খেলা
বিসিসিআইকে অপমানিত মিতালির চিঠি
স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি দলের তারকা ক্রিকেটার মিতালি রাজের। এ নিয়ে ম্যাচের দিন চলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মঙ্গলবার মিতালি রাজ দেখা করেন বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি ও ক্রিকেট অপারেশনস জিএম সাবা করিমের সঙ্গে। পাশাপাশি বোর্ডকে একটি চিঠিও দেন মিতালি। ওই চিঠিতে ভারত ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ক লিখেছেন, দুই দশকের ক্যারিয়ারে প্রথমবার এত হতাশ, অপমানিত হলাম। দেশের হয়ে আমার এতদিন ধরে খেলার কোনো গুরুত্ব ক্ষমতাসীনদের কাছে সত্যিই আছে কিনা, এটাও ভাবতে বাধ্য হলাম। কারণ, ক্ষমতায় থাকা কয়েকজন আমাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। চেষ্টা করছে আমার আত্মবিশ্বাস চুরমার করতে। দুদিন আগেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হারমানপ্রীতকে মিতালি রাজের ম্যানেজার অনিশা গুপ্তা মিথ্যুক, প্রতারক, অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য অধিনায়ক বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে মিতালি রাজ বললেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হারমানপ্রীতের ওপর তার কোনো রাগ নেই। তবে কোচ যখন আমাকে বাদ দেয়ার কথা বলল, তখন ও সেটা মেনে নিয়েছিল। এটা আমাকে আহত করেছে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আমার লক্ষ্য ছিল। এবার সেই সুযোগ হারালাম বলেই বেশি কষ্ট পেয়েছি। মিতালির সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ভারতীয় নারী দলের কোচ রমেশ পাওয়ারকে নিয়ে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমি যখনই নেটে ব্যাট করতাম, তিনি অন্যদিকে চলে যেতেন। আমি যদি তার সঙ্গে কথা বলতে চাইতাম, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ওই ভাবেই কথা বলতেন। আমাকে যে অপমান করা হচ্ছে, সেটা সবার কাছেই তখন স্পষ্ট হয়ে উঠত। আমি তবুও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। কিন্তু আমাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের পর কোচের আচরণ আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোচ রমেশ পাওয়ার তার রুমে আমাকে ডেকে বলেন, ম্যাচ শেষেও আমি যেন মাঠে না যাই। কারণ সেখানে সংবাদমাধ্যম থাকবে। তাই আমি ম্যাচের পর ড্রেসিং রুম থেকে বের হইনি।