এক্সক্লুসিভ

ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান অর্ধশতাধিক নারী

কাফি কামাল

১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে দিনদিন। নির্বাচনেও বাড়ছে নারী প্রার্থীর সংখ্যা। দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক ও সংসদের স্পিকার হচ্ছেন নারী। সরাসরি নির্বাচনে জয়ী হয়ে এবং সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন বহু নারী। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিট চাইছেন অর্ধশতাধিক নারীনেত্রী। রাজনীতিতে এদের কারো হাতেখড়ি ছাত্রজীবনে, কারো বা বাবার শূন্য আসন কিংবা প্রয়াত স্বামীর কারণে। উত্তরাধিকারের পরিচয় ছাপিয়ে রাজনীতির মাঠে এখন তাদের সরব বিচরণ। অন্যদিকে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব পূরণের প্রতিশ্রুতি ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর। কিন্তু সে কোটা পূরণ হয়নি কোনো দলেই। তবে সাংগঠনিক দক্ষতা, নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা ও ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে এবার সরাসরি নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চান এসব নারীনেত্রী। দলীয় টিকিট নিশ্চিত করতে তারা নানা পর্যায়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জোরালো লবিং-তদ্বির।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিবারই একাধিক আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্বাচনী ইতিহাসে কোনো পরাজয়ের রেকর্ড নেই। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা হওয়ায় তিনি এখন কারাবন্দি। কারাগারে থাকলেও তার পক্ষে বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান এসব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য উচ্চ আদালতে আইনি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন দলের সিনিয়র আইনজীবী নেতারা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে দলের টিকিটে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি ওই আসনে মনোনয়ন চান। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. শাহিদা রফিক ঢাকা-১৬ আসনে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিলেট-২ আসনে। তবে তার বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াসও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করেছেন নবম জাতীয় নির্বাচনে। এবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মানিকগঞ্জ ১ ও ৩ আসনে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহধর্মিণী ফরহাত কাদের চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। নেত্রকোনা-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান।

কক্সবাজার-১ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। সম্প্রতি তিনি ভারতের আদালতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তবে এখনই তার দেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এমন পরিস্থিতিতে আবারও নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন হাসিনা আহমেদ। বান্দরবান আসনের সাবেক মা ম্যা চিং এবারও দলীয় মনোনয়ন চান। ঝালকাঠি-২ আসনে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের পর দলের সংস্কারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার কারণে পদপদবি হারিয়ে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিএনপিতে ফিরেছেন সাবেক এই এমপি। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হবেন এই আসনে।

ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির স্বনির্ভর সম্পাদক ও নব্বইয়ের ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেত্রী শিরিন সুলতানা। তবে এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এই আসন থেকে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসও মনোনয়ন চান। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়েছেন দলের প্রয়াত মহাসচিব ওবায়দুর রহমানের মেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। সেবার মাদারীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি হেলেন জেরিন খান। জামালপুর-১ আসনে শাহিদা আক্তার রিতা ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এবারও তারা নিজ নিজ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ আসনে সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ঢাকা-৭ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রয়াত নাসিরউদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা-১৪ আসন থেকে প্রয়াত নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বোন ও শহীদ কমিশনার সাইদুর রহমান নিউটনের স্ত্রী সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি মনোনয়ন চেয়েছেন। নাটোর-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরিন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। নওগাঁ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন আরা সিদ্দিকী। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জিতেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সহধর্মিণী ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ। এবারও তিনি জমা দিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন ফরম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নীলফামারী-৪ আসনে দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, নাটোর-৪ আসনে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া ও সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে চান। পঞ্চগড়-২ আসনে প্রয়াত এমপি মোজাহার হোসেনের স্ত্রী নাদিরা আখতার, নাটোর-৪ আসনে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরীন ও চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলনের স্ত্রী ও সাবেক ছাত্রনেত্রী নাজমুন নাহার বেবি। এছাড়া সিলেট-১ আসনে ডা. নুরুন্নাহার বেগম, সিলেট-৬ আসনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন চান সাবেক এমপি খালেদা রব্বানী, বরিশাল-৪ ও ৫ আসনে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, বরিশাল সদর আসনে আফরোজা খানম নাসরিন। ঝালকাঠি-১ আসনে মমতাজ বেগম, ময়মনসিংহ-১১ আসনে সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াছমিন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, চট্টগ্রাম-২ আসনে নুরে আরা সাফা ও চসিক-এর কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, চট্টগ্রাম-৬ আসনে এডভোকেট ফরিদা আকতার, চট্টগ্রাম-৯ আসনে বেগম ফাতেমা বাদশা ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনে জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, ঢাকা-১৩ আসনে মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নেত্রকোনা-২ আসনে ড. আরিফা জেসমিন নাহিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে প্রফেসর নায়লা আক্তার ও মুসেনা আক্তার, নোয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর সহধর্মিণী শামীমা বরকত লাকী, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী রুমানা মাহমুদ, নাটোর-২ আসনে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর-১ ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ থেকে সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া, যশোর-৪ আসনে ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবের স্ত্রী তানিয়া রহমান সুমী, নীলফামারী-৪ আসনে বিলকিস ইসলাম ও যশোর-৫ আসনে সাবেক এমপি প্রয়াত আফসার আহমেদ সিদ্দিকীর স্ত্রী জাহানারা বেগম মনোনয়ন চাইছেন।
এছাড়া নেত্রকোনা-৫ আসনে বেগম রাবেয়া আলী, টাঙ্গাইল-৪ আসনে রাবেয়া সিরাজ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, শরীয়তপুর-৩ আসনে তাহমিনা আওরঙ্গ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান, ফেনী-২ আসনে সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানু, ফেনী-৩ আসনে শাহানা আক্তার শানু, বাগেরহাট-৩ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রোকেয়া হলের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা মানী, চাঁদপুর-৪ আসনে সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, ময়মনসিংহ-৩ আসনে ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী তানজীন চৌধুরী লিলি, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সাবেক এমপি হোসনে আরা গিয়াস, জামালপুর-৫ আসনে সাবেক এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি, হবিগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক এমপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাম্মী আক্তার, কুষ্টিয়া-২ আসনে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, কুষ্টিয়া-৪ আসনে ফরিদা মনি, রাজশাহী-৫ আসনে মাহবুবা হাবিবা, ঝালকাঠি-২ আসনে জেবা আহমেদ খান, ফরিদপুর-৪ আসনে জাসাস সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, গাজীপুর-৩ আসনে ফরিদা ইয়াসমিন স্বপ্না, বাগেরহাট-১ আসনে রুনা গাজী, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে সাবেক এমপি গোলাম হোসেনের মেয়ে মমতাজ হোসেন লিপি, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মহিলা দলের নেত্রী মির্জা ফারজানা রহমান হোসনা, শরীয়তপুর-৩ আসনে জেলা মহিলা দল সভানেত্রী আল আসমাউল হোসনা, পাবনা-৩ আসনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, পাবনা-১ আসন থেকে ১৯৮০ সালে বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রদলের প্যানেলে প্রথম নির্বাচিত ভিপি খায়রুন নাহার খানম নির্বাচন অংশ নিতে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপি আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি, মহিলা দলের বেশ কয়েকজন নেত্রী। জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়-২ আসনে মনোনয়ন চান জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। বিএনপি নেতারা জানান, জাতীয়তাবাদী দল সব সময়ই নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন ২০৩০-এ অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নারীদের বিষয়ে। এছাড়া তরুণদের পাশাপাশি শিক্ষিত ও মার্জিত নারীনেত্রীদেরও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় দলের নির্বাহী কমিটিতে দুই নেত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয় সাংগঠনিক সম্পাদকের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন নারী নেত্রীরা। নারীনেত্রীদের প্রত্যাশা, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তাদের মূল্যায়ন করা হবে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ১১ জন নারী ১৩টি আসনে নির্বাচন করেন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করেন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে। এছাড়া সাবিনা ইয়াসমিন (নাটোর-২), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), সেলিমা রহমান (বরিশাল-৩), ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠী-২), শাহিদা আক্তার রিতা (জামালপুর-১), আফরোজা খান রিতা (মানিকগঞ্জ-২), শিরীন সুুলতানা (ঢাকা-৯), শামা ওবায়েদ ইসলাম (ফরিদপুর-২), হেলেন জেরিন খান (মাদারীপুর-২) ও হাসিনা আহমেদ (কক্সবাজার-১)।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status