প্রথম পাতা

খালেদার সাজা স্থগিতের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার

২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও  সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত ও তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী কায়সার কামাল ও নওশাদ জমির। এই মামলায়  খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালত ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। আপিলের শুনানির পর গত ৩০শে অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়।

গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। হাইকোর্টে আমরা আপিল করেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্টে মামলার শুনানির জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয় যা আশ্চর্যজনক। দুদকের সাজা বাড়ানোর আবেদনেও আমরা শুনানি করতে পারিনি। পরে রায়ও দেয়া হয়। কায়সার কামাল বলেন, আপিলে সাধারণত সাজা কমে। কিন্তু খালেদা জিয়ার বেলায় সেটির ব্যতিক্রম হলো। রায়ে বিচারিক আদালতের সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার ঘটনা নজিরবিহীন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি দেশের আইন ও সংবিধান নিজস্ব গতিতে চলে তাহলে বেগম খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে আমরা মনে করি।

এর আগে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। মামলার অন্য পাঁচ আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন বিচারক। রায়ে বলা হয় খালেদা জিয়ার বয়স ও তার সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া  হয়েছে। রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে রাখা হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। পরে বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়াসহ অন্যরা। পাশাপাশি সাজা বাড়াতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষেও আবেদন করা হয়।  

গত ১২ই জুলাই থেকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিলের শুনানি শুরু হয়। হাইকোর্টে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল। এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের করা রিভিশন আবেদন ও সাজা বহাল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি গত ২৩শে অক্টোবর শেষ হয়। তার আগে ২৮ কার্যদিবসে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি করেন তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী। গত ৩০শে অক্টোবর হাইকোর্ট সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত তিনটি আপিল (খালেদা জিয়া, সাবেক  সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ) খারিজ করে দিয়ে দুদকের করা রিভিশন আবেদনের ওপর রুল যথাযথ ঘোষণা করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই রায়কে ‘নজিরবিহীন’ ও ‘ন্যায়বিচারের পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া রায়ের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের আদালত বর্জন কর্মসূচিও পালন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status