযোগ পেলে পারফর্ম করা, সেটিই করে যাব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে খেলেন ৪, ৮৪ ও ০ রানের তিন ইনিংস। পরে জিম্বাবুয়ে ও উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ছিলেন ম্লান। ওপেনিংয়ে ছিলেন দারুণভাবে ব্যর্থ। তবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ টেস্টে লেট অর্ডারে নেমে ফিফটি হাঁকান তিনি। লিটন বলেন, ‘আপাতত ধারাবাহিকতার কথা ভেবে চাপ নিচ্ছি না। আমার এখন কাজ হচ্ছে পারফরম্যান্স করা। তিন টেস্টে সুযোগ পেয়েছি চেষ্টা করেছি। এখন ওয়ানডেতে সুযোগ পেলে এখানেও চেষ্টা করবো।’ তবে নিজের ভুলগুলো খুঁজে পেয়েছেন লিটন। আর সেগুলোই শুধরাতে চান। লিটন বলেন, ‘আসলে আমি শট সিলেকশন ও মনোযোগ এই দুটিই ঠিক মতো করতে পারছিলাম না। এটি নিয়ে কাজ করছি।’
জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্পিনে খেলেছেন। ওয়ানডেতে সেরকম হয়তো থাকবে না। এখানে পেসাররাও দাপট দেখাবে। দুটি বিষয় মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি দরকার। বিশেষ করে মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত লিটন? তিনি বলেন, ‘আসলে টেস্ট ক্রিকেটে একরকম আর ওয়ানডে ক্রিকেট আরেক রকম। ওয়ানডেতে উইকেট যেমন হয় যে সমন্বয় থাকে। এক তরফা স্পিন নিয়েও খেলা যায় না আবার পেস নিয়েও খেলা যায় না। বিষয়গুলো মাথায় আছে সেইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ দলে লিটনের সুযোগ ওপেনার হিসেবে না হলে তিনেও হতে পারে। তবে লিটনের প্রিয় জায়গা ওপেনিংই। আর সেখানে সুযোগ পেলেই তিনি বেশি খুশি।
সীমিত ওভারের ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভীষণ ভয়ঙ্কর। তার পরও বাংলাদেশ ক্যারিবীয় সফরে গিয়েই তাদের ২-১ সিরিজ হারিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে ঘরের মাঠে টেস্টে ক্যারিবীয়দের রীতিমতো উড়িয়ে জয় পেয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বসী বাংলাদেশ দল। তবে লিটন জানালেন এতে আত্মবিশ্বাস থাকলেও তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না।