দেশ বিদেশ

সবজির দাম আরো কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

 ফুলকপি ও বাঁধাকপি, শিম, মুলা, লাউ, শালগমের পাশাপাশী শীতের শাকসবজিতে ভরপুর রাজধানীর কাঁচাবাজার। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের চেয়ে দাম আরো কমেছে। বেশির ভাগ সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। ক্রেতারাও শীতের তাজা সবজি কিনছেন বেশি করে। রাজধানীর শান্তিনগর, কাওরান বাজার, হাতিরপুল ও মতিঝিল বাজারসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। মাসখানেক বাজারগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি এখন মাত্র ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপির মতো অধিকাংশ সবজির দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। তবে দাম না বাড়লেও এখনও বাজারে সব থেকে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে গাজর ও টমেটো। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পিয়াজ, কাঁচামরিচ, ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও গরু-খাসির মাংসের। অবশ্য কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। সবজি বিক্রেতা মেজবা বলেন, সবজি যেমন বেশি আসছে, দামও তত কমছে। এতে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ বাড়ছে। অন্যদিকে কম দামে কেনার সুযোগ পেয়ে বাজার থেকে ব্যাগভর্তি সবজি নিয়ে ফিরছেন ক্রেতারাও। দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে কমছে সবজির দাম। আগের সপ্তাহে এক দফা দাম কমে মাঝারি আকারের ফুল ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। একই আকারের ফুল ও বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় ফুল ও বাঁধাকপির দামও প্রতিটি ৫ টাকা কমে ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত মাসের শেষভাগেও খুচরা বাজারে শিম বিক্রি হয়েছিল কেজি ১৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ ধরে দাম কমে এখন বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। শীতের সবজির পাশাপাশি অন্যান্য সবজি করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটোল, ঝিঙা, ধুন্দল ও বেগুনের দামও ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমে এসেছে। কাঁচা টমেটোও বাজারে আসতে শুরু করেছে। এসব টমেটোর দাম একটু কম। ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা টমেটো। এদিকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গাজর। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সবজি সরবরাহ বিঘ্ন না হলে দাম আরো কমবে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমে এখন বাজারে লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০, মুলার কেজি ২০ থেকে ২৫, বেগুন, শিম ও শালগম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। গতকাল ২৫০ গ্রাম ১০ টাকা হিসেবে কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ৮০ টাকা ছিল। এ ছাড়া দেশি পিয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং আমদানি করা পিয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বাজারে এখন সবজির দর কেজিপ্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং মাছের দাম। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ ছিল বেশ ভালো। দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেও ইলিশের দাম ছিল অনেক চড়া। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় বেড়েছিল দাম। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করে মাছের দাম। বাজারে ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪৫০-৫০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা দরে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status