খেলা
নোফেল স্পোর্টিংয়ের কাছে হারলো মোহামেডান
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
মৌসুমের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিলো নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে চমক দেখানোর পাশাপাশি ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের আশাও জিইয়ে রাখলো ক্লাবটি। নোফেল স্পোর্টিংয়ের কাছে ২-০ গোলে হেরে ফেডারেশন কাপের পর স্বাধীনতা কাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা পড়লো ঐহিত্যবাহী ক্লাবটির।
সোনালী ট্রফির সঙ্গে রঙিন মোহামেডানকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৪ সালে। সেটা অবশ্যই স্বাধীনতা কাপে। কিন্তু এরপর প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ, ফেডারেশন কাপ কিংবা স্বাধীনতা কাপ- কোনটাতেই আর নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না দীর্ঘদিন ধরেই। ঢাকার মাঠে তাদের সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটাই ম্লান। সাদামাটা পারফরমেন্সে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারেনি মোহামেডান। ফেডারেশন কাপের ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি স্বাধীনতা কাপে রহমতগঞ্জের সঙ্গে শুরু করে গোলশূন্য ড্র দিয়ে। গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডারবোয়ে এবং নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি- নামিদামি বিদেশি ফুটবলার, অথচ একটি গোলও করতে পারেননি তারা। দু’দুটি ম্যাচে গোলের সুযোগ যে তারা পাননি, তা নয়। কিন্তু একটি সুযোগও গোলে পরিণত করতে পারেননি। যার ফলে এখন বিদায়ের ক্ষণ গুনতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দলটিকে। দুর্বল রক্ষণভাগ আর গোলকিপার সাদ ইশতিয়াকের অদক্ষতায় দ্বিগুণ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটিকে।
এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় নোফেল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন নোফেলের গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। বাঁ পায়ের গড়ানো ক্রস করেন তিনি। সেই বল চমৎকারভাবে ডান পায়ের গড়ানো প্লেসিং শটে জালে বল জড়িয়ে দেন মিডফিল্ডার খন্দকার আশরাফুল ইসলাম (১-০)। ম্যাচের অন্তিম সময়ে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। গোল করার উদ্দেশ্যে গোলকিপার সাদ ইশতিয়াক নিজের জায়গা ছেড়ে চলে যান প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায়। এই ফাকে ফাঁকা বার পেয়ে নোফেলের বদলি মিডফিল্ডার মোহাম্মদ রোমান দূর থেকে বল নিয়ে এসে ঠেলে দেনে মোহামেডানের জালে (২-০)। আরো একবার উৎসবে মেতে উঠেন নোফেলের ফুটবলাররা। শেষে ২-০ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে নোফেল।
কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
টানা দু’ম্যাচ জিতে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। নোফেল স্পোর্টিংয়ের পর রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে গত আসরের রানার্সআপরা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় পুরানো ঢাকার ক্লাবটিকে। জয়ী দলের একমাত্র গোলটি করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মামুদু বাহ।
চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়া স্বাধীনতা কাপের বি-গ্রুপে বড়ই জটিল অবস্থানে রয়েছে বাকি তিন দল। অন্য গ্রুপে তিন দল করে থাকলেও এই গ্রুপে চারটি। যার ফলে অঙ্কটা জটিল হয়ে গেছে। সেই জটিলতা আরো বাড়িয়েছে মোহামেডান ও রহমতগঞ্জের মধ্যকার প্রথম ম্যাচে ড্র। দু’দলেরই এক পয়েন্ট করে হাতে। ৩৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। মিডফিল্ডার কৌশিক বড়ুয়ার কর্নার থেকে বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে হেড করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মামুদু বাহ। তার হেড রহমতগঞ্জের গোলকিপার তিতুমীর চৌধুরীর হাত ফস্কে জালে জড়িয়ে যায় (১-০)। এই ব্যবধান ধরে রেখেই ১-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আবাহনী।
আজকের খেলা
আরামবাগ-সাইফ স্পোর্টিং ৫টা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম
সোনালী ট্রফির সঙ্গে রঙিন মোহামেডানকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৪ সালে। সেটা অবশ্যই স্বাধীনতা কাপে। কিন্তু এরপর প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ, ফেডারেশন কাপ কিংবা স্বাধীনতা কাপ- কোনটাতেই আর নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না দীর্ঘদিন ধরেই। ঢাকার মাঠে তাদের সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটাই ম্লান। সাদামাটা পারফরমেন্সে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারেনি মোহামেডান। ফেডারেশন কাপের ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি স্বাধীনতা কাপে রহমতগঞ্জের সঙ্গে শুরু করে গোলশূন্য ড্র দিয়ে। গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডারবোয়ে এবং নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি- নামিদামি বিদেশি ফুটবলার, অথচ একটি গোলও করতে পারেননি তারা। দু’দুটি ম্যাচে গোলের সুযোগ যে তারা পাননি, তা নয়। কিন্তু একটি সুযোগও গোলে পরিণত করতে পারেননি। যার ফলে এখন বিদায়ের ক্ষণ গুনতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দলটিকে। দুর্বল রক্ষণভাগ আর গোলকিপার সাদ ইশতিয়াকের অদক্ষতায় দ্বিগুণ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটিকে।
এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় নোফেল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন নোফেলের গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। বাঁ পায়ের গড়ানো ক্রস করেন তিনি। সেই বল চমৎকারভাবে ডান পায়ের গড়ানো প্লেসিং শটে জালে বল জড়িয়ে দেন মিডফিল্ডার খন্দকার আশরাফুল ইসলাম (১-০)। ম্যাচের অন্তিম সময়ে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। গোল করার উদ্দেশ্যে গোলকিপার সাদ ইশতিয়াক নিজের জায়গা ছেড়ে চলে যান প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায়। এই ফাকে ফাঁকা বার পেয়ে নোফেলের বদলি মিডফিল্ডার মোহাম্মদ রোমান দূর থেকে বল নিয়ে এসে ঠেলে দেনে মোহামেডানের জালে (২-০)। আরো একবার উৎসবে মেতে উঠেন নোফেলের ফুটবলাররা। শেষে ২-০ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে নোফেল।
কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
টানা দু’ম্যাচ জিতে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। নোফেল স্পোর্টিংয়ের পর রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে গত আসরের রানার্সআপরা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় পুরানো ঢাকার ক্লাবটিকে। জয়ী দলের একমাত্র গোলটি করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মামুদু বাহ।
চট্টগ্রাম আবাহনী ছাড়া স্বাধীনতা কাপের বি-গ্রুপে বড়ই জটিল অবস্থানে রয়েছে বাকি তিন দল। অন্য গ্রুপে তিন দল করে থাকলেও এই গ্রুপে চারটি। যার ফলে অঙ্কটা জটিল হয়ে গেছে। সেই জটিলতা আরো বাড়িয়েছে মোহামেডান ও রহমতগঞ্জের মধ্যকার প্রথম ম্যাচে ড্র। দু’দলেরই এক পয়েন্ট করে হাতে। ৩৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। মিডফিল্ডার কৌশিক বড়ুয়ার কর্নার থেকে বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে হেড করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মামুদু বাহ। তার হেড রহমতগঞ্জের গোলকিপার তিতুমীর চৌধুরীর হাত ফস্কে জালে জড়িয়ে যায় (১-০)। এই ব্যবধান ধরে রেখেই ১-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আবাহনী।
আজকের খেলা
আরামবাগ-সাইফ স্পোর্টিং ৫টা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম