বাংলারজমিন
দোহারে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে পিতা-পুত্র আটক
দোহার (ঢাকা) সংবাদদাতা
১৬ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
ঢাকার দোহারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেনÑ দোহার উপজেলার ওয়ার্কার্স পার্টি ও মাদকবিরোধী সংগঠন এসডিপি’র সভাপতি এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দোহার শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন পল্লব ও তার ছেলে রিফাত হোসেন শাওন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুইবছর আগে উপজেলার নাসির উদ্দিন পল্লবের ছেলে শাওনের সঙ্গে বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয় নাগেরকান্দা গ্রামের হাজী মো. জসিম লস্করের মেয়ে মাদরাসা ছাত্রী সায়মা আক্তারের। বেশ কিছুদিন পরে সায়মার পরিবার জানতে পারে শাওন বিবাহিত। বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় মেয়ের পরিবার। এ ঘটনায় শাওন ও তার পরিবার সায়মার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। প্রতিশোধ নিতে কৌশল অবলম্বন করে। একপর্যায়ে শাওন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সায়মার সঙ্গে। গত ৮ই নভেম্বর শাওনের মা রুপা আক্তার সায়মাকে তার ছেলের সাথে কোর্টে নিয়ে বিয়ে দেবে বলে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলেন। মেয়েটি তাদের ফাঁদে পা দিয়ে পরদিন ঢাকায় চলে যায়। মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে দেয়া সম্ভব না হওয়ায় ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয়। শাওনের পরিবার ঢাকায় তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে কলেমা পড়িয়ে বিয়ের নাটক সাজায় ও স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দু’জনকে একসঙ্গে থাকতে বাধ্য করে। এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে সায়মার পরিবার। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন, সায়মাকে কৌশলে অপহরণ করেছে শাওন ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সায়মার মা হাফিজা আছমা বাদী হয়ে নাসির উদ্দিন পল্লব (৪৭) ও তার স্ত্রী রুপা আক্তার (৪০) এবং ছেলে রিফাত হোসন শাওন (২৮)-এর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতেই নাসির উদ্দিন পল্লব ও ছেলে শাওনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দোহার থানার এস আই নূর খান বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আরো একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।