প্রথম পাতা
ফাঁকা মাঠে গোল নয়
কাজী সোহাগ
১৮ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
দলের মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত- এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বিএনপি ও ঐক্যজোটসহ আরো কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণার পর অনেকটা হতাশ আওয়ামী লীগ দলীয় অনেক প্রার্থী। তারা জানান, ভেবেছিলাম ফাঁকা মাঠে গোল দেয়া সম্ভব হবে। তাই পেতে জোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বিএনপি আসায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই জিততে হবে। তাদের দাবি, আগামী নির্বাচন যতটা সহজ ভেবেছিরাম এখন দেখছি ততটা সহজ হবে না। তাই সবকিছু নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। দেশের বিভিন্ন আসনের অন্তত ১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বললে তারা মানবজমিনের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান। এসব নেতার বেশিরভাগই হতাশ হয়ে পড়েছেন। এদিকে, আগামী নির্বাচন যে কঠিন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে তা এরইমধ্যে কয়েকবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সর্বশেষ বুধবার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন খুব কঠিন নির্বাচন হবে। খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এই সময় সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ না করেন, তাহলে আগের মতো বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সবার দায়িত্ব নিতে পারবো না। এবার নেত্রীকে বেটে খাওয়ালেও কাজ হবে না। আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি আগামী প্রজন্ম নিয়ে। তিনি বলেন, গত দুই নির্বাচনে ক্ষমতায় এনেছি, এবারো আমিই ক্ষমতায় আনবো- এটা মনে করে কোনো লাভ নেই। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে দলীয় সভাপতি বলেন, জরিপে যারা এগিয়ে থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেখানে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। যাকে মনোনয়ন দেব তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নইলে বিপদ হবে। ক্ষমতায় আসছি মনে করে নিজেদের মধ্যে যে মনোনয়ন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তা পরিহার করতে হবে। দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার চার হাজার ২৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। জোট মহাজোটের সমীকরণে ২৩০ থেকে ২৪০ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আবেদনকারীদের মধ্যে যারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না তাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা মানবজমিনেক বলেন, মাঠে শক্ত অবস্থান না থাকলেও চেষ্টা-তদবির করে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতেই বেশি মনোযোগী দলের অনেক নেতা। ৩০০ আসনে অন্তত ২ হাজার নেতা রয়েছেন, যারা মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন। মাঠের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান রয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন নেতার সংখ্যা কম বলে জানা গেছে। তারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যেসব নেতা মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন, তাদের বেশিরভাগেরই নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত নয়। কিন্তু মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে চেষ্টা ও তদবিরে পিছিয়ে নেই তারা। এই নেতারা নিজেদের অবস্থান তৈরি না করে আগেই মনোনয়ন নিশ্চিত করতে চান। তাদের ধারণা, মনোনয়ন পেলেই জিতে যাবেন। আবার কারো মতে, নৌকার টিকিট পেলে মাঠের অবস্থান এমনিতেই হয়ে যাবে। মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশিরভাগ নেতার এমন ধারণা জন্মেছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনে শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ও সরকারের উন্নয়ন দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। নিজের ভাবমূর্তির পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বিকে মোকাবিলা করতে হবে। একই প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত এটা ঠিক নয়। বিএনপি নির্বাচনে আসছে। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাছাড়া নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতই। তাই সবাইকে প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনী মাঠে থাকতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মন জয় করে জয়লাভ করতে হবে। এর বাইরে বিকল্প কিছু নেই। যারা ভাবছেন ফাঁকা মাঠে গোল দেয়া সম্ভব তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তবে, দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের অবস্থান সবচেয়ে ভালো। উন্নয়নের জোয়ারে জনসমর্থন আমাদের দিকেই। এ কারণে হয়তো অনেকে ভাবছেন নৌকার টিকিট পেলে জয় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেক নেতাও একথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, নতুন করে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনে করেন, ভোট হবে ৫ই জানুয়ারির মতো। ফলে মনোনয়ন পাওয়াটাই হলো তাদের আসল কাজ। সে কারণে মনোনয়নের দিকেই তাদের ঝোঁক বেশি। এদের সংখ্যা বেশি হলেও যোগ্য নেতারা ঠিকই গুরুত্বের সঙ্গে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নীতিনির্ধারণী নেতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাবেন তারাই, যারা প্রকৃতপক্ষে যোগ্য। দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি সবসময়ই বলে আসছেন, এবার নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। ৫ই জানুয়ারির মতো কাউকে বিজয়ী করার দায়িত্ব তিনি নেবেন না। প্রার্থীকে নিজ নিজ যোগ্যতায় বিজয়ী হতে হবে। তাই সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে হবে। জনগণের দুয়ারে যেতে হবে। শেখ হাসিনার একথা অনুযায়ী যারা কাজ করছেন না, তারা মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন পেতে হলে মাঠ তৈরি করতে হবে। দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। তাতে দেখা গেছে, মাঠে দুর্বল হলেও তদবিরে এগিয়ে আছে, এমন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাই বেশি।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ না করেন, তাহলে আগের মতো বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সবার দায়িত্ব নিতে পারবো না। এবার নেত্রীকে বেটে খাওয়ালেও কাজ হবে না। আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি আগামী প্রজন্ম নিয়ে। তিনি বলেন, গত দুই নির্বাচনে ক্ষমতায় এনেছি, এবারো আমিই ক্ষমতায় আনবো- এটা মনে করে কোনো লাভ নেই। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দক্ষতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে দলীয় সভাপতি বলেন, জরিপে যারা এগিয়ে থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেখানে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। যাকে মনোনয়ন দেব তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নইলে বিপদ হবে। ক্ষমতায় আসছি মনে করে নিজেদের মধ্যে যে মনোনয়ন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তা পরিহার করতে হবে। দলীয় মনোনয়ন পেতে এবার চার হাজার ২৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। জোট মহাজোটের সমীকরণে ২৩০ থেকে ২৪০ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আবেদনকারীদের মধ্যে যারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না তাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েক নেতা মানবজমিনেক বলেন, মাঠে শক্ত অবস্থান না থাকলেও চেষ্টা-তদবির করে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতেই বেশি মনোযোগী দলের অনেক নেতা। ৩০০ আসনে অন্তত ২ হাজার নেতা রয়েছেন, যারা মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন। মাঠের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান রয়েছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন নেতার সংখ্যা কম বলে জানা গেছে। তারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যেসব নেতা মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন, তাদের বেশিরভাগেরই নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত নয়। কিন্তু মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে চেষ্টা ও তদবিরে পিছিয়ে নেই তারা। এই নেতারা নিজেদের অবস্থান তৈরি না করে আগেই মনোনয়ন নিশ্চিত করতে চান। তাদের ধারণা, মনোনয়ন পেলেই জিতে যাবেন। আবার কারো মতে, নৌকার টিকিট পেলে মাঠের অবস্থান এমনিতেই হয়ে যাবে। মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশিরভাগ নেতার এমন ধারণা জন্মেছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনে শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ও সরকারের উন্নয়ন দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। নিজের ভাবমূর্তির পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা থাকতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বিকে মোকাবিলা করতে হবে। একই প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, মনোনয়ন পেলেই জয় নিশ্চিত এটা ঠিক নয়। বিএনপি নির্বাচনে আসছে। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তাছাড়া নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতই। তাই সবাইকে প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনী মাঠে থাকতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মন জয় করে জয়লাভ করতে হবে। এর বাইরে বিকল্প কিছু নেই। যারা ভাবছেন ফাঁকা মাঠে গোল দেয়া সম্ভব তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তবে, দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের অবস্থান সবচেয়ে ভালো। উন্নয়নের জোয়ারে জনসমর্থন আমাদের দিকেই। এ কারণে হয়তো অনেকে ভাবছেন নৌকার টিকিট পেলে জয় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেক নেতাও একথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, নতুন করে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনে করেন, ভোট হবে ৫ই জানুয়ারির মতো। ফলে মনোনয়ন পাওয়াটাই হলো তাদের আসল কাজ। সে কারণে মনোনয়নের দিকেই তাদের ঝোঁক বেশি। এদের সংখ্যা বেশি হলেও যোগ্য নেতারা ঠিকই গুরুত্বের সঙ্গে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
নীতিনির্ধারণী নেতারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাবেন তারাই, যারা প্রকৃতপক্ষে যোগ্য। দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি সবসময়ই বলে আসছেন, এবার নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। ৫ই জানুয়ারির মতো কাউকে বিজয়ী করার দায়িত্ব তিনি নেবেন না। প্রার্থীকে নিজ নিজ যোগ্যতায় বিজয়ী হতে হবে। তাই সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে হবে। জনগণের দুয়ারে যেতে হবে। শেখ হাসিনার একথা অনুযায়ী যারা কাজ করছেন না, তারা মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন পেতে হলে মাঠ তৈরি করতে হবে। দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। তাতে দেখা গেছে, মাঠে দুর্বল হলেও তদবিরে এগিয়ে আছে, এমন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যাই বেশি।