এক্সক্লুসিভ
এরশাদ-ইনুর নজর নবীনগরে
জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে নজর এরশাদ-ইনু দু-জনেরই। জাতীয় পার্টি ও জাসদের এই শীর্ষ দুই নেতা ঘুরে গেছেন নবীনগর। দু-জনকে কেন্দ্র করে হয়েছে তাদের দলের শোডাউন। আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীরাও তৎপর। তারাও চাইছেন দল থেকে মনোনয়ন। এমনি অবস্থায় শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জেলার এই আসনটিতে মনোনয়ন কে পাচ্ছেন সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। এইজন-সেইজন মনোনয়ন পেয়ে গেছেন এমন নানা গুঞ্জনও ভেসে বেড়াচ্ছে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোট হলে আসনটি ছেড়ে দেয়া হয় জোটের শরীক জাসদ(ইনু)কে।
জাসদ-ইনুর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, দেশের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন ওই নির্বাচনে বিএনপি’র প্রভাবশালী প্রার্থী ৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও মহাজোটের মনোনয়ন দেয়া হয় জিকরুলকে। তখন জিকরুল স্বেচ্ছায় আসনটি ছেড়ে দেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদলকে। এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট জিকরুল এমপি নির্বাচিত হলে বাদল তার অনুগত হিসেবে পাশে থাকেন। তখনই জিকরুল পরের নির্বাচনে বাদলকে সুযোগ দেবেন বলে কথা দেন। তবে জিকরুল এবার মহাজোটের মনোনয়ন পেতে সিরিয়াস। সে লক্ষ্যে গত জুলাই মাসে জনসভা করে নিজের শক্তি-সামর্থ্যেরও জানান দেন। ওই জনসভায় হাসানুল হক ইনু জিকরুল সবদিক দিয়ে যোগ্য তা জানিয়ে বলেন, আমরা শাহ জিকরুলকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের প্রার্থী হিসেবে শেখ হাসিনার দরবারে পেশ করবো।
তার ব্যাপারে আমাদের সুপারিশ থাকবে। আমরাও মাঠের অবস্থা জানি। উনিও মাঠের অবস্থা জানেন।
দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ। তিনিও এবার মহাজোটের মনোনয়ন প্রার্থী। তার সমর্থনেও ব্যাপক
শোডাউন হয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ এবং দলের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য নেতাদের আগমনে। গত ২৮শে অক্টোবর নবীনগরে জাপার জনসভায় মামুনুর রশীদকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এরশাদ বলেন- এ আসনটি জাতীয় পার্টির ছিলো। আগামী নির্বাচনে মামুনের মাধ্যমে আসনটি ফেরত পেতে চাই। তিনি হাত উচিয়ে জনসভায় আগত লোকজনের কাছে জানতে চান তারা মামুনকে ভোট দিয়ে জয়ী করাবেন কিনা। একই জনসভায় মামুনুর রশীদকে যোগ্য প্রার্থী উল্লেখ করে জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আওয়ামীলীগের সঙ্গে আমাদের জোট হলে বা জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করলে সকল অবস্থাতেই মামুন এখানে প্রার্থী থাকবেন। কাজী মামুনুর রশিদ এই আসনটি ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। অন্যদিকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যা ২৩ জন। তবে আলোচনার কেন্দ্রতে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা মো. এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগ নেতা এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ। এ ৪ জনই দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জোর চেষ্টা করছেন।
জাসদ-ইনুর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, দেশের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন ওই নির্বাচনে বিএনপি’র প্রভাবশালী প্রার্থী ৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী মো. আনোয়ার হোসেনকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও মহাজোটের মনোনয়ন দেয়া হয় জিকরুলকে। তখন জিকরুল স্বেচ্ছায় আসনটি ছেড়ে দেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদলকে। এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে এডভোকেট জিকরুল এমপি নির্বাচিত হলে বাদল তার অনুগত হিসেবে পাশে থাকেন। তখনই জিকরুল পরের নির্বাচনে বাদলকে সুযোগ দেবেন বলে কথা দেন। তবে জিকরুল এবার মহাজোটের মনোনয়ন পেতে সিরিয়াস। সে লক্ষ্যে গত জুলাই মাসে জনসভা করে নিজের শক্তি-সামর্থ্যেরও জানান দেন। ওই জনসভায় হাসানুল হক ইনু জিকরুল সবদিক দিয়ে যোগ্য তা জানিয়ে বলেন, আমরা শাহ জিকরুলকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের প্রার্থী হিসেবে শেখ হাসিনার দরবারে পেশ করবো।
তার ব্যাপারে আমাদের সুপারিশ থাকবে। আমরাও মাঠের অবস্থা জানি। উনিও মাঠের অবস্থা জানেন।
দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ। তিনিও এবার মহাজোটের মনোনয়ন প্রার্থী। তার সমর্থনেও ব্যাপক
শোডাউন হয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ এবং দলের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য নেতাদের আগমনে। গত ২৮শে অক্টোবর নবীনগরে জাপার জনসভায় মামুনুর রশীদকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এরশাদ বলেন- এ আসনটি জাতীয় পার্টির ছিলো। আগামী নির্বাচনে মামুনের মাধ্যমে আসনটি ফেরত পেতে চাই। তিনি হাত উচিয়ে জনসভায় আগত লোকজনের কাছে জানতে চান তারা মামুনকে ভোট দিয়ে জয়ী করাবেন কিনা। একই জনসভায় মামুনুর রশীদকে যোগ্য প্রার্থী উল্লেখ করে জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আওয়ামীলীগের সঙ্গে আমাদের জোট হলে বা জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচন করলে সকল অবস্থাতেই মামুন এখানে প্রার্থী থাকবেন। কাজী মামুনুর রশিদ এই আসনটি ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। অন্যদিকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যা ২৩ জন। তবে আলোচনার কেন্দ্রতে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা মো. এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগ নেতা এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ। এ ৪ জনই দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জোর চেষ্টা করছেন।