বাংলারজমিন

তিন মাস পর কিশোরগঞ্জের সেই জেবিনের লাশ উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে

২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

যৌতুকের দাবিতে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দারোগা স্বামীর হাতে নিহত কিশোরগঞ্জের মেয়ে আয়েশা আক্তার জেবিন (৩২) এর লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত হওয়ার ৯০ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া এলাকার বাগে জান্নাত কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার সাগুফতা হক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় মামলার বাদী নিহত আয়েশা আক্তার জেবিনের বাবা মো. মুর্শেদ মিয়া ছাড়াও পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কবর থেকে লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৪ঠা নভেম্বর টাঙ্গাইলের সংশ্লিষ্ট আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুওরিন মাহবুবা নিহত আয়েশা আক্তার জেবিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কিশোরগঞ্জে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন ও সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাগুফতা হককে দায়িত্ব দেন। নিহত আয়েশা আক্তার জেবিন কিশোরগঞ্জ শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার মো. মুর্শেদ মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত কালিহাতী থানার এএসআই হামিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার বিনোদ বাড়ি মালকোন গ্রামের মো. সোহরাব আলীর ছেলে। এদিকে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের পর মামলার বাদী মো. মুর্শেদ মিয়া তার মেয়ে আয়েশা আক্তার জেবিন হত্যারহস্য উদঘাটনের জন্য জিন টেস্টের দাবি জানিয়েছেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৭ই মে এএসআই হামিদুল ইসলাম আয়েশা আক্তার জেবিনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৩ মাস ১৩ দিনের ব্যবধানে গত ২০শে আগস্ট এএসআই হামিদুল যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় জেবিনকে নির্যাতনে হত্যার পর তা আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৭শে আগস্ট নিহত জেবিনের বাবা মো. মুর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে এএসআই হামিদুল ইসলাম, তার ডিভোর্সি স্ত্রী সাবিকুন্নাহার ও বোন শিরিন আক্তারকে আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা করেন। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে তৈরি নিহত জেবিনের সুরতহাল প্রতিবেদনে মারধরের প্রেক্ষিতে জখম হওয়ার চিহ্নগুলো উল্লেখ করা হয়নি উল্লেখ করে আদালতে মামলার বাদী পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন জানান।
সে প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status