দেশ বিদেশ

তারেকের ভিডিও কনফারেন্সের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার

১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে কেউ তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। তারেক রহমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তা করতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো কিছুকে মনিটরিং করার নিজস্ব ক্যাপাসিটি নেই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলবো। আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে, তাহলে আমরা নিজেরা কমিশনে বসে কি করতে পারি- সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপরে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে পরে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলবো। তারেক রহমান যদি দেশে থাকতেন তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হন, তাহলে অবশ্যই তার জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এই ধরনের কাজ করার কথা না। জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কি আছে এগুলো দেখে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। বিএনপির জমা দেয়া মামলা ও গ্রেপ্তারের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবো, যেন হয়রানিমূলক মামলা না করে। কেননা, হয়রানিমূলক মামলা করলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে। তিনি বলেন, আসলে হয়রানিমূলক কিছু হয়ে থাকলে কমিশন নির্দেশনা দেবে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। ‘থ্যাংক ইউ পিএম’ বিষয়ে টেলিভিশনে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে বিএনপি অভিযোগ করছে। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু এটা হলো একটা সরকার আছে সেই সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরছে। বিভিন্ন ভাবে এটা তুলে ধরছে, বেসরকারি টেলিভিশনেও এটা প্রচার হচ্ছে। বেসরকারি টেলিভিশন তাদের একটা নিজস্ব নীতিমালা মেনে এটা প্রচার করছে সেখানে হস্তক্ষেপ করা কি ঠিক হবে? এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বুঝতে পারছি না অন্য রাজনৈতিক দল তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরলে আপনারা (মিডিয়া) কি এটা সম্প্রচারণ করেন না। আমরা কি সে ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আমরা কোনোভাবেই ডিজিটাল প্রচারণার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেই নি। আমরা শুধু বলেছি নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না। এটা নির্বাচনী প্রচারণা কেউ অভিযোগ করলে আমাদের বসতে হবে, দেখতে হবে। দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সত্যি সত্যি নির্বাচনী প্রচারণা কিনা। নির্বাচনী প্রচারণা যদি হয় তাহলে আমরা এটা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেবো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ করা হবে কিনা এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক কিছু ব্রডকাস্ট (সম্প্রচার) করা যায়। এটা নিয়ন্ত্রণ করার কথা বা বন্ধ করার অনেক চেষ্টা বিভিন্ন জায়গায় নেয়া হয়েছে। আসলে এটা পারা যায় না। রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববারের মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ফোন নিয়ে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ করেন তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছেন। শনিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের পুলিশ ফোন দিয়ে বিব্রত করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদে যে কর্মকর্তার কথা বলা হয়েছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, না স্যার, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status