বাংলারজমিন
শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুর
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
শৈলকুপা উপজেলার ব্রাহিমপুর গ্রামে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এসময় শৈলকুপা থানার ওসির ভূমিকা ছিল রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। গ্রামের একপাশে পুলিশের অবস্থান থাকলেও অন্য পাশে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চলতে দেখা যায়। গ্রামবাসী জানায়, শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাব্দার হোসেন মোল্লা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাবুলের সমর্থকরা সাব্দার মোল্লার সমর্থক আমজেদ মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করে। এরই জের ধরে সকাল থেকে দফায় দফায় সাব্দার মোল্লার সমর্থকরা ব্রাহিমপুর গ্রামের বাবুলের সমর্থক বজলু মোল্লা, নলু মোল্লা, রাজু, বদর উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীকালে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে গ্রামের একপাশে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও অন্য পাশে চলে ভাঙচুর ও লুটপাট। স্থানীয় মাতব্বর আবু বক্কার ওরফে বাক্কারের নেতৃত্বে চলে এ ভাঙচুর ও লুটপাট। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান এই হামলা ভাঙচুর ঘটনার কোনো গুরুত্ব দেননি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে দেখা গেলেও ওসি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, ঘটনা জানার পর সেখানে সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।