বিশ্বজমিন
‘খাসোগি হত্যায় ক্রাউন প্রিন্সের বিচার চাওয়া সীমা লঙ্ঘন’
মানবজমিন ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১:২১ পূর্বাহ্ন
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকান্ডে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিচার চাওয়া হবে সীমা লঙ্ঘন। এমন মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের বাদশা ও যুবরাজ হলেন প্রতিজন সৌদি নাগরিকের প্রতিনিধি। তাই প্রতিজন সৌদি নাগরিক তাদের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই বাদশা ও যুবরাজের বিরুদ্ধে অপমানজনক কোনো আলোচনা সৌদি আরব সহ্য করবে না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আদেল আল জুবেইর বুধবার বিবিসি’কে সাক্ষাতকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, সৌদি আরবে আমাদের নেতৃত্ব একটি রেড লাইন। পবিত্র দুই মসজিদের রক্ষক ও ক্রাউন প্রিন্স হলেন রেড লাইন। অর্থাৎ তাদেরকে অতিক্রম করা যাবে না।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি সৌদি আরবের নাগরিক। তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক। গত বছর ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু হলে নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান জামাল খাসোগি। সেখানে ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি কলাম লিখতে থাকেন। এ সময় তিনি তুরস্কের একজন যুবতীর প্রেমে পড়েন। তাকে বিয়ে করতে তার কাগজপত্রের প্রয়োজন ছিল। তা তুলতে ২রা অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এর পর অনেক কথা বলা হয়েছে। সৌদি আরব এর দায় স্বীকার করে। এ জন্য তারা বিচার করতে ২১ জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে। তদন্তে বার বার এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ক্রাউন প্রিন্সের নাম আসছে বার বার। তবে তা সরকার অস্বীকার করছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করেছে যে, এ হত্যায় ক্রাউন প্রিন্স যুক্ত থাকতে পারেন। এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমরা এ বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে। এ অপরাধে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা হত্যাকান্ডের সব তথ্যপ্রমাণ দিতে অনুরোধ করেছি তুরস্ককে। একই সঙ্গে তথ্য ফাঁস করা বন্ধ করতে বলেছি। তিনি দাবি করেন, গোয়েন্দা বিষয়ক কর্মকর্তাদের এলোপাতাড়ি অভিযানে ওই হত্যাকান্ড ঘটেছে।
আদেল আল জুবেইর বুধবার বিবিসি’কে সাক্ষাতকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, সৌদি আরবে আমাদের নেতৃত্ব একটি রেড লাইন। পবিত্র দুই মসজিদের রক্ষক ও ক্রাউন প্রিন্স হলেন রেড লাইন। অর্থাৎ তাদেরকে অতিক্রম করা যাবে না।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি সৌদি আরবের নাগরিক। তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক। গত বছর ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু হলে নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান জামাল খাসোগি। সেখানে ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি কলাম লিখতে থাকেন। এ সময় তিনি তুরস্কের একজন যুবতীর প্রেমে পড়েন। তাকে বিয়ে করতে তার কাগজপত্রের প্রয়োজন ছিল। তা তুলতে ২রা অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এর পর অনেক কথা বলা হয়েছে। সৌদি আরব এর দায় স্বীকার করে। এ জন্য তারা বিচার করতে ২১ জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে। তদন্তে বার বার এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ক্রাউন প্রিন্সের নাম আসছে বার বার। তবে তা সরকার অস্বীকার করছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করেছে যে, এ হত্যায় ক্রাউন প্রিন্স যুক্ত থাকতে পারেন। এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমরা এ বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে। এ অপরাধে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা হত্যাকান্ডের সব তথ্যপ্রমাণ দিতে অনুরোধ করেছি তুরস্ককে। একই সঙ্গে তথ্য ফাঁস করা বন্ধ করতে বলেছি। তিনি দাবি করেন, গোয়েন্দা বিষয়ক কর্মকর্তাদের এলোপাতাড়ি অভিযানে ওই হত্যাকান্ড ঘটেছে।